*** সাপ্তাহিক আরাফাত অবিরাম প্রকাশনার ৬৫তম বর্ষ ৩৩-৩৪ সংখ্যা প্রকাশিত
‘লাব্বায়িক আল্লাহুম্মা লাব্বায়িক’-এ কোন্ নিনাদ
আমি যথাযথভাবে তোমার দরবারে হাজির হে আল্লাহ! আমি হাজির, আমি হাজির! তোমার কোনো শরীক নেই। আমি হাজির, নিশ্চয়ই যাবতীয় প্রশংসা, সর্বপ্রকার নিয়ামত এবং রাজত্ব কেবল তোমারই। তোমার কোনো শরীক নেই। মহান আল্লাহর ঘর কা‘বা যিয়ারতকারীগণ নির্ধারিত স্থান হতে এভাবে তাওহীদের নিনাদ ঘোষণা করেন। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় এ স্থানগুলোকে মীকাত বলা হয়। ‘উমরাহ্ ও হজ্জকারীগণ নিজ নিজ মীকাত হতে নিয়ত করে ‘উমরাহ্ ও হজ্জে প্রবেশের ঘোষণা দেন। নির্ধারিত মীকাত হতে নিয়ত করা, মহান আল্লাহর ঘরের তাওয়াফ, সাফা-মারওয়ায় সা‘ঈ ও মাথা মুণ্ডন কিংবা চুল ছাঁটার মাধ্যমে যে ‘ইবাদত আঞ্জাম দেওয়া হয়, তাকে ‘উমরাহ্ বলে। এটি বছরের যে কোনো সময় করা যায়। এর জন্য কোনো নির্ধারিত সময় নেই। তবে রমাযান মাসে ‘উমরাহ্ করলে একটি হজ্জের নেকী পাওয়া যায়। আর হজ্জের মাস ও দিন-তারিখ নির্ধারিত। রমাযানের পরেই আসে শাওয়াল মাস। আর তখন থেকেই শুরু হয় হজ্জের গণনা ক্ষণ। শাওয়াল, যুলক্বা‘দাহ ও যুলহিজ্জাহ হচ্ছে হজ্জের মাস। আর মূল আনুষ্ঠানিকতা বা হজ্জের আসল পর্ব শুরু হয় ৮ যিলহাজ্জ তারিখে এবং শেষ হয় ১৩ যিলহাজ্জ তথা আইয়ামে তাশরীকের শেষ দিন। ইহরাম তথা হজ্জের নিয়ত, তাওয়াফ, সা‘ঈ, মীনায় রাত্রি যাপন, আরাফায় অবস্থান, মুযদালিফায় রাত্রি যাপন, যামারায় কঙ্কর নিক্ষেপ ও বিদায়ী তাওয়াফ-এর মাধ্যমে হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।