ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি বা ভাস্কর্য নির্মাণের ভয়াবহতা : ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষ, পশুপাখি ইত্যাদি প্রাণীর প্রতিমা, মূর্তি, প্রতিকৃতি, প্রতিমূর্তি ও ভাস্কর্য তৈরি বা নির্মাণ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এটি কাবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। বহু হাদীসে প্রাণীর মূর্তি ও ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলার এবং ছবি মুছে ফেলার নির্দেশ এসেছে।
(জ্ঞাতব্য : এ দায়িত্ব মুসলিম সরকারের; জনগণের নয়। অনুরূপভাবে মুসলিম দেশে বসবাসকারী অমুসলিমদের পূজামণ্ডপে তাদের দেবদেবীর মূর্তি এ নির্দেশের বাইরে)।
শুধু তাই নয়; বরং এগুলোকে আখিরাতে ভয়াবহ শাস্তির কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
নিম্নে এ সংক্রান্ত কতিপয় হাদীস তুলে ধরা হলো-
◈ রাসূল (সাঃ) বলেছেন,
لَا تَدَعَ قَبْرًا مُشْرِفًا إِلَّا سَوَّيْتَهُ وَلَا تِمْثَالًا إِلَّا طَمَسْتَهُ.
“কোনো উঁচু কবরকে মাটি বরাবর না করে আর কোনো প্রতিকৃতিকে না মুছে ছাড়বে না।”[১]
◈ সহীহ মুসলিমের অন্য বর্ণনায় রয়েছে-
وَلَا صُوْرَةً إِلَّا طَمَسْتَهَا.
“আর কোনও ছবিকে না মুছে ছাড়বে না।”
◈ মুসলিম (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা (একবার) মাসরূকের সাথে ইয়াসার ইবনু নুমাইরের ঘরে ছিলাম। মাসরূক ইয়াসারের ঘরের আঙিনায় কতগুলো মূর্তি দেখতে পেয়ে বললেন, আমি ‘আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাযিঃ) থেকে শুনেছি এবং তিনি নাবী (সাঃ)-কে বলতে শুনেছেন যে,
إِنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَذَابًا عِنْدَ اللهِ يَوْمَ القِيَامَةِ المُصَوِّرُوْنَ.
“(ক্বিয়ামতের দিন) মানুষের মধ্যে সব থেকে শক্ত শাস্তি হবে তাদের, যারা ছবি তৈরি করে।”[২]
◈ ইবনু ‘আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ) বলেছেন,
مَنْ صَوَّرَ صُوْرةً فِيْ الدُّنْيَا كُلِّفَ أنْ يَنْفُخَ فِيْهَا الرُّوْحَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَلَيْسَ بِنَافخٍ.
“যে ব্যক্তি ছবি তৈরি করে, তাকে ক্বিয়ামতের দিন তাতে জীবন দানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে, কিন্তু সে সক্ষম হবে না।”[৩]
◈ ‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
إِنَّ الَّذِيْنَ يَصْنَعُوْنَ هَذِهِ الصُّوَرَ يُعَذَّبُوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يُقَالُ لَهُمْ أَحْيُوْا مَا خَلَقْتُمْ.
“যারা এ জাতীয় (প্রাণীর) ছবি তৈরি করে, ক্বিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দেয়া হবে। তাদের বলা হবে: “তোমরা যা বানিয়েছিলে তাতে জীবন দাও।”[৪]
◈ ঘরে মানুষ, ছোট বাচ্চা, পশু-পাখী ইত্যাদি প্রাণীর ছবি টাঙ্গিয়ে রাখা হলে ঘরে রহমতের ফেরেশ্তা প্রবেশ করে না : হাদীসে বর্ণিত হয়েছে,
عَنْ أَبِيْ طَلْحَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ : ্রلَا تَدْخُلُ الْمَلَائِكَةُ بَيْتًا فِيْهِ كَلْبٌ، وَلَا صُوْرَةٌগ্ধ.
আবূ ত্বালহাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন : “ফেরেশ্তা ঐ ঘরে প্রবেশ করে না, যে ঘরে কুকুর অথবা (প্রাণীর) ছবি থাকে।”[৫]
অন্য একটি সহীহ বর্ণনায় ছবির স্থানে تَمَاثِيلَ ভাস্কর্য এর কথা এসেছে।[৬]
◈ সম্মানিত ব্যক্তিদের মূর্তি-প্রতিকৃতি ভাস্কর্য ইত্যাদি নির্মাণ র্শিক এর মাধ্যম : মহান আল্লাহর নিকট সবচেয়ে ঘৃণিত ও বড় পাপ র্শিকের উৎপত্তি ঘটেছিলো নূহ (আঃ)-এর যুগের পাঁচজন সৎ ও সম্মানিত লোকদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের নিমিত্তে তাদের প্রতিকৃতি নির্মানের মধ্য দিয়ে। প্রথম পর্যায়ে সেগুলোর পূজা-আর্চনা করা না হলেও যুগের বিবর্তনে মানুষ এ সকল সম্মানিত লোকদের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে বাড়াবাড়ি করে। অবশেষে সেগুলো মূর্খরা পূজা করতে শুরু করে।
উক্ত পাঁচ ব্যক্তির নাম এবং কিভাবে তাদের মূর্তি/প্রতিকৃতি নির্মাণ করার পর তাতে শ্রদ্ধা প্রদর্শনে বাড়াবড়ি করার মাধ্যমে র্শিকের উৎপত্তি হয়েছিলো সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুন সূরা নূহ-এর ২৩ নং আয়াতের অর্থ এবং তার তাফসীর।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে প্রমাণিত হয়, সম্মানিত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন বা তাদের স্মৃতিকে মানুষের হৃদয়ে অমর করে রাখার উদ্দেশ্যে তাদের প্রতিমা, মূর্তি, প্রতিমূর্তি, প্রতিকৃতি ও ভাস্কর্য ঘরের দেয়ালে, রাস্তার মোড়ে, চৌরাস্তার মাঝখানে, স্কুলের মাঠে, বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্তর বা অন্য কোনও স্থানে অংকন, নির্মাণ বা স্থাপন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও হারাম। এর মাধ্যমে মূলতঃ কাল-পরিক্রমায় আগামী প্রজন্মের সামনে র্শিকের দরজা উন্মুক্ত করা হয় যেমনটি পূর্ব যুগে ঘটেছিল।
◈ ইসলামে কি সকল প্রকার ভাস্কর্য নিষিদ্ধ?
ইসলামের দৃষ্টিতে শিল্পকর্ম হিসেবে সকল প্রকার ভাস্কর্য তৈরি নিষিদ্ধ নয়। কেবল মানুষ, জীবজন্তু, পশুপাখি ইত্যাদি প্রাণীর ভাস্কর্য নির্মাণ বা তৈরি নিষিদ্ধ।
কেউ চাইলে জড়পদার্থ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, গাছ, লতাপাতা, ফল, ফুল, আকাশ, সাগর, নদী, পাহাড়, বন-বনানী, ঘর-বাড়ি ইত্যাদির ছবি, দৃষ্টি নন্দন প্রতিকৃতি, শৈল্পিক ভাষ্কর্য ইত্যাদি তৈরি করতে পারে। কারণ সে ব্যাপারে ইসলামে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।
◈ ভাস্কর্য বা মূর্তি নির্মাণের মাধ্যমে সম্মানিত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন-এর পরিবর্তে তাদেরকে অপমাণ করা হয় : একথা কারো অজানা নয় যে, উন্মুক্ত স্থানে নির্মিত ভাস্কর্যের উপরে পাখ-পাখালি মলমূত্র ত্যাগ করে, কুকুর, বিড়াল, শৃগাল ইত্যাদি সেগুলোর গায়ে পেশাব করে এবং নানা ময়লা-আবর্জনা পড়ে সেগুলো নোংরা হয়ে যায়। সুতরাং এ সকল সম্মানিত ব্যক্তিদের জন্য এর থেকে অবমাননাকর আর কী হতে পারে?
শুধু তাই নয় আমরা জানি, সময়ের আবর্তে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বা আদর্শিক পরিবর্তনের ফলে অনেক সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত মূর্তি বা ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলা হয় এবং নানাভাবে সেগুলোকে অপমাণ করা হয় (যেমনটি বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দেশে ঘটতে দেখা গেছে)।
সুতরাং এর মাধ্যমে প্রকারান্তরে এ সকল সম্মানিত ব্যক্তিকেদের মানহানি ও অবমাননার ঝুঁকিতে ফেলে দেয়া হয়।
◈ আমরা কিভাবে মৃত সম্মানিত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করব?
মূলতঃ মানুষ তাদের ত্যাগ, তিতিক্ষা ও কল্যাণকর কর্মের দ্বারা মানুষের হৃদয়ে অমর হয়ে থাকে এবং শ্রদ্ধার আসনে আসীন হয়ে থাকে। এর থেকেও বড় কথা হলো, ঈমানদার ব্যক্তিগণ মানবতার স্বার্থে তাদের নিঃস্বার্থ অবদানের কারণে মানুষের ভালোবাসা কুড়ানোর পাশাপাশি আখিরাতে মহান আল্লাহর কাছে পুরস্কৃত হয়।
সুতরাং আমরা ঈমানদার কীর্তিমান ব্যক্তিদের জন্য মহান আল্লাহর কাছে দু‘আ করব, আল্লাহ তা‘আলা যেন তাদেরকে ক্ষমা করেন, তাদের কবরকে শান্তিময় করেন, তাদের মর্যাদা উন্নীত করেন এবং আখিরাতের চির শান্তির নীড় জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন।
দু‘আ ছাড়া আর কী করা যেতে পারে?
ঋ এ সকল কীর্তিমান এবং দেশ ও মানবতার স্বার্থে জীবন উৎসর্গকারী ব্যক্তিদেরকে মানুষের স্মৃতিপটে ধরে রাখার জন্য সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ভবন বা রাস্তাঘাটের নামকরণ করা।
ঋ তাদের গৌরবময় ইতিহাস ও জীবনের ভাল দিকগুলো মানুষের মাঝে আলোচনা-পর্যালোচনা করা।
ঋ তাদের অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
ঋ আমাদের আগামী প্রজন্ম শিক্ষার্থীদের নিকট তাদের আদর্শিক সুন্দর দিকগুলো এবং তাদের ত্যাগ-তিতিক্ষা, গৌরব গাঁথা এবং রেখে যাওয়া অবদানগুলো তুলে ধরা। যেন তারা সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয় এবং জীবনে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখে।
ঋ তাদের মাগফিরাতের উদ্দেশ্যে হাসপাতাল ও দুস্থ মানবতার স্বার্থে' কল্যাণ ট্রাস্ট ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা করা।
ঋ তাদের পক্ষ থেকে দান-সাদাক্বাহ্ করা।
ঋ তাদের পক্ষ থেকে হাজ্জ ও ‘উমরাহ্ সম্পাদন করা ইত্যাদি।
পরিশেষে বলব, ইসলামের এই নিষিদ্ধ বিষয়টিকে সংকীর্ণ রাজনৈতিক বা দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে সীমাবদ্ধ করা সঙ্গত নয় এবং এমন কিছু করা উচিত নয় যা, তাদের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না; বরং আমাদের কর্তব্য, তাদেরকে সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে রেখে যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন এবং এমন কিছু করা যাতে তারা আখিরাতে শান্তিতে থাকেন এবং মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় বেঁচে থাকেন চিরকাল। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন -আমীন।
প্রসঙ্গতঃ আরো একটি বিষয়ে জনমনে প্রশ্ন আসে তাহলো ইসলাম ধর্মে জীব-জন্তুর ছবি আঁকতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে আমরা জানি যে, গাছেরও জীবন আছে। এ বিষয়ে ইসলামের ব্যাখ্যা জানতে চাই।
উত্তর : ইসলামের বিধান হলো, বিনা প্রয়োজনে মানুষ, পশু-পাখি ইত্যাদি জীব-জন্তুর ছবি অঙ্কন করা বা তোলা জায়িয নেই। একাধিক হাদীসে এ ব্যাপারে কঠোর শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে। তবে গাছ-পালা, বাগান, ফল-ফুল অথবা মাসজিদ, ঘরবাড়ি, জঙ্গল, পাহাড়, সাগর, ঝরণা, নদ-নদী ইত্যাদি প্রকৃতি ও জড়বস্তুর ছবি তোলা বা অঙ্কন করা হাদীস দ্বারা অনুমোদিত। যেমন- নিম্নোক্ত হাদীসটি,
عَنْ سَعِيْدِ بْنِ أَبِيْ الْحَسَنِ، قَالَ : جَاءَ رَجُلٌ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، فَقَالَ : إِنِّيْ رَجُلٌ أُصَوِّرُ هَذِهِ الصُّوَرَ، فَأَفْتِنِيْ فِيْهَا، فَقَالَ لَهُ : ادْنُ مِنِّيْ، فَدَنَا مِنْهُ، ثُمَّ قَالَ : ادْنُ مِنِّيْ، فَدَنَا حَتّٰى وَضَعَ يَدَهُ عَلٰى رَأْسِهِ، قَالَ : أُنَبِّؤُكَ بِمَا سَمِعْتُ مِنْ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ، سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ : ্রكُلُّ مُصَوِّرٍ فِيْ النَّارِ، يَجْعَلُ لَهُ، بِكُلِّ صُوْرَةٍ صَوَّرَهَا، نَفْسًا فَتُعَزِّبُهُ فِيْ جَهَنَّمَগ্ধ وقَالَ : ্রإِنْ كُنْتَ لَا بُدَّ فَاعِلًا، فَاصْنَعِ الشَّجَرَ وَمَا لَا نَفْسَ لَهُগ্ধ.
সা‘ঈদ ইবনু আবুল হাসান বলেন, এক ব্যক্তি ইবনু ‘আব্বাস (রাযিঃ)-এর কাছে এসে বলল, আমি চিত্রকর এবং চিত্র অংকন করি। অতএব এ সম্পর্কে আমাকে শরী‘আতের বিধান বলে দিন।
ইবনু ‘আব্বাস (রাযিঃ) বলেন : আমার কাছে আস। সে ব্যক্তি তাঁর কাছে গেল।
তিনি পুণরায় বললেন : আরও কাছে আসো। সে ব্যক্তি আরও কাছে গেল।
তখন ইবনু ‘আব্বাস (রাযিঃ) তাঁর মাথায় হাত রেখে বললেন : আমি তোমাকে এ সম্পর্কে এমন একটি হাদীস শুনাচ্ছি, যা আমি রাসূল (সাঃ)-এর কাছে শুনেছি। আমি রাসূল (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে,
্রكُلُّ مُصَوِّرٍ فِيْ النَّارِ، يَجْعَلُ لَهُ، بِكُلِّ صُوْرَةٍ صَوَّرَهَا، نَفْسًا فَتُعَذِّبُهُ فِيْ جَهَنَّمَগ্ধ.
“সকল চিত্রকরই জাহান্নামে যাবে। আর প্রত্যেক চিত্রের পরিবর্তে একজন মানুষ বানানো হবে, যা জাহান্নামে তাকে শাস্তি দেবে। তিনি আরও বললেন : যদি তোমাকে তা করতেই হয় তাহলে গাছ-পালা বা এমন বস্তুর ছবি তৈরি কর যার আত্মা নেই।[৭]
সহীহ মুসলিমের ব্যাখ্যাকার ইমাম নববী (রহঃ) বলেন এখানে صُوْرَةٍ صَوَّرَهَا، نَفْسًا فَتُعَذِّبُهُ فِيْ جَهَنَّمَ. এ কথা দুই রকম অর্থ বলেছেন। তিনি বলেন, এর অর্থ হতে পারে-
ক. প্রত্যেক ছবি/চিত্রের পরিবর্তে একজন মানুষ বানানো হবে, যা তাকে জাহান্নামে শাস্তি দেবে।
খ. অথবা যে ছবিটি সে অঙ্কণ করেছিলো তাতে প্রাণের সঞ্চার ঘটানো হবে যা তাকে জাহান্নামে শাস্তি প্রদান করবে।[৮]
সুতরাং যেহেতু গাছ-পালার ছবি তোলার ব্যাপারে হাদীসে অনুমতি আছে সেহেতু এতে কোনো আপত্তি নেই -যদিও বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, গাছের প্রাণ আছে। #
[১] সহীহ মুসলিম- হাঃ ৯৬৯ ও সুনান আত্ তিরমিযী- হুসাইন আল মাদানী প্রকাশনী, হাঃ ১০৪৯।
[২] সহীহ মুসলিম- ৩৭/২৬, হাঃ ২১০৯, মুসনাদ আহমাদ- ৩৫৫৮, আধুনিক প্রঃ, হাঃ ৫৫১৮, বাং ইঃ ফাঃ, হাঃ ৫৪১৩।
[৩] সহীহুল বুখারি ও সহীহ মুসলিম।
[৪] সহীহ মুসলিম- ৩৭/২৬, হাঃ ২১০৮, আঃ প্রঃ, হাঃ ৫৫১৯, বাং ইঃ ফাঃ, হাঃ ৫৪১৪।
[৫] সুনান আন্ নাসায়ী- অধ্যায় : সাজসজ্জা, পরিচ্ছেদ : ছবি, হাঃ ৫৩৪৭, সনদ সহীহ।
[৬] প্রাগুক্ত- হাঃ ৫৩৪৮।
[৭] মুসলিম- হাঃ ৫৬৬২, মাকতাবাতুস্ শামেলা, হাঃ ৯৯/২১১০।
[৮] শরহে মুসলিম- ইমাম নববী (রহঃ)।
আপনার মন্তব্য