সাময়িক প্রসঙ্গ
করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির জানাযা ও দাফন
আরাফাত ডেস্ক
করোনা ভাইরাস আজ পৃথিবীব্যাপী এক আতঙ্কের নাম। বিশ্বের অর্থনীতি, রাজনীতি, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সবকিছু থমকে দাড়িয়েছে। এই প্রথম তামাম দুনিয়ার মানুষ হোম কোয়ারান্টাইনে থেকে নিজেদের আত্মরক্ষার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কি এক ভয়াবহ আতঙ্কিত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বিশ্ব জাহানের তামাম বানী আদম। একবিংশ শতাব্দীর মানুষের ভোগবাদী আর বস্তুবাদী চেতনায় অর্থনৈতিক সুবিধালাভের মানসিকতায় আত্মকেন্দ্রীক কর্মপ্রবাহ তাকে জঘন্য স্বার্থপরতার আকরে বন্ধি করে তোলে। রাজা থেকে প্রজা- যে যেখানে ক্ষমতাবান সে সেখানে নিয়মকে অনিয়মে, শৃঙ্খলাকে বিশৃঙ্খলায় রুপদান করে থাকে। মানবতা, মানবিকতা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের সংজ্ঞার পরিবর্তন দেখে হতাশ হয় ভোক্তভোগী আমজনতা। সবকিছু নিজের সুবিধা ও স্বার্থকে কেন্দ্র করে ঘটে থাকে। কিন্তু সব শক্তিমান লোকের উপরও মহা পরাক্রমশালী এক সত্ত্বা রয়েছেন যার নিরঙ্কুশ ক্ষমতায় পরিচালিত হয় এই বিশ্বজাহান। আজকের করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মানুষের সীমাদ্ধতার প্রকাশ ও স্রষ্টার একচ্ছত্র ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ মাত্র। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের এই মর্মে বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে যে, আল্লাহ তা‘আলার ফয়সালার বাহিরে কিছু হবে না। জন্ম-মৃত্যু সব কিছু নির্ধারিত রয়েছে তাঁর দফতরে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-
﴿وَلِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌ فَإِذَا جَاءَ أَجَلُهُمْ لَا يَسْتَأْخِرُوْنَ سَاعَةً وَلَا يَسْتَقْدِمُوْنَ﴾
“প্রত্যেক জাতির জন্য নির্দিষ্ট সময় আছে, অতঃপর যখন তাদের সময় অসবে তখন মুহুর্তকাল দেরি করতে পারবে না এবং এগিয়ে আনতেও পারবে না।”[১]
যার যখন মৃত্যু আসবে, তখন তাকে জগত ছাড়তে হবে- এই মানসিকতায় চলমান পরিস্থিতিতে মৃত্যুকে শহীদি মৃত্যু হিসেবে কামনা করতে হবে। রাসূল (সল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর হাদীসে এসেছে-
ঈমানদার মৃত্যুবরণ করলে তিনি শহীদী মর্যাদা পাবেন। এমনকি শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি লাভের হাদীসে বর্ণিত সাতটি মানদণ্ডের দ্বিতীয়টি হলো- যারা মহামারিতে ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণ করে, তারাও শহীদ। রাসূল (সল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে প্লেগ রোগ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন যে- ‘এটি ‘আযাব; আল্লাহ তা‘আলা যার প্রতি ইচ্ছা করেন এটা প্রেরণ করেন। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা একে মু’মিনের জন্য রহমত বানিয়ে দিলেন। ফলে (এখন) যে ব্যক্তি প্লেগ রোগে আক্রান্ত হবে এবং সে নিজে দেশে ধৈর্য সহকারে অবস্থান করবে, সে জানবে যে, তাকে তাই পৌঁছবে যা আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য লেখে দিয়েছেন। তাহলে সেই ব্যক্তির জন্য শহীদের মতো পুরস্কার রয়েছে।’[২]
এই হাদীসে মহামারিতে মৃত্যু শাহাদাত হিসেবে গণ্য হওয়ার জন্য যে তিনটি শর্ত রয়েছে তা হলো- ঈমানদার, ধৈর্য সহকারে মহামারি আক্রান্ত এলাকায় থাকবে। সে মহান আল্লাহর নি‘আমতের আশায় অবস্থান করবে। সে যখন বিশ্বাস করবে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে যাবতীয় তাকদীর নির্ধারিত হয়।
মানুষের জীবনে সবচেয়ে অনবদ্য ও অনিবার্য ঘটনা হলো মৃত্যু। কোন পরিস্থিতিতে, কোন জায়গায়, কখন ও কিভাবে মৃত্যু হবে তা পরিপূর্ণভাবে অনিশ্চিত। আল কুরআনের বাণী হলো-
﴿كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ ثُمَّ إِلَيْنَا تُرْجَعُوْنَ﴾
“প্রত্যেক ব্যক্তির মৃত্যু স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।”[৩]
মৃত ব্যক্তির জানাযার নামায ও দাফনে ‘র্ফজে ক্বিফায়া’ হিসেবে সাধারণ মুসলিমগণ সাধ্যমতো স্বতস্ফুর্তভাবে অংশ গ্রহণ করে থাকে। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসে মৃত ব্যক্তির লাশ দাফন নিয়ে আমাদের দেশে বিতর্ক তৈরী হয়েছে। এ জাতীয় মৃত দেহ ভাইরাসের খনি। রোগটিও ছোঁয়াচে হওয়ায় নিজের পরিবারের সদস্যগণও সালাতে জানাযা ও লাশ দাফনে অংশ গ্রহণ থেকে বিরত থাকে। ইতোমধ্যে কেউ কেউ লাশটি পুড়িয়ে ফেলার দাবী তুলেছেন। এটা অযৌক্তিক ও অন্যায় না কেবল; বরং লাশের সাথে বেয়াদবী; যা ধৃষ্টতা প্রদর্শনের শামিল। হাদীস থেকে জানা যায় মৃত লাশের তা’যিম বা সম্মান করা জীবিত ব্যক্তিদের দায়িত্ব। সেখানে কোনো মুসলিম ব্যক্তির লাশ পোড়ানোর তো প্রশ্নই আসে না। যে বা যারা এ বাগাড়াম্বর ও হঠকারী দাবী বা বক্তব্য রাখেন তাদের সাথে অন্তত ইসলামী চিন্তা-চেতনা নেই বলা যায়। করোনা বা কোনো দুরারোগ্য ব্যাধির কারণে মৃত ব্যক্তির লাশের ব্যাপারে চিকিৎসা বিজ্ঞানের যেমন একটি দৃষ্টিভঙ্গী রয়েছে; তেমনিভাবে ইসলামে আইন তথা ‘ইল্মে ফিকহেরও একটি পৃথক দৃষ্টিভঙ্গী রয়েছে। দু’টির মাঝে সমন্বয় সাধন করে আক্রান্ত ব্যক্তির জানাযা এবং পরবর্তী দাফন কাজ সম্পন্নই শুধু নয়; বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের সমন্বয় সাধন করতে হয়। এ জন্যই ইসলামে গবেষণা বা ইজতিহাদকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সুতরাং যদি মৃত দেহটি সমস্যাযুক্ত হয় এবং গোসল দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হয় তাহলে ‘ইল্মে ফিকহ, চিকিৎসা বিজ্ঞান ও সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের আইনকে বিবেচনায় নিয়ে এর সমাধান করতে হবে। যেহেতু করোনা একটি সংক্রামক ব্যাধি, তাই সবধরনের ব্যবস্থা করেই আল্লাহ তা‘আলার উপর ভরসা করতে হবে। সংক্রামক রোগের ধারণাকে অস্বীকার করে মালয়েশিয়া ও ফিলিস্তিনসহ কিছু ধর্মীয় সমাবেশ হওয়ার প্রেক্ষিতে এ রোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। আবেগী কিছু মানুষ অবিদ্যার কারণে চিকিৎসা বিজ্ঞানকে অগ্রাহ্য করে কথা বলে। সাধারণ মানুষের কাছে ইসলামকে পশ্চাৎপদ ও অনগ্রসর হিসেবে উপস্থাপন করে থাকে। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিকাশের যে গতিময়তা সে হিসেবে সমকালিন ‘ইল্মে ফিকহ’র গবেষণা ও বিকাশও দরকার। আমাদের দেশে উচ্চ লেভেলে বিভিন্ন কারণে তেমন উল্লেখযোগ্য গবেষণা না হলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলিম আইন বিশারদগণ এ গবেষণা চালাচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে এ দু’টি বিষয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমেই একজন মু’মিন-মুসলিম তার ব্যবহারিক জীবনকে সঠিকভাবে চালাতে পারে।
আমরা জানি আদম (‘আলাইহিস্ সালাম) থেকে এ পর্যন্ত যত নাবী-রাসূল এবং তাদের উত্তরসূরী মারা গেছেন সকলকে মাটিতে কবর দেওয়া হয়েছে। এটাই ইসলামের হাজার বছরের অনবদ্য ও শাশ্বত নিয়ম। মানুষ মারা গেলে এ গোসল দেওয়া ওয়াজিব। কারণ রাসূল (সল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সবসময় মৃতদেহকে গোসল করানোর জন্য আদেশ করেছেন। পানি নিয়ে, তাতে বিশেষ কিছু গাছের পাতা দিয়ে গোসল করাতে হয়। সুগন্ধিও ব্যবহার করা যায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা যদি কোনো মৃত দেহকে করোনা আক্রান্ত হিসেবে ঘোষণা দেয় বা করোনায় আক্রান্ত হয়ে যদি কেউ মারা যায়, তাহলে সে মৃত দেহ মুসলিম হিসেবে পরিপূর্ণ ইসলামী পদ্ধতিতে গোসল ও দাফন সম্পন্ন করতে হবে। মার্কিন যুক্তরারে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল’র (সিডিসি) কর্মকর্তাদের মতে, ‘যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, প্রটোকল এবং পিপিই পরিধান করে গোসল করানো যায়, তাহলে মৃত দেহ থেকে ভাইরাস সংক্রমনের আশঙ্কা আর থাকে না বললেই চলে। কারণ ভাইরাসটি আক্রান্ত রোগীর থুথু, কফ থেকে সংক্রমিত হয়। যেহেতু মৃত দেহ থেকে এ জাতীয় ড্রপলেট বের হওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই, তাই সংক্রমনের সুযোগও কমে যায়, ঝুঁকিও থাকে না। তবে সঠিক প্রোটেকল বা পিপিই না পরে গোসল করানো হয়, তাহলে সামান্য হলেও সংক্রমনের ঝুঁকি থাকে।’ এ জন্য পিপিই পরা এবং কীভাবে পরতে ও খুলতে হয়, তা যেমন জানতে হবে; পাশাপাশি মৃতকে গোসল দেওয়ার ইসলামী নিয়মও জানতে হবে। আর যদি মৃত দেহকে স্পর্শ করা না যায়, বিশেষ করে রোগীর অবস্থা ভিন্ন হলে অথবা যিনি গোসল করাবেন, তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতো কোনো ব্যবস্থা বা প্রটোকল জোগাড় করা না যায়, তখন মৃত দেহকে গোসল না করিয়ে; বরং উপর থেকে পানি ঢালতে হবে। কিন্তু তাকে স্পর্শ করা যাবে না। যদি চিকিৎসকরা পানি ব্যবহার করা নিষেধ করেন, অথবা গোসল করানোর মতো পানি না পাওয়া যায় কিংবা এমন কোনো পরিস্থিতি হয় যে, মৃত দেহতে পানি লাগালে রোগের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যাবে, তাহলে মৃত দেহতে তায়াম্মুম করাতে হবে। সে ক্ষেত্রে হাতে গ্লাভস পরিধান করে নেবে। তারপর কোনো একটি শুকনো জায়গায় হাত দু’টো ঘসে মৃতদেহের মুখ ও হাতে মাসেহ করতে হবে। পরবর্তীতো গ্লাভস দু’টো খুলে নিরাপদ জায়গায় ফেলে দেবে। এ মতটি শাফে‘য়ী মাযহাবের প্রখ্যাত ইমাম রামলি (রহিমাহুল্লা-হ)-এর। আর যদি ডাক্তার মৃতদেহের কাছেই যেতে নিষেধ করেন, তায়াম্মুম করানো ও সম্ভব না হয়, লকডাউনের কারণে বা অন্য কোনো কারণে নিরাপত্তামূলক কোনো সামগ্রীও না পাওয়া যায়, তখন গোসল বা তায়াম্মুম ছাড়াই মৃত দেহ দাফন করতে হবে। এটাই আইন, এটাই বাস্তবতা। আমাদের সেখানে বিকল্প কিছু করার সুযোগ বা ক্ষমতা নেই। আর আল্লাহ তা‘আলা নিশ্চয়ই আমাদের সে জন্য মাফ করে দেবেন। কারণ শরী‘আতের মূলনীতি হলো- পরিস্থিতি যত কঠিন হয়, শরী‘আতের বিধানও ততটাই সহজ হয়ে যায়।
এ মহামারি চলাকালিন সময়ে সালাতুল জানাযায় বেশী লোকের সমাগম না করে অল্প কিছু লোক জানাযা পড়ে নেবে। একজন দুইজনে এমনকি যিনি গোসল দিবেন তিনি একা একাই জানাযার নামায পড়ে নিতে পারবেন। এমনকি কোনো কারন ছাড়াই, মহামারির প্রকোপ ছাড়াই কবরস্থানে জানাযা পড়ার দৃষ্টান্তও ইসলামের ইতিহাসে রয়েছে। ‘আয়িশাহ্ (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্হা) এবং উম্মু সালমাহ্ (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্হা)-এর জানাযা জান্নাতুল বাকীতে হয়েছে। পরবর্তীতে ইবনু ‘উমার (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্হু)-এর ছাত্র প্রখ্যাত তাবেয়ী নাফি‘ (রহিমাহুল্লা-হ) বিষয়টা বর্ণনা করেন। তার বর্ণনায় জানা যায় যে, জান্নাতুল বাকীতে আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্হু) ‘আয়িশাহ্ (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্হা) জানাযায় ইমামতি করেন। আর ইবনু ‘উমার (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্হু) সেখানে উপস্থিত থাকলেও কোনো আপত্তি করেননি। তাই গোরস্থানেই জানাযা পড়ে নিতে হবে।
বাসায় বসে গায়বানা জানাযাও পড়া যাবে। শাফে‘য়ী ও হাম্বলী মাযহাবের মতে, কোনো কারণ ছাড়াই গায়েবানা জানাযা পড়া সম্ভব। মুসলিম বিশ্বের স্কলারগণ এই বিষয়ে একমত। সহীহুল বুখারী’র হাদীস থেকে জানা যায়, আবিসিনিয়ার রাজা নাজ্জ্বাশী ইন্তেকাল করার পর জিবরা-ঈল (‘আলাইহিস্ সালাম)-এর মাধ্যমে রাসূল (সল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সেই খবর পেয়ে যান। নাজ্জ্বাশীর মৃত দেহ তখন ছিলো আবিসিনিয়ায় আর নাবীজী (সল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অবস্থান করছিলেন মাদীনায়। তিনি তখনি সাহাবীদেরকে বললেন, ‘আমরা এখানেই আমাদের ভাই নাজ্জ্বাশীর গায়বানা জানাযা আদায় করব।’ এভাবেই মাদীনায় নাজ্জ্বাশীর গায়বানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
তাই ইসলামী চিন্তাবিদগণ একমত যে, যদি কেউ মৃত দেহের কাছে না যেতে পারে তাহলে সে যে কোনো স্থান থেকে জানাযা আদায় করতে পারেন। গায়বানা জানাযা ৪ তাকবিরে ক্বিবলামুখি হয়ে পড়তে হয়। প্রথম তাকবীরে সূরা আল ফাতিহাহ্। দ্বিতীয় তাকবীরে দুরুদ, তৃতীয় তাকবীরে মৃত ব্যক্তির জন্য দু‘আ, ৪র্থ তাকবীরে ‘রাব্বারা আতীনা ফিদ্দুনয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়াকিনা আযাবান নার’ বলে দুই দিকে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করবে।
ইসলামে কাপড় পেচিয়ে দাফন করার বিধান আছে। এ পদ্ধতি সুন্নাত। সুযোগ পাওয়া নাগেলে তাহলে কোনো কিছু দিয়ে পেছিয়ে মৃত দেহকে দাফন করতে হয়। উহুদ যুদ্ধের শহীদদের ক্ষেত্রে এমন হয়েছিল যে, কাপড়ই পাওয়া যাচ্ছিল না। শরীরের এক অঙ্গ আবৃত করলে অন্য কোন অঙ্গ অনাবৃত হয়ে যায়। আর এভাবেই তাদের দাফন করা হয়েছিল। তাই যে কোনো ব্যাগে পেছিয়েও যদি দাফন করা হয় তাহলে এ অস্বাভাবিক পরিস্থিতির বাস্তবতায় আমাদের তা মেনে নিতে হবে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে গেলে, জায়গার সঙ্কট দেখা দিলে তাহলে একই কবরে কয়েকজনকে একসাথে দাফন করা যাবে।

[১] সূরা আল আ‘রাফ ৭ : ৩৪।
[২] সহীহুল বুখারী- ৩৪৭৪।
[৩] সূরা আল ‘আনকাবূত ২৯ : ৫৭; আ-লি ‘ইমরান ৩ : ১৮৫; আল আম্বিয়া- ২১ : ৩৫।


আপনার মন্তব্য1

ঢাকায় সূর্যোদয় : 5:43:02 সূর্যাস্ত : 6:09:54

সাপ্তাহিক আরাফাতকে অনুসরণ করুন

@সাপ্তাহিক আরাফাত