সাময়িক প্রসঙ্গ
জিজ্ঞাসা ও জবাব
ফাতাওয়া বোর্ড, বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস

প্রশ্ন (০১) : সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণের সময় এমন কোন বৈধ কাজ আছে কি, যা বর্জন করা উচিত? যেমন- আহার গ্রহণ, স্ত্রী সহবাস ইত্যাদি। আলী আকবর

দেবিদ্বার, কুমিল্লা।

জবাব : সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণের সময় কোন কাজ অবৈধ নয়। তবে এটি মহান আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। বিধায় সে সময়ে মহান আল্লাহকে বেশী বেশী স্বরণ করা এবং সুন্নাহ  মোতাবিক সালাত আদায় করা উচিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন :

্রإِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لَا يَكْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلَا لِحَيَاتِهِ وَلَكِنَّهُمَا مِنْ آيَاتِ اللهِ يُخَوِّفُ اللهُ بِهِمَا عِبَادَهُ فَإِذَا رَأَيْتُمْ كُسُوْفًا فَاذْكُرُوْا اللهَ حَتّٰى يَنْجَلِيَاগ্ধ.

“নিশ্চয় সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণ কারো মৃত্যু বা জীবনের জন্য সংঘটিত হয় না; বরং এ দু‘টি মহান আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। এর দ্বারা তিনি তাঁর বান্দাদেরকে ভয় দেখান। অতএব, যদি তোমরা চন্দ্র-সূর্য গ্রহণ দেখো, তাহলে এটা বিলীন হওয়া পর্যন্ত তোমরা মহান আল্লাহকে স্বরণ করো।” 

উল্লেখ্য যে, আহার বা স্ত্রী সহবাস বর্জন কুসংষ্কার মাত্র।

প্রশ্ন (০২) : মৃত ব্যক্তিকে “ইয়া” বা “আইয়্যূহা” দ্বারা সম্বোধন করা যাবে না। যেমন- ইয়া নাবী! ইয়া ‘আলী! ইত্যাদি বলে ডাকা- কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে জায়িয কি? জানালে উপকৃত হবো। আবূ মুহাম্মদ

টঙ্গি, গাজীপুর।

জবাব : ‘ইয়া’ বা ‘আইয়্যূহা’ অব্যয় দু‘টি সামনে উপস্থিত কোন ব্যক্তিকে ডাকার জন্য ব্যবহার হয়। যেমন- ইয়া খালিদ! অর্থ : হে খালিদ! দূর থেকে কোন অনুপস্থিত ব্যক্তিকে ‘হে’ বলে ডাকা ব্যাকরণ বিরুদ্ধ। এমনকি বাস্তবতার বিপরীত। শুধু তাইনা-এটি নির্বুদ্ধিতা বা বোকামীর পরিচায়ক। কেননা, অনুপস্থিত ব্যক্তিকে ‘হে, হে’ বলে ডাকলে সে শুনবে না। আর মানুষ এরূপ আহ্বাবানকারীকে নিছক বোকা বা পাগল বলে মনে করবে। মানুষ মরে যাওয়ার পর সে দূরে চলে যায়। ইন্দ্রিয়শক্তি উঠিয়ে নেয়া হয়। ফলে তাকে কেউ কিছু শুনাতে পারে না। সে কারণেই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নাবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলেন :

﴿وَمَا يَسْتَوِيْ الْأَعْمَى وَالْبَصِيْرُ ۝ وَلَا الظُّلُمَاتُ وَلَا النُّوْرُ ۝ وَلَا الظِّلُّ وَلَا الْحَرُوْرُ ۝ وَمَا يَسْتَوِيْ الْأَحْيَاءُ وَلَا الْأَمْوَاتُ إِنَّ اللهَ يُسْمِعُ مَنْ يَشَاءُ وَمَا أَنْتَ بِمُسْمِعٍ مَنْ فِيْ الْقُبُوْرِ﴾

“আর সমান নয় অন্ধ ও চক্ষুষ্মান এবং না অন্ধকার ও আলো সমান এবং না ছায়া ও রৌদ্র। আর সমান নয় জীবিত ও মৃতরাও। নিশ্চয় আল্লাহ যাকে ইচ্ছা শুনাতে পারেন, ক্ববরবাসীকে তুমি শুনাতে পারবে না।” 

এ আয়াতসমূহ প্রমাণ করে যে, মানুষ মরে গেলে তাকে কেউ ডাকলে সে শুনবে না। অতএব, মৃত ব্যক্তিকে “ইয়া” বা “আইয়্যুহা” দ্বারা সম্বোধন করা যাবে না। তবে তাদের ক্ববরের পাশে উপস্থিত হলে নিকটবর্তী হওয়ায় ক্ববরবাসীকে “ইয়া” বা “আইয়্যুহা” দ্বারা সম্বোধন করা জায়িয। এরূপ ‘আমল হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।

“ইয়া” বা “আইয়্যুহা” দ্বারা সম্বোধন করা যায় ঐ সত্ত্বাকে, যার কাছে দূর ও নিকট সমান। আর তিনি হচ্ছেন আল্লাহ তা‘আলা। কাজেই তাঁকেই কেবল ‘ইয়া’ বা ‘হে’ দ্বারা সর্বাবস্থায় ডাকা যাবে। যেমন- ‘ইয়া আল্লাহ! অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমাকে ডাকছি, তোমার সাহায্য চাচ্ছি এবং তোমারই কাছে আমার যত চাওয়া-পাওয়া। মূলতঃ এ ডাক মানে ‘ইবাদত। আর যাবতীয় ‘ইবাদতের একমাত্র হক্বদার আল্লাহ তা‘আলা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :

﴿وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُوْنِيْ أَسْتَجِبْ لَكُمْ إِنَّ الَّذِيْنَ يَسْتَكْبِرُوْنَ عَنْ عِبَادَتِيْ سَيَدْخُلُوْنَ جَهَنَّمَ دَاخِرِيْنَ﴾

“আর তোমাদের রব বলেন : তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাক শুনব। নিশ্চয়ই যারা আমার ‘ইবাদত হতে অহংকারবশতঃ বিমুখ থাকবে, তারা অবশ্যই লাঞ্চিত অবস্থায় জাহানামে প্রবেশ করবে।” 

মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর শ্রেষ্ট বান্দাহ ও রাসূল। তাঁর মৃত্যু হয় ১১ হিজরীতে। তাঁকে গোসল দেয়া হয়েছে, সালাত পড়া হয়েছে এবং তাঁকে দাফন করা হয়েছে। কাজেই তাঁকে ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! বলে দূর থেকে ডাকা যাবে না। তাঁর ক্ববরের কাছে গেলে ‘ইয়া’ বলে সম্বোধন করে সালাম দেয়া যাবে। আর দূর বা কাছ থেকে তাঁর প্রতি সালাত ও সালাম পাঠ করলে তা তাঁর নিকট পৌঁছে দেয়া হয়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন :

لَا تَتَّخِذُوْا قَبْرِيْ عِيْدًا وَلَا تَجْعَلُوْا بُيُوْتَكُمْ قُبُوْرًا وَحَيْثُمَا كُنْتُمْ فَصَلُّوْا عَلَيَّ فَإِنَّ صَلَاتَكُمْ تَبْلُغُنِيْ.

“তোমরা আমার ক্ববরকে উৎসব হিসেবে গ্রহণ করো না, তোমাদের ঘরসমূহকে ক্ববর বানাবে না। আর তোমরা যেখানেই থাকোÑ আমার প্রতি সালাত তথা দরূদ পাঠ করো। নিশ্চয় তোমাদের সালাত আমার কাছে পৌঁছে।” 

উল্লেখ্য যে, ‘ইয়া ‘আলী! বলে ডাকা শী‘আদের র্শিকী ‘আমল। এটা হতে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে; নতুবা র্শিকের মহাপাপে অভিযুক্ত হতে হবে।

প্রশ্ন (০৩) : আমরা মুসলিম প্রধান দেশ। আমাদের অনেক পরিবারের কর্তা কিংবা বিবাহিত পুরুষ বিদেশে কাজ করেন। আবার এমনও অনেকে আছেনÑ যারা দেশের অন্য জেলায় কর্মরত থাকার অজুহাতে দীর্ঘ দিন বাড়ী যান না। আমার প্রশ্ন : পরিবার-পরিজন ও স্ত্রী ছেড়ে এক নাগাড়ে কতদিন পর্যন্ত বিদেশে অবস্থান করা যাবে? এ ব্যাপারে শরী‘আতের দিক-নির্দেশনা কী? জানালে খুশী হবো। মো. হাসান জামিল

চ-িপুর, ঝিনাইদহ।

জবাব : মূলতঃ মহান আল্লাহর পর জমিনে স্ত্রীর হিফাযতকারী হচ্ছে তার স্বামী।

﴿الرِّجَالُ قَوَّامُوْنَ عَلٰى النِّسَاءِ بِمَا فَضَّلَ اللهُ بَعْضَهُمْ عَلٰى بَعْضٍ وَبِمَا أَنْفَقُوْا مِنْ أَمْوَالِهِمْ﴾

“পুরুষেরা নারীদের উপর কর্তৃত্ত্বশীল। যেহেতু আল্লাহ তাদের মধ্যে একের উপর অপরকে প্রাধান্য দিয়েছেন এ কারণে যে তারা স্বীয় ধন-সম্পদ হতে ব্যয় করে থাকে.....।” 

এ জন্য রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পরিবার থেকে দূরে থাকতে নিষেধ করেছেন। অগত্যা পরিবারের প্রয়োজনে দূরে গেলেও কাজ শেষ হওয়ার পর দ্রুত পরিবারের কাছে ফিরে আসতে নির্দেশ দিয়েছেন। আর স্ত্রী থেকে দূরে থাকার বিষয় (অর্থাৎ- স্ত্রীর দৈহিক চাহিদা পূরণ হতে দূরে থাকা) সম্পর্কে খলীফা ‘উমার (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্হু) সর্বোচ্চ ০৪ (চার) মাস সময় বেঁধে দিয়েছেন। আর এ মাস‘আলায় ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ্ (রাহিমাহুল্লা-হ) ৬ মাস পর্যন্ত বৈধ বলেছেন। 

মোদ্দাকথাÑ স্ত্রীর চাহিদা না মিটিয়ে বা তার স্বাভাবিক অনুমতি ছাড়া ৬ (ছয়) মাসের বেশি পরিবার থেকে দূরে থাকা যাবে না। সার্বিক বিবেচনায় এ বিষয়ে মুসলিম পরিবারের কর্তাকে সজাগ দৃষ্টি রাখা উচিত।

প্রশ্ন (০৪) : ওয়েযকুরুনীর পরিচয় ও মর্যাদা সম্পর্কে বিশুদ্ধ তথ্য জানিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা ভাঙাতে সাহায্য করবেন। সুমাইয়া

কাউলা, ঢাকা।

জবাব : আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে যে, উল্লিখিত ব্যক্তির নাম ‘ওয়াসকুরুনী’ বা ‘ওয়েযকুরুনী’। ওহুদ যুদ্ধে রাসূল (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর দাঁত ভেঙ্গে যাওয়ার খবর শুনে তিনি নাকি তাঁর দাঁত ভাঙ্গা শুরু করেন। তিনি নিশ্চিত হতে পারেননি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কোন দাঁত ভেঙ্গে ছিল। তাই সন্দেহ এড়াতে তিনি একে একে তাঁর সব ক‘টি দাঁত ভেঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর প্রেমের প্রমাণ দিয়ে ছিলেন। আসলে এটি একটি বহুল প্রচলিত বানোয়াট ও ভিত্তিহীন কল্পকাহিনী। আসল কথা হলোÑ তাঁর নাম উয়াইস, পিতা আবূ ‘আম্র/আবূ ‘আমের আল-ক্বারনী। তিনি ইয়ামানের বাসিন্দা ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নবুওয়্যাত কাল পেলেও নিজ  মায়ের সেবার বাধ্যবধকাতা থাকার কারণে তার (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সাথে সাক্ষাৎ করতে পারেননি। তবে অনেক সাহাবীর (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্হুম) সান্নিধ্য পাওয়ার কারণে তাকে একজন বিশিষ্ট তাবেঈ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করা হয়। সহীহ মুসলিমে বর্ণিত রয়েছে যে, খলিফা ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্হু) ইয়ামানে পৌঁছে জিজ্ঞেস করেছিলেন তোমাদের মাঝে কি উয়াইস ইবনু ‘আমির আছে? অতঃপর তিনি তার সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তার কাছে দু‘আ চান। আর বলেন : রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)  এই মর্মে তার কাছে দু‘আ চাইতে পরামর্শ দিয়েছেন। 

প্রশ্ন (০৫) : সালাতে পাগড়ী পরার হুকুম কি? ইমাম সাহেব কি শুধু জুমু‘আর সালাতে পাগড়ী পরে সালাত আদায় করতে পারবেন? ডাঃ আরিফুল ইসলাম

বগুড়া।

জবাব : পাগড়ী একটি সুন্দর পোশাক। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পাগড়ী পরেছেন।  কিন্তু সালাতের কোন পোশাক হিসেবে নির্ধারণ করেননি। কাজেই সালাত কিংবা সালাতের বাইরে যে কেউ পাগড়ী পরতে পারেন। কোন ওয়াক্তের জন্য এটি নির্দিষ্ট করা সঠিক হবে না। আর পাগড়ী পরে সালাত আদায় করলে সত্তর (৭০) গুণ নেকী বেশী হবে Ñমর্মে প্রচলিত হাদীসখানা য‘ঈফ। 

প্রশ্ন (০৬) : মাঠে কি চাঁদ, তারার ছবি অংকন করা যাবে?

শাইখ আতাউর রহমান

খত্বিব- মনিপুর বাজার জামে মাসজিদ, গাজীপুর।

জবাব : চাঁদ ও তারার ছবি অংকণ করলে কোন দোষ হবে না। কেননা, এগুলো জাগতিক প্রাণী নয় এবং ইসলামী কোন নিদর্শনও নয়। এটি দ্বারা মাস ও সময় নির্ধারণ করা হয়ে থাকে মাত্র।

প্রশ্ন (০৭) : হানাফি মাজহাবের ভায়েরা জুমু‘আর দিনে দুই আযান দেন। আমাদের আহলে হাদীসের কিছু মাসজিদে দুই আযান এবং কিছু মাসজিদে এক আযান দেয়া হয়। আসলে সঠিক কোন্টি? রালূলুল্লাহ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কোন্টি করেছেন?

সারওয়ার জাহান, পবা, রাজশাহী।

জবাব : রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম), আবূ বকর ও ‘উমার (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্হু)-এর যামানায় জুমু‘আর একটি আযান ছিল। অতঃপর ‘উসমান (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্হু)-এর খিলাফতকালে অবস্থার প্রেক্ষিত বিবেচনা করে তিনি জুমু‘আর আযানের আগে মাসজিদ থেকে দূরে লোকসমাগমের জায়গা বাজারে আরও একটি আযান চালু করেছিলেন। যখন তিনি (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্হু) এ আযান চালু করেন, তখন অসংখ্য খ্যাতনামা সাহাবী (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্হু) বিদ্যমান ছিলেন। তাঁরা কেউ এ আযানের বিরোধিতা করেননি। তাই বুঝা যায় যে, এ আযানের প্রতি তৎকালীন সাহাবা (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্হুম)-দের সম্মতি ছিল। আর কোন বিষয়ে সাহাবাদের ‘আমল পাওয়া গেলে তা ‘আমলযোগ্য। জুমু‘আর আযানের ব্যাপারে দেখা যায়-রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সময়ে একটি আযান ছিল। তবে কেউ যদি দু’টি আযান দেয়, তাহলে সেটাকেও প্রত্যাখান করা যাবে না। কেননা, তাতে সাহাবী (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্হু)’র ‘আমল স্পষ্ট দলীল দ্বারা প্রমাণিত। এছাড়া মহানাবী (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেছেন :

“আমার সুন্নাতের উপর ‘আমল করো এবং খুলাফায়ে রাশেদার সুন্নাতের উপর ‘আমল করো।”

সুতরাং জুমু‘আর সালাতে দুই আযান দিলে মহানাবী (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং খুলাফায়ে রাশেদার সুন্নারে উপর ‘আমল হয়ে যায়। কাজেই এতে কোনো সমস্যা নেই।

প্রশ্ন (০৮) : আমরা জানি যে, তিলাওয়াতের সাজদার নির্ধারিত দু‘আ আছে। যদি কোন ব্যক্তি ঐ দু‘আ না জানে, তাহলে তিলাওয়াতের সাজদায় কি পড়বে? মেহেরবানী করে সঠিক জবাব দানে ধন্য করবেন।

গোলাম কিবরিয়া সরকার

টংগী, গাজীপুর।

জবাব : তিলাওয়াতের সাজদায় নি¤œ দু‘আটি পাঠ করা হয়Ñ

্রسَجَدَ وَجْهِيْ لِلَّذِيْ خَلَقَهُ وَصَوَّرَهُ، وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ، بِحَوْلِهِ وَقُوَّتِهِগ্ধ.

এটি সুনানের কিতাবে ‘আয়িশাহ্ (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্হা) হতে বর্ণিত হয়েছে। 

সনদে ইখতেলাফ থাকায় হাদীসটি য‘ঈফ। তবে ‘আলী (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্হু) হতে অপরসূত্রে সালাতের সাজদায় পঠিত দু‘আ হিসাবে বর্ণিত হয়েছে, যা সহীহ। অতএব বলা যায় যে, উক্ত দু‘আটি পাঠ করতে হবেÑ এমনটি জরুরী নয়; বরং সালাতের সাজদায় যে সকল তাসবীহ পড়া সহীহ সনদে প্রমাণিত, এর যে কোন একাটি পাঠ করলেই তিলাওয়াতের সাজদাহ্ আদায় হয়ে যাবে।

প্রশ্ন (০৯) : যদি কোন ব্যক্তির সালাত অবস্থায় ওযূ ছুটে যায়, তাহলে সে মুক্তাদিদের সামনে দিয়ে কিভাবে বের হবে? দলীলসহ বলবেন। আব্দুল হালীম

শেরপুর।

জবাব : ওযূ ছুটে গেলে সালাত বাত্বিল হয়ে যাবে। এতাবস্থায় জামা‘আত ছেড়ে স্বাভাবিকভাবে বেরিয়ে পড়বেন এবং পুনরায় ওযূ করে জামা‘আতে শামিল হবেন। আর যদি একাকি সালাত আদায় করেন, তাহলে নিজে নিজে আবার নতুন করে সালাত শুরু করবেন। এ মর্মে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন :

্রلَا تُقْبَلُ صَلَاةُ أَحَدِكُمْ إِذَا أَحْدَثَ حَتّٰى يَتَوَضَّأَগ্ধ.

“তোমাদের কারু ওযূ ভেঙ্গে গেলে ওযূ না করা পর্যন্ত সালাত ক্ববুল করা হবে না।” 

কাজেই নুতনভাবে ওযূ করে সালাত আদায় করতে হবে।

প্রশ্ন (১০) : যদি আমার ঈদের সালাতে ৩য় তাকবীর ছুটে যায় এমন অবস্থায় আমি কি করব? পুনরায় তাকবীর পরব, না-কি ইমামের সাথে সূরা আল ফাতিহা পরব? মোঃ মিকাঈল ফকির

গোপালগঞ্জ।

জবাব : ঈদের সালাতের অতিরিক্ত তাকবীরসমূহ সুন্নাত। ভুলবশতঃ কারো কোন একটি তাকবীর ছুটে গেলে সালাত আদায় হয়ে যাবে। ঐ ছুটে যাওয়া তাকবীর দিতে হবে না। কাজেই যথারীতি বাকী সালাত আদায় করবে।

প্রশ্ন (১১) : ফরয/সুন্নাত সালাতের সামনে দিয়ে যাওয়ার বিধান কি? কোন কোন মাসজিদে দেখা যায়, অনেকটি সুতরা রাখা আছে। অনেকে কোন মুসল্লি‘র সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় একটি সুতরা দিয়ে চলে যান। এটি কি সুন্নাহ সম্মত? ফয়েজ আহমাদ

কাপাশিয়া, গাজীপুর।

জবাব : কোন মুসল্লি চাহে তিনি র্ফয বা সুন্নাত সালাত আদায় করেন, তার সামনে দিয়ে যাওয়া একটি গর্হিত অপরাধ। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন :

্রلَوْ يَعْلَمُ الْمَارُّ بَيْنَ يَدَىِ الْمُصَلِّى مَاذَا عَلَيْهِ لَكَانَ أَنْ يَقِفَ أَرْبَعِيْنَ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَمُرَّ بَيْنَ يَدَيْهِগ্ধ.

“যদি মুসল্লি‘র সামনে দিয়ে যাওয়ায় তার উপর কি পরিণতি বর্তাবে তা সম্পর্কে অতিক্রমকারী জানত, তাহলে তার সামনে দিয়ে যাওয়ার চেয়ে চল্লিশ (দিন, মাস বা বছর) দাঁড়িয়ে থাকা তার জন্য ভালো হত।” 

তবে এ জন্য মাসজিদে সুতরা রাখার বিষয়ে কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। আর সুতরা ব্যবহার করার দায়িত্ব সালাত আদায়কারী ব্যক্তির উপর বর্তায়। কাজেই অপর ব্যক্তি ঐ মুসল্লি‘র সামনে সুতরা দিয়ে চলে যাবেন, তা সুন্নাহ বিরোধী কাজ Ñআল্লা-হু আ‘লাম।

প্রশ্ন (১২) : গোসলখানায় ওযূ করলে কি ‘বিস্মিল্লা-হ’ বলা যাবে? বর্তমানে প্রায় বাসা-বাড়িতে গোসলখানায় ওযূ করতে হয়। এক্ষুণে কিভাবে আমাদের ওযূ সঠিক হবে? হা. আব্দুল্লাহ

ইসলামপুর, জামালপুর।

জবাব : এটি বর্তমান যুগের বহুল আলোচিত জিজ্ঞাসা। ওযূর শুরুতে ‘বিস্মিল্লা-হ’ বলাকে একদল ‘আলেম ওয়াজিব বলেছেন। তাদের মতে ওয়াজিব হওয়ার করণে তা বলতে হবে যদিও সেটি গোসলখানা হয়। আর যারা ‘বিস্মিল্লা-হ’ বলাকে সুন্নাত বলেন, তারা গোসলখানায় আস্তে আস্তে এটা পাঠ করতে বলেছেন। 

সবচেয়ে উত্তম হবে আলাদা জায়গায় সুন্নাহ অনুযায়ী ওযূ করা। অগত্যা গোসলখানা ছাড়া কোন উপায় না থাকলে পেশাব-পায়খানার জায়গা হতে সরে এসে নি¤œস্বরে ‘বিস্মিল্লা-হ’ বলে ওযূ করবেন Ñআল্লা-হু আ‘লাম।

প্রশ্ন (১৩) : আমি যদি মাগরিবের বা চার রাক‘আত বিশিষ্ট সালাতের জামা‘আত ধরতে গিয়ে ইমামের সাথে মাত্র এক রাকা‘আত বা দুই রাকা‘আত পাই, বাকী রাক‘আতগুলো আমি কিভাবে পূর্ণ করব? শুধু সূরা ফাতিহাহ্ দিয়ে পূর্ণ করব? না কি আমাকে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলাতে হবে। বিস্তারিত জানতে চাই? মোঃ নজরুল ইসলাম

সভাপতি- দোরমুটিয়া শুব্বান শাখা,

যশোর, কেশবপুর।

জবাব : ইমাম সালাম ফিরানোর পর আপনি তাকবীর দিয়ে দাঁড়িয়ে যথারীতি সূরা আল ফাতিহাহ্ দিয়ে অবশিষ্ট সালাত সম্পন্ন করবেন। ইমামের সাথে যখন আপনি শরিক হবেন, তখন ঐ রাকা‘আত ইমামের শেষ রাকা‘আত হলেও তা আপনার জন্য প্রথম রাকা‘আত বলে গন্য হবে। কেননা, সালাত উল্টো দিকে হাঁটে না। সে কারণে আপনাকে জামা‘আতে শামিল হতে প্রথমে তাকবীরে তাহরিমা বলে সালাতে প্রবেশ করতে হয়। আর এটি সন্দেহাতীত যে, তাকবীরে তাহরীমা শুরু হয় : শেষে নয়। এ প্রসঙ্গে রাসূল (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন :

্রإِذَا ثُوِّبَ لِلصَّلَاةِ فَلَا تَأْتُوْهَا وَأَنْتُمْ تَسْعَوْنَ، وَأْتُوْهَا وَعَلَيْكُمُ السَّكِيْنَةُ، فَمَا أَدْرَكْتُمْ فَصَلُّوْا، وَمَا فَاتَكُمْ فَأَتِمُّوْاগ্ধ.

যখন সালাত ক্বায়েম হয়, তখন তোমরা দ্রুত করে হেঁটে এসো না; বরং তাতে তোমরা ধীরস্থিরভাবে এসো। (ইমামের সাথে) যা পাবে, তা পড়ো এবং যা ছুটে যাবে, তা পুরা করে নিও! 

প্রশ্ন (১৪) : একটি বইয়ে দেখলাম কবরের পাশে দাঁড়িয়ে সূরা আল মুল্ক পাঠ করলে ৪০ দিনের গোর-‘আযাব মাফ হয়। লেখাটি হাদীস দ্বারা প্রমাণিত কি?

মোঃ মাযহারুল ইসলাম

বগুড়া।

জবাব : সূরা আল মুল্ক ক্ববরের পাশে দাঁড়িয়ে পাঠ করলে ৪০ দিনের গোর-আযাব মাফ হয় Ñমর্মে কোন বিশুদ্ধ হাদীস নেই। তবে কোন মুসলিম পূর্ণ ঈমান সহকারে এ সূরাটি পাঠ করলে এবং সে অনুযায়ী ‘আমল করলে ক্ববরের ‘আযাব থেকে রক্ষা পেতে পারে। এ মর্মে প্রিয় নাবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন :

্রإِنَّ سُوْرَةً مِنَ القُرْآنِ ثَلَاثُوْنَ آيَةً شَفَعَتْ لِرَجُلٍ حَتّٰى غُفِرَ لَهُ، وَهِيَ سُوْرَةُ تَبَارَكَ الَّذِيْ بِيَدِهِ المُلْكُগ্ধ.

“নিশ্চয়ই আল-কুরআনে ত্রিশ (৩০) আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরা আছে, এটি পাঠকারী ব্যক্তির জন্য শাফা‘আত করবে। ফলে তাকে ক্ষমা করা হবে। আর সে সূরাটি হলোÑ ‘তাবা-রাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলক্’।” 

অনুরূপভাবে সাহাবী ইবনু মাস‘ঊদ (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্হু) হতেও এমন বর্ণনা রয়েছে, যা এ সূরাটির বিশেষ ফযীলত প্রমাণ করে। 

তবে ক্ববরের পাশে অন্য কেউ পড়লে গোর-‘আযাব মাফ হয়ে যাবেÑ একথা মোটেও সঠিক নয়।

প্রশ্ন (১৫) : আমাদের সমাজে টাকার বিনিময়ে জমিন বন্ধক রাখা হয়। আর ঐ বন্ধকী জমিন গ্রহীতা চাষাবাদ করে এর ফসল খান। এভাবে জমিন বন্ধক দেয়া এবং ফসল খাওয়া কতখানি ইসলাম সম্মত? সঠিক জবাব দিয়ে বাধিত করবেন। মো. শাহাদাত হোসেন

কেশবপুর, যশোর।

জবাব : বন্ধক হলো জামানত। এটাকে কুরআন ও সুন্নাহর ভাষায় ‘রিহান’ বলা হয়। প্রয়োজনের তাগিদে কোন ব্যক্তি ধার-কর্য করলে তা পরিশোধ করবে বলে বিশ্বাস যোগাতে কর্য দাতার কাছে যে সম্পত্তি জামানত রাখে, এটিই ‘রিহান’ বা বন্ধক। আর বন্ধকী সম্পত্তি হচ্ছে আমানত। কর্য পরিশোধ করা মাত্রই তা মালিকের নিকট যথাযথভাবে ফেরত দিতে হবে। এই বন্ধক বা আমানত যদি গবাদি পশু হয়, তাহলে এটা প্রতিপালনে শ্রম ও অর্থ ব্যয় করতে হবে; নতুবা এটা ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই এই পরিশ্রম ও খরচের বিনিময়ে আমানতদার তার দুধ পান বা অন্য কোন বৈধ সেবা সাময়িক গ্রহন করতে পারেন। এর অনুমতি ইসলাম প্রদান করেছে। 

পক্ষান্তরে জমির বেলায় অনুরূপ পরিশ্রম ও খরচ করতে হয় না, বিধায় বন্ধকী তথা আমানত রাখা জমিতে চাষ করে ফল ভোগ করা যাবে না। কেননা ঋণের বিনিময়ে কোন ফায়দা ভোগ করা হবে, তা সুদ হিসেবে গন্য হবে।

প্রশ্ন (১৬) : বর্তমান শীত মৌসুমে আমরা উলের তৈরী মোযা পরি। এ ধরনের মোযার উপর মাসেহ করা যাবে কি? আমাদের সমাজের কিছু কিছু আলেম বলেনÑ এরূপ কটন বা সমজাতীয় তৈরী মোযার উপর মাসেহ চলবে না; মাসেহ করতে হলে মোযা অবশ্যই চামড়ার হতে হবে Ñতাদের এ বক্তব্য কতখানি সঠিক?

আহসান হাবীব

পীরগঞ্জ, রংপুর।

জবাব : পায়ের যে অংশ ওযূতে ধৌত করা র্ফয, সে অংশ যে কোন পবিত্র মোযা বা কাপড়ের পট্টি দ্বারা আবৃত্ত থাকলে তাতে মাসেহ করা যাবে। সাহাবী মুগীরাহ্ ইবনু শুবাহ্ (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্হু) বর্ণনা করেন :

্রأَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ تَوَضَّأَ وَمَسَحَ عَلٰى الْجَوْرَبَيْنِ، وَالنَّعْلَيْنِগ্ধ.

“নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ওযূ করলেন এবং জাওরাব ও জুতার উপর মাসেহ করলেন।” 

উল্লেখ্য যে, জাওরাব বলা হয় কাপড় দিয়ে পট্টি বাঁধাকে। আর এটা সকলের কাছে বোধগম্য যে, উল বা কটন দিয়ে তৈরী মোযা কাপড় পেঁচানো পট্টির অন্তর্গত। তাছাড়া মোযার উপর মাসেহ-এর বিধান মূলতঃ উম্মাতের জন্য সহজ ব্যবস্থা। এটা মহান আল্লাহর বিশেষ রহমত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যেখানে জাওরাব-এর উপর মাসেহ করেছেন এবং এর উপর তাঁর অনেক সাহাবী‘র ‘আমল বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত।

উপরন্তু রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মোযার উপর মাসেহ বৈধ হওয়ার জন্য চামড়ার মোযা হতে হবে মর্মে কোন শর্ত আরোপ করেননি। তাই সুন্নাত-এর বেলায় আমাদের কারু মাতব্বরী ঠিক হবে না। কাজেই কাপড়ের হোক বা চামড়ার হোক, মোযা হলেই এবং ওযূ অবস্থায় পরিধান করলে তাতে মাসেহ করা চলবে। ###



 ) সহীহ মুসলিম- হা/২১৩৪।

  আল-কুরআন : সূরা ফা-ত্বির/১৯-২২।

  আল-কুরআন : সূরা আল মু‘মিন/৬০।

  মুসনাদে আহমাদ- হা/৮৮০৪।

  আল-কুরআন : সূরা আন্ নিসা/৩৪।

  আল-মাওসূ‘আ আল-ফিকহিয়্যাহ- ২৯/৬৩ ও ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্- ৩/২১২।

 ) সহীহ মুসলিম- হা/২৫৪২।

 ) সহীহুল বুখারী- হা/১৮২,২০৫, সহীহ মুসলিম- হা/২৭৪।

 ) সিলসিলাতুয্ য‘ঈফাহ্- আলবানী, হা/১২৮ ও ৫৬৯৯ (বানোয়াট)।

  আবূ দাঊদ- হা/১৪১৪, আত্ তিরমিযী- হা/৫৮০, সহীহ।

 ) সহীহুল বুখারী- হা/৬৪৪০ ও সহীহ মুসলিম- হা/৩৩০।

 ) সুনান আবূ দাঊদ- হা/৭০১ (সহীহ)।

 ) মাজমূ‘আ ফাতাওয়া ইবনু বায- ১০/২৮ পৃঃ ও আল-লাজনাহ আদ-দাইমিয়্যাহ- ৫/৯৫।

সহীহ মুসলিম- হা/১৩৮৯, সুনান ইবনু মাজাহ্- হা/৭৭৫ (সহীহ), সুনান আত্ তিরমিযী- হা/৩২৭ (সহীহ), সুনান আবূ দাঊদ- হা/৫৭২ (সহীহ), সহীহুল বুখারী- হা/৩৩৬ (আংশিক শাব্দিক পরিবর্তনসহ)।

 ) সুনান আত্ তিরমিযী- হা/২৮৯১, সুনান আবূ দাঊদ- হা/১৪০০, সুনান ইবনু মাজাহ্- হা/৩৭৮৬, সহীহ ইবনু মাজাহ্ লিল আল-বানী- হা/৩০৫৩।

 ) সহীহুত্ তারগীব ওয়াত্ তারহিব- হা/১৪৭৫।

  সহীহুল বুখারী- হা/২৫১২, সুনান আত্ তিরমিযী- হা/১২৫৪ ও সুনান ইবনু মাজাহ্- হা/২৪৪০।

সুনান আবূ দাঊদ- হা/১৫৬, সুনান আত্ তিরমিযী- হা/৯৯ (সহীহ) ও ইরওয়া/১০১।



আপনার মন্তব্য1

ঢাকায় সূর্যোদয় : 6:17:45 সূর্যাস্ত : 5:11:51

সাপ্তাহিক আরাফাতকে অনুসরণ করুন

@সাপ্তাহিক আরাফাত