রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বাণীÑ
عَنْ أَبِىْ ذَرٍّ جُنْدُبِ بْنِ جُنَادَةَ وَأَبِىْ عَبْدِ اللهِ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ (رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا) قَالَ : قَالَ لِىْ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ : ্রاتَّقِ اللهِ حَيْثُمَا كُنْتَ، وَأَتْبِعِ السَّيِّئَةَ الحَسَنَةَ تَمْحُهَا، وَخَالِقِ النَّاسَ بِخُلُقٍ حَسَنٍগ্ধ.
হাদীসের সরল অনুবাদ : আবূ যার জুনদুব ইবনু জুনাদাহ্ এবং আবূ ‘আব্দুল্লাহ মু‘আয ইবনু জাবাল (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্হুমা) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন : তুমি যেখানেই থাকো মহান আল্লাহকে ভয় করো, অন্যায় করার পর ভাল কাজের অনুকরণ করো তাহলে অন্যায়টিকে ভাল কাজটি মিটিয়ে দিবে এবং মানুষের সাথে ভাল আচরণ করো।
রাবি পরিচিতি : أَبُوْ ذَرٍّ-আবূ যার। নামÑ জুনদুব ইবনু জুনাদাহ্ ইবনে সুফ্ইয়ান। বংশÑ গিফার আল কিনানী। ডাকনামÑ আবূ যার। জন্মÑ মদীনা মুনাওয়ারা, গিফার গোত্রে তার জন্ম হয়। ইসলাম গ্রহণÑ ইসলাম গ্রহণের দিক দিয়ে চতুর্থ বা পঞ্চম ব্যক্তি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে সর্বপ্রথম তিনি ইসলামী তাহিইয়্যা তথা সালাম জানান। মক্কায় তিনিই সর্বপ্রথম প্রকাশ্যভাবে ইসলামের ঘোষণা করেন। মৃত্যুÑ তিনি মদীনা থেকে ২০০ কি.মি. দূরে হানকিয়া শহরে ৩২ হিজরীতে মৃত্যু বরণ করেন।
নামÑ মু‘আয ইবনু জাবাল খাযরাজী আনসারী। উপাধীÑ তার উপাধী ইমামুল উলামা। জন্মÑ ৬০২ খ্রিস্টাব্দে। ইসলাম গ্রহণÑ তিনি ১৮ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেন, বদরসহ অন্যান্য যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছেন। যখন তাকে রাসূল (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইয়ামানে পাঠিয়েছিলেন, তখন তার বয়স ছিল ২৮ বছর। মৃত্যুÑ তিনি ১৮ হিজরীতে জর্ডানে মৃত্যু বরণ করেন।
হাদীসের দিক নির্দেশনা : এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে কিছু বিষয়ে উপদেশ দিয়েছেন। এ উপদেশ ও দিক নির্দেশনা যদি আমরা আমাদের জীবনে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে ইহকালীন এবং পরকালীন জীবনে কল্যাণ ও মুক্তি লাভ করতে পারব Ñইন্শা-আল্লাহ। পক্ষান্তরে এগুলো যদি আমরা আমাদের জীবনে বাস্তবায়নে ব্যর্থ হই তবে ইহকালীন জীবন অত্যন্ত সংকীর্ণ হয়ে আসবে, সেই সাথে পরকালে আল্লাহ তা‘আলার কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের প্রত্যেককে এগুলো বাস্তবায়নের তাওফীক্ব দান করুন Ñআমীন।
হাদীসের ব্যাখ্যা :
প্রথম উপদেশÑ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর উপদেশগুলোর মধ্যে প্রথম উপদেশ হচ্ছেÑ
্রاتَّقِ اللهَ حَيْثُمَا كُنْتَগ্ধ.
“আল্লাহ তা‘আলার ভয় তথা তাক্ওয়া অর্জনের উপদেশ।”
তুমি যেখানে যে অবস্থায় থাকো না কেন মহান আল্লাহকে ভয় করো। সেটা জনসম্মুখে হোক বা নির্জনে রাস্তায় হোক বা বাড়ীতে হোক, দিনের আলোতে হোক বা রাত্রির অন্ধকারে হোক সর্বাবস্থায় তুমি মহান আল্লাহকে ভয় করো।
্রتقوىগ্ধ-এর ব্যাখ্যা : ্রتقوىগ্ধ-এর মূল ধাতু ্রوق ىগ্ধ-আর তা হলোÑ একটি জিনিসকে অপর একটি জিনিসের মাধ্যমে দূর করা। যেমন- রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন :
্রاتقو الله ولوبشق تمرةগ্ধ.
“আল্লাহকে ভয় করো যদিও একটি খেজুর টুকরার মাধ্যমে হয়।”
তিনি (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতে চাচ্ছেন খেজুরের টুকরাকে তোমার এবং আগুনের মাঝে বাঁচার মাধ্যম করো (ঢাল বানাও)।
পারিভাষিক অর্থ : সাধ্যানুযায়ী আল্লাহ তা‘আলার প্রতিটি নির্দেশ বাস্তবায়ন করা এবং প্রতিটি নিষেধ থেকে বিরত থাকা।
্রتقوىগ্ধ শব্দটি আল কুরআনে সাধারণতঃ পাঁচটি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
(১) ্রالخوف والخشيةগ্ধ ভয়-ভীতি : আল্লাহ তা‘আলাকে সত্যিকার ভয় করা। যেমন- তিনি বলেছেন :
﴿يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوْا رَبَّكُمْ إِنَّ زَلْزَلَةَ السَّاعَةِ شَيْءٌ عَظِيْمٌ﴾
অর্থাৎ- “হে মানুষ সকল! তোমরা তোমাদের রবকে ভয় করো নিশ্চয়ই ক্বিয়ামতের প্রকম্পন একটি ভয়ংকর ব্যাপার।”
(২) ্রالعبادةগ্ধ ‘ইবাদত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন- আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন : আমরা মানুষ, কখনো হয়তো ভেবে দেখেনি যে, মৃত্যুর পরের জীবনের জন্যে কি করেছি, সে জীবনের জন্যে কতটুকু সওয়াব সঞ্চয় করতে পেরেছো অথচ আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে সে বিষয়টিই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন। তিনি বলেন :
﴿يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا اتَّقُوْا اللهَ وَلْتَنْظُرْ نَفْسٌ مَا قَدَّمَتْ لِغَدٍ وَاتَّقُوْا اللهَ إِنَّ اللهَ خَبِيْرٌ بِمَا تَعْمَلُوْنَ﴾
“হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, প্রত্যেক ব্যক্তির উচিৎ, আগামীকালের জন্যে কি প্রেরণ করেছে তা ভেবে দেখা। আল্লাহকে ভয় করো, তোমরা যা করো আল্লাহ সে সম্পর্কে খবর রাখেন।”
সুতরাং মৃত্যুর পরের জীবনের কথা স্মরণ করে আল্লাহ তা‘আলাকে সর্বদা ভয় করে চলতে হবে। তার প্রতিটি নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে হবে এবং প্রতিটি নিষেধ থেকে বিরত থাকতে হবে।
(৩) ্রترك المعصيةগ্ধ অপরাধ ছেড়ে দেয়া অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন- আল্লাহ তা‘আলার বাণী :
﴿وَلَكُمْ فِىْ الْقِصَاصِ حَيَاةٌ يَا أُوْلِى الْأَلْبَابِ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُوْنَ﴾
“হে বুদ্ধিমানগণ! ক্বিসাসের মধ্যে রয়েছে তোমাদের জন্য জীবন, যেনো তোমরা ভয় করো, অর্থাৎ- সাবধান হও এবং এ অপরাধ ছেড়ে দাও।”
(৪) ্রالإخلاصগ্ধ “ইখলা-স” অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন :
﴿ذٰلِكَ وَمَنْ يُعَظِّمْ شَعَائِرَ اللهِ فَإِنَّهَا مِنْ تَقْوَى الْقُلُوْبِ﴾
অর্থাৎ- এটা শ্রবণযোগ্য, আর যে ব্যক্তি আল্লাহর নিদর্শনসমূহকে সম্মান করল তা তো তার হৃদয়ের আল্লাহ ভীতি।”
অর্থাৎ- এটাই তার অন্তরের ইখলাস।
(৫) ্রالتوحيدগ্ধ “তাওহীদ” অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
﴿إِنَّ الَّذِيْنَ يَغُضُّوْنَ أَصْوَاتَهُمْ عِنْدَ رَسُوْلِ اللهِ أُوْلٰئِكَ الَّذِيْنَ امْتَحَنَ اللهُ قُلُوْبَهُمْ لِلتَّقْوَى﴾
“যারা আল্লাহর রাসূলের সম্মুখে নিজেদের কণ্ঠস্বরকে নীচু রাখে তারা তো সেই লোক যাদের অন্তরকে আল্লাহ তাক্ওয়ার জন্যে পরীক্ষা করেন।”
দ্বিতীয় উপদেশÑ
্রوَأَتْبِعِ السَّيِّئَةَ الحَسَنَةَ تَمْحُهَاগ্ধ.
“অন্যায় কাজ করার পর ভাল কাজের অনুসরণ করো তবেই ভাল কাজটি পাপকে মিটিয়ে দিবে।”
এখানে মানুষের কৃত পাপের বোঝা কমানোর পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে। পাপ হয়ে গেলে সে পাপ কিভাবে ক্ষমা করানো যাবে তার পদ্ধতি তুলে ধরা হয়েছে। আর তা হলোÑ কোন পাপ করার পর তা উপলব্ধি করতে পারলে সাথে সাথে কোন ভাল কাজ করে ফেললে এ ভাল কাজের বিনিময়ে আল্লাহ তা‘আলা পূর্বের পাপকে মিটিয়ে দেন।
ভাল কাজ বলতে যে কোন ধরনের সৎ কাজ বা ‘আমল হতে পারে। সৎ কাজ বা সৎ ‘আমলের মধ্যে অন্যতম ‘আমল হচ্ছে সলাত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
﴿وَأَقِمِ الصَّلَاةَ طَرَفَيِْ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنَ اللَّيْلِ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ذٰلِكَ ذِكْرَى لِلذَّاكِرِيْنَ﴾
“তুমি দিনের দু’ প্রান্তে সলাত পড়ো এবং রাত্রের প্রান্ত ভাগে। নিশ্চয়ই ভাল কাজ খারাপ কাজকে দূর করে দেয়।”
এমনিভাবে সৎ ‘আমলের মধ্যে জুমু‘আর সলাত, রামাযানের সিয়াম, বায়তুল্লাহর হাজ্জ আদায়, ‘উমরাহ্, সাদাক্বাহ্ ইত্যাদি ‘আমলের মাধ্যমে ছোট ছোট পাপ মিটে যায়। আল্লাহ তা‘আলার তাসবীহ ও হাম্দ-এর মাধ্যমে পাপ মোচন হয়। যেমন- সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিমে এসেছেÑ
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ (رَضِيَ اللهُ عَنْهُ) : أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ : "مَنْ قَالَ : سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ، فِىْ يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ، حُطَّتْ خَطَايَاهُ، وَإِنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ البَحْرِ".
আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্হু) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন : যে ব্যক্তি দিনে এক শত বার “সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি” বলবে তার সকল পাপ মিটে যায়, যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশির সমতুল্য হয়।
কেউ কেউ বলেছেন : হাদীসে ্রالحَسَنَةَগ্ধ “হাসানাহ্” দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছেÑ “তাওবাহ্”।
কোন পাপ করার পর তাওবাহ্ করলে পাপ মোচন হয়। এ ক্ষেত্রে বলা যায় যে, সৎ ‘আমলের মাধ্যমে ছোট ছোট পাপ মোচন হয় আর তাওবার মাধ্যমে ছোট-বড় সকল পাপ মোচন হয়। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সকল পাপকে ক্ষমা করে দিন Ñআমীন।
তৃতীয় উপদেশÑ
সৎ চরিত্র : ্রوَخَالِقِ النَّاسَ بِخُلُقٍ حَسَنٍগ্ধ বা “মানুষের সাথে ভাল ব্যবহার।”
মানুষ সমাজবদ্ধ জীব, এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই, পরস্পর ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ। আচার-ব্যবহার ও লেনদেনের ক্ষেত্রে সর্বদা ভালর পরিচয় দিবে।
্রخُلُق حسنগ্ধ বা “সৎ চরিত্র” হচ্ছেÑ ন¤্র স্বভাব, ভদ্র ব্যবহার, হাস্যোজ্জ্বল মুখ এবং ভাল কথা।
এমনিভাবে বলা যায়Ñ কথায় ও কাজে সৎ থাকা এবং কথা ও কাজের ক্ষেত্রে অন্যকে দুঃখ-কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকা।
উত্তম চরিত্রের ক্ষেত্রে আমাদের অনুপত আদর্শ হলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
﴿لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِىْ رَسُوْلِ اللهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ﴾
“অবশ্যই তোমাদের জন্যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর জীবনে রয়েছে উত্তম নমুনা।”
সৎ চরিত্রই মানুষের মূল সম্পদ। এর মাধ্যমে মানুষের মূল্যায়ন হয়, একজন মানুষ সৎ চরিত্রের মাধ্যমে সম্মানিত হতে পারে আবার অসৎ চরিত্রের মাধ্যমে সর্বনি¤œ ধাপে পৌঁছে যেতে পারে।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্হু) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন : ঈমানের দিক দিয়ে মু’মিনদের মধ্যে পরিপূর্ণ মু’মিন সেই ব্যক্তি যে চরিত্রের দিক দিয়ে ভাল, আর তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর নিকট ভাল।
ক্বিয়ামতের দিন যখন ‘আমলনামা মাপা হবে যেখানে মী‘যানে যা দাঁড়িপাল্লায় সবচেয়ে ভারী ‘আমল হবে সৎ চরিত্র। সৎ চরিত্রের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সলাত আদায়কারী এবং সিয়াম পালনকারীর সওয়াব হাসিল করতে পারে। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে সৎ চরিত্রবান হওয়ার তাওফীক্ব দান করুন Ñআমীন।
হাদীসের শিক্ষা :
(১) সর্বাবস্থায় আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করা। কেননা তিনি প্রকাশ্য এবং গোপনীয় সকল বিষয় সম্পর্কে অবগত আছেন।
(২) আল্লাহ তা‘আলা অত্যন্ত দয়াময় এবং ক্ষমাশীল। কেননা মানুষ এত পাপ করার পরও তিনি তাদেরকে ক্ষমা করার জন্যে বিভিন্ন পদ্ধতি ও ‘আমলের কথা বলে দিয়েছেন, যা পালনের মাধ্যমে তারা তাদের পাপ ক্ষমা করাতে পারবে।
(৩) পাঁচ ওয়াক্ত সলাতের প্রতি যতœশীল হওয়া। কেননা এর মাধ্যমে পাপ মোচন হয়।
(৪) কোন কারণে পাপ হয়ে গেলে সাথে সাথে কোন ভাল কাজ করা, তাহলে পূর্বের পাপ মোচন হয়ে যায়।
(৫) মানুষের সাথে ভাল ব্যবহার করা, লেনদেন ভাল করা।
(৬) সৎ চরিত্র মানুষকে সম্মানিত করে।
(৭) সৎ চরিত্র ক্বিয়ামাতের দিন মী‘যানে ভারী ‘আমল হিসবে গণ্য হবে। ###
জামি‘ আত্ তিরমিযী- হা: ১৯৮৭, হাদীসটি হাসান।
সূরা আল হাজ্জ ২২ : ১।
সূরা আল হাশ্র ৫৯ : ১৮।
সূরা আল বাক্বারাহ্ ২ : ১৭৯।
সূরা আল হাজ্জ ২২ : ৩২।
সূরা আল হুজুরা-ত ৪৯ : ৩।
জামি‘ আত্ তিরমিযী- হা: ১৯৮৭, হাদীসটি হাসান।
সূরা হুদ ১১ : ১১৪।
সহীহুল বুখারী- হা: ৬৪০৫ ও সহীহ মুসলিম- হা: ২৮/২৬৯১।
জামি‘ আত্ তিরমিযী- হা: ১৯৮৭, হাদীসটি হাসান।
সূরা আল আহ্যা-ব ৩৩ : ২১।
জামি‘ আত্ তিরমিযী, হাদীসট হাসান সহীহ।
আপনার মন্তব্য1