এক. সম্প্রতি ২৫ মে আমেরিকার মিনেসোটো অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপলিস শহরে ৪০ বছর বয়সের জর্জ ফ্লয়েড নামক এক ব্যক্তিকে পুলিশ শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। অভিযোগ হলো- ঐ ব্যক্তির নিকটে ২০ ডলারের একটি জাল নোট ছিল (যদিও সেটি প্রমাণিত হয়নি)। জর্জ ফ্লয়েড একজন কৃষ্ণাঙ্গ সাধারণ ব্যক্তি। এই নারকীয় হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরেই আমেরিকাজুড়ে শুরু হয় বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন-বিক্ষোভ। দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে। করোনাভীতি উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমে আসে লাখ লাখ আমজনতা।
দুই. জনগণের দাবীগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, পুলিশ বাহিনীতে অনেকেই বর্ণবাদী। কাজেই আমেরিকার পুলিশকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে, যেনো কোনো বর্ণবাদী আচরণ তারা করতে না পারে। জনগণের দাবী-দাওয়া মানা বা না-মানা নিয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য না দিয়ে ট্রাম্প আন্দোলন ঠেকাতে সেনাবাহিনী নামিয়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম আমেরিকান সৈন্য আমেরিকার মাটিতে নামলো। (জনগণও বুঝলো, আমেরিকান সৈন্যরা মধ্যপ্রাচ্যে কি কি অপকর্ম করে চলছে। যদিও মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোতে তারা যা করেছে তার যথাযথ শাস্তি ইয়তো ইহজগতে সম্ভব নয়)। ট্রাম্পের এই আচরণে সাধারণ জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে। এমনিতেই তার নামে বদনামের শেষ নেই।
তিন. হোয়াইট সুপ্রিমেসি বা সাদাদের প্রাধান্য নতুন কোনো ইস্যু নয়। আমেরিকা, ইউরোপ ও আফ্রিকায় কালোদের ওপর সাদাদের অত্যাচার, নিপীড়ন অনেক পুরোনো। এই তো দু’শো বছর আগেও আমেরিকার অভিজাত বাড়ি, এলাকা, রেঁস্তোরার গেটে লেখা থাকতো ‘এখানে কুকুর ও কৃষ্ণাঙ্গের প্রবেশ নিষেধ।’ এমন অনেক ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়েছে কালো চামড়াওয়ালাদের, যা তাদের নিজেদের ওপর ঘৃণা জন্ম দিয়েছিল।
১৮৫০ সালে আমেরিকান এক পণ্ডিত হ্যারিয়েট ‘আঙ্কেল টমস কেবিন’ নামে একটি বই লেখেন, যাতে কালো দাসদের ওপর নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা রয়েছে। বিখ্যাত ‘গ্রীনবুক’টি লেখা হয়েছিল শুধু কালোদের জন্য; সেখানে আমেরিকার ঐ সকল হোটেল, রেঁস্তোরা, বাড়ির লোকেশনের বর্ণনা ছিল যেখানে গেলে কালোরা নিগৃহের স্বীকার হবে না। তা ছিল খুবই কম ও নির্দিষ্ট। কালোরা মানুষের কাতারে পড়ে না, কাজেই তাদের কোনো অধিকার থাকতে নেই- এমনই ধারণা ছিল আমেরিকানদের। সেজন্য তাদের ভোটাধিকার পর্যন্ত ছিল না। ১৮৬৪ সালে তারা ভোট দেয়ার অধিকার পায়।
মার্টিন লুথার কিংকে সকলেই চেনেন। কালোদের জন্য আন্দোলন করে তিনি জনপ্রিয় হয়েছিলেন। এটা খুবই মর্মান্তিক যে, এ ধরনের আন্দোলন খোদ আমেরিকাতে করতে হয়েছে- যারা নাকি সমঅধিকারে বিশ্বাসী। নেলসন ম্যান্ডেলাও বিখ্যাত হলেন কালোদের জন্য কথা বলে। মানবতার এমনই মূল্যায়ন হয় সেখানে!!!
গত ১৫ মার্চ’১৯ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ এলাকার এক মাসজিদে হোয়াইট সুপ্রিমেসিতে বিশ্বাসী এক খ্রিস্টান সন্ত্রাসী প্রায় ৫০ জন নিরীহ মুসলিমকে হত্যা করে। এটাও ছিল হোয়াইট সুপ্রিমেসির প্রবণতা। এমন অসংখ্য ঘটনা আছে যা হোয়াইট সুপ্রিমেসিতে বিশ্বাসী সন্ত্রাসীরা ঘটিয়ে আসছে।
চার. দ্য গ্রেটেস্ট মোহাম্মদ আলী ক্লে-কে চেনে না এমন লোক পাওয়া দুষ্কর। অলিম্পিকে আমেরিকার পতাকা সমুন্নত করার জন্য সাধারণ আমেরিকানদের কাছে তিনি ছিলেন ‘হিরো অব দ্য টাইম।’ কিন্তু এতেও বাধ সাধল তার কালো চামড়া আর ইসলাম গ্রহণ। হোয়াইট সুপ্রিমেসির সন্ত্রাসীদের নিকটে তিনি ছিলেন অপয়া। তার আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা ছিল তাদের অসহ্য। ১৯৬৪ সালে সনি লিস্টনের সাথে হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশীপে বর্ণবাদীদের আচরণ প্রকাশ হয়েছিল। বর্ণবাদীরা চাচ্ছিল ক্লে যেন পরাজিত হয়। সে সময় তাকে মানসিকভাবে শক্তি যুগিয়েছিলেন ম্যলকম এক্স, যিনি বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “তুমি যদি স্বাধীনতার পথে অগ্রসর হও তাহলে তারা তোমাকে এক্সট্রিমিস্ট, চরমপন্থী, রাডিকালিস্ট তকমা লাগিয়ে দিবে। কিন্তু তুমি যদি তোমার স্বাধীন মনোভাবে অটল থেকে অগ্রসর হও এমনকি তোমার বিপুল সংখ্যক সমর্থক হয়ে যাবে তাহলেই তুমি স্বাধীনতা অর্জন করতে পারবে।
পাঁচ. সাইমুম সিরিজ পাঠকের নিকট কু ক্লাক্স ক্লান নামক খ্রিস্টানদের গোপন সংগঠনটি অপিরিচিত নয়। কিন্তু আসলেই কি এমন সংগঠনের কোনো অস্তিত্ব আছে? জি হ্যাঁ। খোদ আমেরিকাতেই এর জন্ম। ১৮৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত শ্বেতাঙ্গদের গোপন সংগঠন কু ক্লাক্স ক্লান কালোদের হত্যা, অপহরণ করে চলছে। তাদেরকে রশিতে ঝুলিয়ে বা গায়ে তেল ঢেলে দিয়ে হত্যা করা হতো। এটা ছিল কু ক্লাক্স ক্লান এর অসংখ্য অপকর্মের একটি। শ্বেতাঙ্গদের প্রাধান্য বিস্তার এবং কৃষ্ণাঙ্গদের নির্মূল করার জন্যই গঠিত হয়েছিল কু ক্লাক্স ক্লান। কথিত সন্ত্রাসীদের(!) বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত আমেরিকায় এমন গোপন সংগঠন বিদ্যমান থাকতেও তার কোনো বিহিত না করে মুসলিম বিশ্বে মুজাহিদদের ওপরে হামলা করাই কি তাহলে আমেরিকার আসল উদ্দেশ্য?
ছয়. হান্টিংটন, ক্লাস অব সিভিলাইজেশন ও হোয়াইট সুপ্রিমেসি : স্যামুয়েল হান্টিংটন তার লিখিত ‘ক্লাস অব সিভিলাইজেশন’ এ স্পষ্টত বলেছেন, আগামীর বিশ্বে যে সংঘর্ষ শুরু হবে তা হবে আদর্শিক, সাংস্কৃতিক বা অর্থনৈতিক নয়। তার অভিবাসন ও মুসলিম বিদ্বেষী চিন্তাধারাকে হোয়াইট সুপ্রিমেসিরা লুফে নিয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিশেষ করে অভিবাসী মুসলিমদের বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠেছে। এর আওতায় পড়েছে মুসলিম ও কৃষ্ণাঙ্গ জনগণ। শুধু হোয়াইট সুপ্রিমেসিরা নয়; বরং হোয়াইট হাউজ হান্টিংটনের থিউরি লুফে নিয়ে মুসলিম বিশ্বে হত্যাকা- অব্যাহত রেখেছে।
সাত. হোয়াইট হাউজ কেনো, ব্ল্যাক হাউজ নয় কেনো? আমেরিকার ফাউন্ডার ফাদারদের যে চিন্তাধারা তা ফুটে উঠেছে আমেরিকার স্বাধীনতা সনদে লিখিত “অল ম্যান ক্রিয়েটেড ইকুয়াল” নীতিবাক্যে। বাস্তবেই যদি এই নীতি তারা বিশ্বাস করতো তাহলে প্রেসিডেন্ট ভবনের নাম হোয়াইট হাউজ কেন? এটা কি শুধু বিল্ডিংয়ের রংয়ের কারণে, নাকি এতে তাদের গোপন বাসনার প্রতিফলন ঘটেছে? আমেরিকা যদি আসলেই সাদা-কালোর তফাৎ না করে তাহলে হোয়াইট হাউজের নাম পরিবর্তন কি আবশ্যক নয়? যতদিন এই নাম চালু থাকবে, ততদিন তারা তাদের হোয়াইট সুপ্রিমেসি নীতি থেকে বের হয়ে আসেনি বলে প্রতীয়মান হবে। যদিও দৈবক্রমে বারাক ওবামা সেখানে প্রবেশ করেছিলেন।
আট. গ্লোবালাইজেশনের সহজ তরজমা হলো গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বকে এক গ্রামে পরিণত করা। আরো ভালো ব্যাখ্যা হলো, এ নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার বা পুরোবিশ্বকে এক ট্রাকের পথিক বানানো। অর্থাৎ- সকলের চিন্তা হবে এক, ধর্ম হবে এক, মুদ্রা হবে এক, সংস্কৃতি হবে এক, আচার-অনুষ্ঠান হবে এক, নেতা হবে এক। সে লক্ষেই তারা নানাবিধ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো- এই গ্লোবালাইজেশনের সুবিধা ভোগ কারা করবে? শুধু হোয়াইটরা নাকি ব্ল্যাকরাও? যদি সকলকে শামিল করা গ্লোবালাইজেশনের উদ্দেশ্য হয় তাহলে ব্ল্যাকদেরকে হত্যা করা হচ্ছে কেনো? তবে কি তারা চাচ্ছে শুধু হোয়াইটরাই এই সুবিধা ভোগ করবে? তা-ই যদি হয়, তাহলে তো এশিয়াকেও নিশ্চিহ্ন করতে হবে। পারবে কি আমেরিকা এশিয়াকে নিশ্চিহ্ন করতে? এক আফগানিস্তান থেকেই তো নাকে খত দিয়ে পিছু হটেছে। তাহলে গ্লোবালাইজেশনের বুলি কি ফাঁকা? আগামী বিশ্ব পরিস্থিতি তা বলে দিবে।
নয়. ইসলামে কালো-সাদার কোনো ভেদাভেদ নেই। এশিয়ান, আমেরিকান, আফ্রিকান, আরবী, আজমী, বাঙালি, ইংরেজ, শহুরে বা গ্রাম্য এসব হিসেব ইসলামে নেই। আঞ্চলিকতার বড়াই, রংয়ের তারতম্য এ সবকিছুই জাহিলিয়াত। বর্ণবাদ সেই পুরোনো জাহিলিয়াতেরই প্রতিবিম্ব। জাহিলিয়াতের মূলে কুঠারাঘাত করতেই ইসলামের আগমন। এজন্যই বিলাল (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্হু)-এর মতো নিগ্রো হাবশী দাসকে ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। মুসলিমদের এমন মহানুভবতার কারণেই ভারতের নিপীড়িত নিম্নবর্ণের হিন্দুরা দ্রুত ইসলাম ক্ববূল করেছিল। মক্কার দাসরাও ইসলামের সাম্য-মৈত্রীর সেতুবন্ধনে নিজেদেরকে জড়িয়ে সৌভাগ্যের অধিকারী হয়েছিল। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
﴿يٰٓأَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا خَلَقْنٰكُم مِّن ذَكَرٍ وَأُنثٰى وَجَعَلْنٰكُمْ شُعُوبًا وَقَبَآئِلَ لِتَعَارَفُوٓا ۚ إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِندَ اللهِ أَتْقٰىكُمْ ۚ إِنَّ اللهَ عَلِيْمٌ خَبِيْرٌ﴾
“হে মানবজাতি! আমি তোমাদেরকে একজন পুরুষ এবং একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি। তারপর তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীতে বিভক্ত করে দিয়েছি যাতে তোমরা পরস্পরকে চিনতে পার। তোমাদের মধ্যে যে অধিক পরহেজগার সে-ই প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর কাছে অধিক মর্যাদার অধিকারী। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাজ্ঞানী ও সবকিছু সম্পর্কে অবহিত।”[১]
সুতরাং ইসলামে যোগ্যতার প্রকৃত মাপকাঠি আল্লাহভীতিই। বংশ পরিচয়, গোত্রীয় আভিজাত্য কিংবা দেশ বা অঞ্চলের কারণে ব্যক্তির প্রাধান্য ইসলামে স্বীকৃত নয়। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে-
أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ خَطَبَ النَّاسَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ فَقَالَ : يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ اللهَ قَدْ أَذْهَبَ عَنْكُمْ عُبِّيَّةَ الْجَاهِلِيَّةِ وَتَعَاظُمَهَا بِآبَائِهَا، فَالنَّاسُ رَجُلَانِ بَرٌّ تَقِيٌّ كَرِيْمٌ عَلٰى اللهِ وَفَاجِرٌ شَقِيٌّ هَيِّنٌ عَلٰى اللهِ، وَالنَّاسُ بَنُوْ آدَمَ وَخَلَقَ اللهُ آدَمَ مِنْ تُرَابٍ، قَالَ اللهُ : ﴿يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا خَلَقْنَاكُمْ مِنْ ذَكَرٍ وَأُنْثَى وَجَعَلْنَاكُمْ شُعُوْبًا وَقَبَائِلَ لِتَعَارَفُوْا إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللهِ أَتْقَاكُمْ إِنَّ اللهَ عَلِيْمٌ خَبِيْرٌ ﴾.
মক্কা বিজয়ের দিন নাবী (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জনসম্মুখে তার প্রদত্ত ভাষণে বললেন, হে মানবসকল! আল্লাহ তা‘আলা জাহিলি যুগের গর্ব অহমিকা, পিতৃগৌরব ইত্যাদিকে বিলুপ্ত করেছেন। মানুষ মূলতঃ দুই শ্রেণিতে বিভক্ত। একদল সৎ, মুত্তাক্বী আর তারাই মহান আল্লাহর নিকটে সম্মানিত। অন্যদল বদকার, দুর্ভাগা যারা মহান আল্লাহর নিকটে লাঞ্ছিত। সকল মানুষই আদমের সন্তান আর আদম মাটির সৃষ্টি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “হে মানবজাতি, আমি তোমাদেরকে একজন পুরুষ এবং একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি। তারপর তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীতে বিভক্ত করে দিয়েছি যাতে তোমরা পরস্পরকে চিনতে পার। তোমাদের মধ্যে যে অধিক পরহেজগার সে-ই প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর কাছে অধিক মর্যাদার অধিকারী। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাজ্ঞানী ও সবকিছু সম্পর্কে অবহিত।”[২]
নাবী (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরো বলেন :
يَا أَيُّهَا النَّاسُ أَلَا إِنَّ رَبَّكُمْ وَاحِدٌ وَإِنَّ أَبَاكُمْ وَاحِدٌ، أَلَا لَا فَضْلَ لِعَرَبِيٍّ عَلٰى أَعْجَمِيٍّ وَلَا لِعَجَمِيٍّ عَلٰى عَرَبِيٍّ وَلَا لِأَحْمَرَ عَلٰى أَسْوَدَ وَلَا أَسْوَدَ عَلٰى أَحْمَرَ إِلَّا بِالتَّقْوَى.
হে মানবসকল! জেনে রেখ, তোমাদের রব একজন, তোমাদের আদিপিতাও একজন। সাবধান, অনারবের উপরে আরবীর প্রাধান্য নেই, আরবদের উপরেও অনারবের প্রাধান্য নেই। কালোর উপরে লালের, লালের উপরে কালোর কোনোই প্রাধান্য নেই, তাক্বওয়া ব্যতিত।[৩]
সুতরাং ইসলামই বিশ্বমানবতার কথা বলে, ধনী দরিদ্রের ভেদাভেদ, কালো সাদার পার্থক্য ইসলাম মিছমার করে দেয়। গ্লোবালাইজেশন হতে হলে ইসলামী গ্লোবালাইজেশনই হতে হবে। কেননা ইসলামের হাতেই মানুষ মানবতা নিরাপদ, পৃথিবী নিরাপদ।
[১] সূরা আল হুজুরা-ত ৪৯/১৩।
[২] জামি‘ আত্ তিরমিযী- হাঃ ৩২৭০ (সহীহ)।
[৩] আহমাদ- হাঃ ২২৯৭৮, সিলসিলা সহীহাহ্- ৬/১৯৯।
আপনার মন্তব্য