[পর্ব-০১]
[সারসংক্ষেপ : সবর বা ধৈর্য মানুষের নৈতিক চরিত্রের এক মহৎ গুণ। ধৈর্যের ফল সর্বদা মিষ্টি হয়। ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে বিভিন্ন কারণে মানুষকে নানা রকম বিপদাপদের মোকাবিলা করতে হয়। আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে বিভিন্ন রকমের বালা-মুসিবত, দুঃখ-কষ্ট, রোগ-শোক ও অভাব-অনটন ইত্যাদির মাধ্যমে পরীক্ষা করে থাকেন। আবার তিনি মানুষকে সুখ-সমৃদ্ধি, অর্থ-বিত্ত, ধন-সম্পদ দিয়েও পরীক্ষা করে থাকেন। যাঁরা এ পরীক্ষাকে সবরেব সহিত মুকাবিলা করতে থাকেন তারাই সফলকাম হন। আর পরীক্ষাকালীন সময়ে ধৈর্যচ্যুতি ঘটলেই ফলাফল অশুভ হতে বাধ্য। তাই মানব জীবনে সবরের গুরুত্ব অপরিসীম।]
ভূমিকা : আখলাকে হাসানার মধ্যে সবর বা ধৈর্য অন্যতম। এটি উত্তম চরিত্রের মহৎ গুণ। ধৈর্যশীল ব্যক্তি ছাড়া পৃথিবী ও পরকালে কেউ সফল হতে পারেন না। পৃথিবীতে চলতে-ফিরতে, উঠতে-বসতে ও মু‘আমালাতে ধৈর্যের কোনো বিকল্প নেই। ধৈর্যশীল ব্যক্তিকে আল্লাহ তা‘আলা অত্যন্ত ভালোবাসেন।
সবর-এর পরিচয় (تعريف الصبر) : সবর (الصبر) আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ হলো ধৈর্য, ধীরতা, স্থিরতা, সহিঞ্চুতা, বিরত থাকা, সংযত হওয়া, মেনে নেওয়া, বাধ্য হওয়া, সংযমশীল হওয়া, নাফসের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ লাভ করা ইত্যাদি।৩৩ আহমাদ ইবনু মুহাম্মদ আল-ফাইয়ূমী বলেন,
الصبر : حبست النفس عن الجزع.
আস্ সবর শব্দের অর্থ বিচলিত, বিরত রাখা। ৩৪
পরিভাষায় : ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় সবর হলো, বিপদ-আপদ ও দুঃখ-কষ্টে বিচলিত না হয়ে এবং আনন্দ ও সুখে আত্মহারা না হয়ে অটল ও স্থিরভাবে ইসলাম প্রদর্শিত পথে দৃঢ়পদে চলতে থাকা। সাইয়্যেদ শরীফ আল-জুরজানী (রাহিমাহুল্লাহ) (মৃত : ৮১৬ হি.) বলেন,
الصبر : هو ترك الشكوي من الم البلوي لغير الله لا الي الله.
সবর হলো গায়রুল্লাহ অর্থাৎ-আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্য কারও জন্য বিপদ-ব্যথার অভিযোগ থেকে বিরত থাকা। তবে আল্লাহর নিকট অভিযোগ করা যাবে। ৩৫
মুহাম্মদ ‘আলী থাহানুভী (রাহিমাহুল্লাহ) (মৃত : ১৫৫৮ হি.) বলেন, সবর হলো আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কারও নিকট অভিযোগ না করা। ৩৬
রাগিব আল-ইস্পাহানী (রাহিমাহুল্লাহ) (মৃত : ৫০২ হি.) বলেন, যুক্তিসঙ্গত বিষয়ে মনকে লেগে রাখা, শরিয়তে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ভিন্নতার কারণে এর অর্থের ভিন্নতা রয়েছে। বিপদের ক্ষেত্রে শুধু সবর, শত্রুর মুকাবিলায় বীরত্ব, নিষিদ্ধ বস্তুর ক্ষেত্রে সমতা এভাবে এর নামকরণ করা হয়। ৩৭
সবরের শাখাসমূহ (انواع الصبر) : শায়খুল হাদীস আল্লামা ইবনু তাইমিয়্যাহ্ বলেন, সবরের শাখা-প্রশাখা হলো তিনটি। যথা-
১. (الصبر علي الطاعة) আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল (ﷺ) যে সমস্ত কাজের হুকুম করেছেন, সেগুলোর অনুবর্তিতা করা মনের উপর যত কঠিনই হোক না কেন, তাতে মনকে স্থির করা।
২. (الصبر عن المعاصي) যে সমস্ত বিষয়ে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ) নিষেধ করেছেন, সেগুলো নাফসের জন্য যত আকর্ষণীয় হোক না কেন, তা থেকে নাফসকে বিরত রাখা।
৩. (الصبر علي المصائب) বিপদাপদ ও কষ্টের সময় ধৈর্যধারণ করা। দুঃখ-কষ্ট ও সুখ-শান্তিকে আল্লাহর পক্ষ থেকে আগত মনে করা ও বিশ্বাস করা।
নিম্নে আমরা উল্লেখিত শাখাসমূহের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা করব।
প্রথম শাখা : নাফস্কে মহান আল্লাহর ‘ইবাদতে ও আনুগত্যে বাধ্য করাÑ আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনুল কারীমে বলেন,
وَاعْبُدْ رَبَّكَ حَتّٰى يَأْتِيَكَ الْيَقِيْنُ
“আর মৃত্যু আসা পর্যন্ত তুমি তোমার প্রভুর ‘ইবাদত করতে থাকো।”
এ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদের জীবন থাকা পর্যন্ত তাঁর ‘ইবাদত-বন্দেগী করতে বলেছেন। আর ‘ইবাদত করতে হবে কেবলমাত্র আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর প্রিয় রাসূল (ﷺ)-এর দেখানো আদর্শের ভিত্তিতে। অন্য কোনো মতের-পথের বা নাফসের চাহিদা অনুযায়ী ‘ইবাদত গৃহীত হবে না। সচরাচর মানুষের আত্মা নিয়ম মেনে কাজ করতে চায় না। ‘ইবাদত কম-বেশি কষ্টের কাজ। কোনো কোনো ‘ইবাদতে আছে দৈহিক ও অর্থ ব্যায়ের মানসিক যাতনা। যেমন শীতকালে ঠাণ্ডাপানিতে ওযূ করার কষ্ট, ভোরে সুখের নিদ্রা ত্যাগ করে সলাতের জন্য জাগ্রত হওয়ার কষ্ট, রমাযান মাসে টানা সিয়াম পালনের কষ্ট, দুনিয়াবী কাজের ব্যস্ততার সময় আযানের সুর শুনে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত গমনের কষ্ট বরণ করে নেয়া একজন মানুষের পক্ষে সত্যিই অনেক কষ্টের ব্যাপার। আর এ সমস্ত বিষয়ে নিজের প্রবৃত্তিকে প্রশ্রয় না দিয়ে মহান আল্লাহর নির্দেশ যথাযথভাবে পালনের জন্য আত্মাকে বাধ্য করা একান্ত কর্তব্য।
‘ইবাদতের মূল লক্ষ্য হলো একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। অতএব লোক দেখানো কিংবা অন্য কোনো পার্থিব স্বার্থ চরিতার্থকরণের উদ্দেশ্যে যতই মহা-উত্তম কাজ মানুষ করুক না কেন, তা কখনো ‘ইবাদতে পরিগণিত হবে না। কারণ কোনো ভালো কাজ ‘ইবাদতের মধ্যে গণ্য হওয়ার জন্য পরিশুদ্ধ নিয়তের প্রয়োজন। কেননা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,
عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ (رضي) عَلَى الْمِنْبَرِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ (ﷺ) يَقُوْلُ إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ.
সকল ‘আমল নিয়ত অনুযায়ী গৃহীত হয়। অতএব কষ্ট করে সবর করে আমরা যে ‘ইবাদত করার চেষ্টা করি তার নিয়ত যেন পরিশুদ্ধ হয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)-এর নির্দেশিত পন্থায় তা যেন হয় নচেৎ সমস্ত ‘আমল নষ্ট হয়ে যাবে।
দ্বিতীয় শাখা : মহান আল্লাহর নাফরমানি বা অবাধ্যতা থেকে বিরত থাকাÑ পাপ কাজের ক্ষেত্রে সবরের প্রয়োজন অত্যধিক। সচরাচর মানুষকে যে জিনিস থেকে নিষেধ করা হয়, মানুষ ঐ জিনিসের প্রতি বেশি আগ্রহী হয়। এটি মানুষের মজ্জাগত দোষ। অন্যদিকে যত নিষিদ্ধ জিনিস আছে শয়তান ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা এগুলোকে মানুষের নিকট আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে। মানুষ নিষিদ্ধ কাজ করে বেশি আনন্দ পায়। পৃথিবীতে মানুষকে পদে পদে পাপের প্রতি প্রলুব্ধ করা হয়। প্রচুর টাকা-পয়সা, বাড়ি-গাড়ির লোভে পড়ে মানুষ পাপ কাজে জড়িয়ে পড়ে। নাফসকে প্রতিটা মুহূর্তে টেনে ধরতে হয়। সংগ্রাম করতে হয় সারাক্ষণ। এ কারণেই যাবতীয় হারাম ও নিষিদ্ধ চিত্তবিনোদন, সুদ, ঘুষ প্রভৃতি থেকে নিজেকে বাঁচাতে প্রচুর সংযম ও সবরের প্রয়োজন।
বর্তমান সময়ে এ প্রকারের সবর যে কত বেশি প্রয়োজন তা সহজেই অনুমান করা যায়। রাস্তা-ঘাট, হাঁট-বাজার, সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান ও টিভির পর্দা রিপু ও কামনা উদ্দীপক বিচিত্র উপাদানে পরিপূর্ণ। মানুষ সামাজিক মু‘আমালাতে কত যে শরিয়াহ বিরোধী কাজে জড়িয়ে পড়ে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। তাই এ ফিতনাময় সমাজে ঈমান রক্ষার তাগিদে মু’মিনের প্রথম কর্তব্য হলো তাক্বওয়া ও সবরের এ শাখাকে অনুশীলন করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَأَمَّا مَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ وَنَهَى النَّفْسَ عَنِ الْهَوَى فَإِنَّ الْجَنَّةَ هِيَ الْمَأْوَى
“যে ব্যক্তি তাঁর মালিকের সামনে দাঁড়ানোকে ভয় করেছে এবং নিজের নাফসকে কামনা-বাসনা থেকে বিরত রেখেছে, অবশ্যই জান্নাত হবে তার ঠিকানা।” ৩৯
আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য পবিত্র কুরআনে যে চারটি বেশিষ্ট্যের অধিকারী হতে বলেছেন তার মধ্যে সবরের উপদেশ পরস্পর প্রদান করা। অল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَالْعَصْرِ إِنَّ الْإِنْسَانَ لَفِيْ خُسْرٍ إِلَّا الَّذِيْنَ آمَنُوْا وَعَمِلُوْا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ
যুগের কসম, নিশ্চয় মানবজাতি ক্ষতির মধ্যে। কিন্তু তারা নয় যারা বিশ্বাসী ও সৎকর্মশীল, মানুষকে সত্যের উপদেশ প্রদাণকারী এবং সবর বা ধৈর্যধারণের উপদেশ প্রদানকারী। ৪০
সবরের এ শাখাকে ব্যপক চর্চা করা জরুরি। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। জ্ঞানী, গুণী, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ প্রমুখ সচেতন ব্যক্তিবর্গকে ধর্মীয় শিক্ষার প্রসার ঘটানোর ইচ্ছা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই এর সঠিক ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
তৃতীয় শাখা : মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বিপদ-আপদ ও ঈমানী পরীক্ষায় ধৈর্যধারণ করাÑ পৃথিবীতে মানুষকে বেঁচে থাকতে হলে হাজারো বিপদ-আপদ, বালা-মসিবতের সম্মুখীন হতে হয়। পদে—পদে তাকে দুঃখ-কষ্ট, ভয়-ডর, রোগ-শোক, ক্ষুধা-দারিদ্র্য প্রভৃতির মুকাবিলা করতে হয়। আল্লাহ তা‘আলার দেয়া এ সকল বিপদ-আপদে সবর করতে হয়। কেননা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে বান্দার জন্য পরীক্ষা। বান্দাগণ যখন এ সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তখন আল্লাহ তা‘আলা বান্দাকে পুরস্কৃত করেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَلَنَبْلُوَنَّكُمْ بِشَيْءٍ مِنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنْفُسِ وَالثَّمَرَاتِ وَبَشِّرِ الصَّابِرِيْنَ
“আমি তোমাদেরকে ভয়, ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতির দ্বারা অবশ্যই পরীক্ষা করবো। আর তুমি শুভ সংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের।” ৪১
আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে পৃথিবীর সেরা সৃষ্টিজীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। কোনো কোনো মানুষকে তিনি ঐশ্বর্য, উচ্চ পদমর্যাদা, নেতৃত্ব, সুন্দর স্বাস্থ্য ও বিভিন্ন পরীক্ষার সম্মুখীন করেন। অন্যদিকে কেউ কেউ অক্লান্ত পরিশ্রম করেও তেমন কোনো সাফল্য অর্জন করতে পারেন না; বরং তারা অল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরীক্ষার সম্মুখীন হচ্ছেন। আল্লাহ তা‘আলা তাদের বিপদ-আপদ, বালা-মুসিবত, অভাব-অনটন, অসুখ-বিসুখ দিয়ে পরীক্ষা করেছেন বিভিন্ন সময়ে। এর দ্বারা তিনি যাচাই-বাছাই করে নেন কে তাকে বেশি ভালোবাসেন। আর কে তার নিকট থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। যারা এ কঠিন অবস্থায় তার নিকট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত, লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়েছে। এ ধরণের ধৈর্যহারা ব্যক্তি, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোনো কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে পারে। ফলে তাদের কাজে জটিলতা বৃদ্ধি পায়, পারস্পরিক সম্পর্ক তিক্ত হয়। এ কারণে যে কোনো কাজে আল্লাহ তা‘আলার সাহায্য পেতে হলে ধৈর্য অবলম্বনের মাধ্যমে তাঁর নিকট সাহায্য চাইতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا اسْتَعِيْنُوْا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ إِنَّ اللهَ مَعَ الصَّابِرِيْنَ
“হে মু’মিনগণ, তোমরা ধৈর্য ও সলাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।৪২ ” রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,
عَنْ صُهَيْبٍ، قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ (ﷺ): عَجَبًا لِأَمْرِ الْمُؤْمِنِ، إِنَّ أَمْرَهُ كُلَّهُ خَيْرٌ، وَلَيْسَ ذَاكَ لِأَحَدٍ إِلَّا لِلْمُؤْمِنِ، إِنْ أَصَابَتْهُ سَرَّاءُ شَكَرَ، فَكَانَ خَيْرًا لَهُ، وَإِنْ أَصَابَتْهُ ضَرَّاءُ، صَبَرَ فَكَانَ خَيْرًا لَهُ
সুহায়ব (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, মু’মিনের কার্যকলাপ আশ্চর্যজনক। প্রতিটি কাজই তার জন্য কল্যাণকর। মু’মিন ছাড়া অন্য কারো জন্য এই সৌভাগ্য হয় না। সুখকর কিছু প্রাপ্ত হলে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে যা তার জন্য কল্যাণকর। আর কোনো দুঃখ-কষ্টে পতিত হলে ধৈর্যধারণ করে, তাও তার জন্য কল্যাণকর।৪৩ [চলবে ইন্শা-আল্লাহ]
*পি. এইচ. ডি. গবেষক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও সহ-সেক্রেটারি, বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস, রাজশাহী পশ্চিম জেলা শাখা।
৩৩. আল মু‘জামুল ওয়াসীত-পৃ. ৫০৬; আল মুনজিদ ফিল লুগাহ ওয়াল আ‘লাম- প্রথম খণ্ড, পৃ. ৪১৪; আরবী বংলা ব্যবহারিক অভিধান-চতুর্থ সংস্করণ (রিয়াদ প্রকাশনী, ঢাকা, মার্চ, ২০০২ খ্রি.), পৃ. ৪৪৬।
৩৪.আল মিসবাহুল মুনীর—-প্রথম খণ্ড, পৃ. ২৯৫।
৩৫. আত্ তা‘রীফাত-পৃ. ৮৮।
৩৬.আল কামুসুল ফিকহী-সা‘দী আবূ জাইয়্যেব, পৃ. ২০৬।
৩৭.আল মুফরাদাত ফী গারীবিল কুরআন-পৃ. ২৭৭।
৩৮.সূরা আল হিজর : ৯৯।
৩৯.সূরা আন্ নাযি‘আত : ৪০—৪১।
৪০.সূরা আল ‘আসর : ১-৩।
৪১.সূরা আল বাক্বারাহ্ : ১৫৫।
৪২.সূরা আল বাক্বারাহ্ : ১৫৩।
৪৩.সহীহ মুসলিম-হা. ২২৭।
আপনার মন্তব্য