সাময়িক প্রসঙ্গ
বিদায় রামাযানুল মুবারাক
হারুনুর রশীদ ত্রিশালী
প্রথম খুতবাহ্
الحمد لله، والصلاة والسلام على رسول الله... أما بعد
রামাযান মাস শেষ হতে চলেছে, যার সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা সংবাদ দিয়েছেন যে, তা নির্দিষ্ট কয়েকটি দিন মাত্র। বিদ্যুতগতিতে চোখের পলকেই তা অতিবাহিত হয়ে গেছে। অথচ তার জন্য অন্তরসমূহ অধীর আগ্রহে ছিল, আর আজ তাকে বিদায় জানাতে হচ্ছে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, মিশ্র অনুভূতি ও প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাবে। বিভিন্ন অনুভূতির অন্যতম হচ্ছে- আমরা উপলব্ধি করতে পারি যে, আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে ইসলামের অনুসারী করে আমাদের উপর অনুগ্রহ করেছেন, তিনি আমাদেরকে কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন, রামাযানে উপনীত করেছেন, সিয়াম ও ক্বিয়াম পালনে সাহায্য করেছেন; তিনিই অনুগ্রহশীল ও দাতা। তিনি বলেন,
“তারা ইসলাম গ্রহণ করে আপনাকে ধন্য করেছে মনে করে। বলুন, তোমরা ইসলাম গ্রহণ করে আমাকে ধন্য করেছ মনে করো না; বরং আল্লাহই ঈমানের দিকে পরিচালিত করে তোমাদেরকে ধন্য করেছেন।”
এমনটিই যারা মহান আল্লাহর পথে চলেন তাদের অবস্থা; তারা সর্বোচ্চ আদব, ভদ্রতা, সম্মান ও নমনীয়তার সাথে অনুগ্রহকারীর দিকে নি‘আমতকে সম্বোধন করে ঘোষণা দেন।
“সে বলে, ‘এটা আমার রবের অনুগ্রহ’।”
আর এটাই সৎকর্মগুলো সম্পন্ন করার ও ভাল কাজে অগ্রসর হওয়ার উত্তম উপায়।
“দুনিয়া ও আখিরাতে সমস্ত প্রশংসা তাঁরই; বিধান তারই; আর তোমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে।”
বস্তুতঃ মহান আল্লাহই তাঁর সৃষ্টির উপর সামগ্রীকভাবে অনুগ্রহকারী।
আনাস (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্হু) হতে বর্ণিত। রাসূল (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন : “আল্লাহ তা‘আলা বান্দাকে যখন কোনো নি‘আমত দান করেন এবং সে এতে ‘আল-হামদুলিল্লাহ’ বলে, তখন সেটা (প্রশংসা) তাকে প্রদত্ত জিনিসের চেয়েও উত্তম।”
আর জান্নাতীদেরও এমন অবস্থা হবে যখন তারা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাত লাভের মাধ্যমে তাদের কাঙ্খিত চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছবে; মহান আল্লাহর প্রশংসায় তাদের জিহ্বা নিবেদিত থাকবে, তারা তাদের দু‘আ ও সৎ ‘আমলগুলো তাঁর প্রশংসা করে শেষ করবে। এ মর্মে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“এবং তারা বলবে, প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের দুঃখ-দুর্দশা দূরীভূত করেছেন; নিশ্চয় আমাদের রব তো পরম ক্ষমাশীল, অসীম গুণগ্রাহী। যিনি নিজ অনুগ্রহে আমাদেরকে স্থায়ী আবাসে প্রবেশ করিয়েছেন যেখানে কোনো ক্লেশ আমাদেরকে স্পর্শ করে না এবং কোন ক্লান্তিও স্পর্শ করে না।”
এই ফাযীলতপূর্ণ রামাযান মাস পূর্ণ হওয়ার মুহূর্তে মহান আল্লাহর প্রশংসা ও তাঁর নি‘আমতের শুকরিয়া আদায় করা ইসলামের রীতি ও কুরআন নির্দেশিত পথ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূর্ণ করো এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন সে জন্য তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করো এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।”
সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিমে একটি হাদীসে এসেছে- আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্হু) হতে বর্ণিত। নাবী কারীম (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, “রোযাদারের জন্য দুটি আনন্দ রয়েছে- একটি ইফতারের সময় এবং অপরটি তার প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাতের সময়।”
রামাযান মাসের সমাপ্তিতে মহান আল্লাহর প্রশংসা ও তাঁর শুকরিয়ার মর্ম বাস্তবয়ন করা মূলতঃ বান্দা কর্তৃক তার রবের প্রতি সুধারণার পরিচয় বহন করে এবং প্রমাণ করে যে, সে চায় যেনো আল্লাহ তা‘আলা তার সৎ ‘আমলগুলো কবুল করেন, ‘আমলের ঘাটতি পূর্ণ করে দেন এবং ‘আমলের সময় উদাসিনতা ও অজ্ঞতার ত্রুটিসমূহ মাফ করেন। হাদীসে কুদসীতে এসেছে-
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “আমি বান্দার সাথে আমার ব্যাপারে তার ধারণা অনুপাতে আচরণ করি।”
বান্দা যদি তার রবের প্রতি সুধারণা রাখে, তবে তার উচিত ‘ইবাদত কবুলের জন্য মহান আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দু‘আ করা; মহান আল্লাহর সাথে আদব ও তাঁর প্রতি সুধারণা রক্ষার্থে এবং তার আশা-আকাঙ্খার বাস্তব প্রমাণস্বরূপ।
রামাযানের সমাপণীতে মহান আল্লাহর শুকরিয়ার মূলবস্তু হচ্ছে- বান্দা তার ‘আমলকে পরিশুদ্ধ করবে, তার রবের ‘ইবাদতে অটল থাকবে এবং তাঁর সন্তুষ্টিমূলক কাজে অগ্রসর হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“হে দাঊদ পরিবার! কৃতজ্ঞতার সাথে তোমরা কাজ করতে থাকো। আর আমার বান্দাদের মধ্যে অল্পই কৃতজ্ঞ।”
আর রাসূল (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এমন ছিলেন যে, তিনি সলাতে (নামায) দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ানোর ফলে তাঁর পা দু’টো ফুলে গেল। তখন তাঁকে বলা হলো- আল্লাহ তা‘আলা আপনার পূর্বাপর সমূদয় ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে দিয়েছেন [তবুও আপনি ‘ইবাদতে এত কষ্ট করছেন কেন্?] তিনি বললেন :
“আমি কি কৃতজ্ঞ বান্দা হব না?”
যে মুসলিমের অন্তরকে আল্লাহ তা‘আলা এই রামাযানে আলোকিত করেছেন, যার অন্তরে ঈমানের পরিধি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে, ঈমানের সহযোগি বিষয়গুলো প্রবাহিত হয়েছে এবং সেই প্রবাহ পেয়ে সে পরিতৃপ্ত হয়েছে, রাত জেগে ‘ইবাদত করেছে এবং দিনে সিয়াম পালন করেছে; সে কখনো রামাযানের পর এমন ভাল কাজে অগ্রসর হওয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে না এবং সিয়াম, সলাত ও অন্যান্য ‘ইবাদতে যে তৃপ্তি আস্বাদন করেছে তা মূল্যায়নে সে পিছপা হতে পারে না।
আর যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের মজা পেয়েছে, রামাযানে ঈমানের স্বাদ গ্রহণ করতে পেরেছে আর অন্তরে প্রশান্তি লাভ করেছে; সে ব্যক্তি কখনো এমন সৌভাগ্যের ধারাবাহিকতা হারাবে না; বরং তার রবের সাথে অন্তরের সুসম্পর্ক বজায় থাকবে; ফলে সে সর্বাবস্থায় মহান আল্লাহর জন্য, মহান আল্লাহর সাথে এবং মহান আল্লাহর পথে বিচরণ করবে।
রামাযানের মৌসুম চলে গেলেও কল্যাণের মৌসুমসমূহ ক্রমাগত বিদ্যমান থাকে। আর পরম করুণাময় মহান আল্লাহর অনুগ্রহসমূহ অসংখ্য ও অগণিত। পরিমাণ ও প্রতিদানের দিক থেকে মৌসুমসমূহ ভিন্ন ভিন্ন। প্রতিদিনই কিছু গুরুত্বপূর্ণ সময় রয়েছে যেগুলোকে ‘আমলের মৌসুম ও সুযোগ হিসেবে গণ্য করা যায়; জ্ঞানীরা সেগুলো দ্রুত লুফে নেয়, রবের পথে যারা থাকেন তারা সে সুযোগকে কাজে লাগায়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“তুমি সাজদাহ্ করো এবং নিকটবর্তী হও।”
প্রত্যেক সকালে প্রভাত আসে যা যিক্র-আযকার দু‘আ ইস্তিগফারের বিস্তৃত ময়দান। প্রত্যেক বিকেলে সন্ধ্যা নেমে আসে, তা এমন মৌসুম ও গণিমত যার গুরুত্ব শুধু রাতের সন্ন্যাসীরাই জানে এবং মূল্যায়ন করে। তারা এমন যে তাদের পার্শ্বদেশ শয্যা হতে দূরে থাকে, তারা তাদের রবকে ডাকে আশঙ্কা ও আশায়।
যারা জীবনের মর্ম ও মূল্য অনুধাবন করতে পারে তারাই তাদের সকল সময়কে ভাল কাজের মৌসুম হিসেবে গ্রহণ করতে সক্ষম, তারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে; যেমন- সৎকর্ম সাধন করা, জ্ঞান প্রচার করা, অভাবীকে সাহায্য করা, মেহমানদারী করা, ইয়াতীমের মাথায় হাত বুলানো, মাসজিদ মেরামত ও নির্মাণ করা, পরোপকার ও নসিহত করা, কুরআনের হালাকার পৃষ্ঠপোষকতা করা, জনকল্যাণমূলক প্রকল্পে অংশগ্রহণ, দেশ ও জাতির উন্নয়ন ও উৎকর্ষ সাধনে কাজ করা ইত্যাদি। আল্লাহ বলেন,
“আর যারা মু’মিন হয়ে আখিরাত কামনা করে এবং তার জন্য যথাযথ চেষ্টা করে তাদের প্রচেষ্টা পুরস্কারযোগ্য।”
একজন মুসলিম কখনো কখনো ব্যক্তিগত বা পারিবারিকভাবে বালা-মসিবতে আক্রান্ত হতে পারে। এমতবস্থায় সে যদি মহান আল্লাহর প্রশংসা করে, প্রতিদান পাওয়ার আশা রাখে এবং মহান আল্লাহর ফয়সালা ও তাকদীরে বিশ্বাস রাখে; তবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে মহা প্রতিদান দিবেন, পরিবর্তে উত্তম কিছু দিবেন এবং তাকে রহমত, ক্ষমা ও হিদায়াত দান করবেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আর আমরা তোমাদেরকে অবশ্যই পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা। আর আপনি সুসংবাদ দিন ধৈর্যশীলদেরকে যারা তাদের উপর বিপদ আসলে বলে, ‘আমরা তো আল্লাহরই। আর নিশ্চয় আমরা তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী’। এরাই তারা যাদের প্রতি তাদের রবের কাছ থেকে বিশেষ অনুগ্রহ এবং রহমত বর্ষিত হয়, আর তারাই সৎপথে পরিচালিত।”
এটা এমন মহামারী রোগের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য যা চলন্ত গতিসম্পন্ন ব্যক্তিকে শান্ত-নিরব করে ফেলেছে, শান্ত স্বভাবের মানুষকে বিচলিত করেছে, বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হয়েছে, অন্তরে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে, দৃষ্টিকে আবদ্ধ করে রেখেছে, মৃত্যুহার বাড়ছে ও অনবরত আক্রান্ত হচ্ছে। এমন সংকটময় মুহূর্তে মহান আল্লাহই অনুগ্রহ করবেন এবং আমাদেরকে তাঁর রহমতে পরিবেষ্টন করবেন। তিনিই বান্দাদেরকে মারাত্মক মহামারী রোগ হতে হিফাযত করবেন, এই ধ্বংসাত্মক ব্যাধি হতে দেশসমূহকে রক্ষা করবেন, জাতির উপর থেকে দুশ্চিন্তা দূরীভূত করবেন। তবেই আশা করা যায় এর প্রভাব দেশের উপর ক্ষীণ হবে। আর মহান আল্লাহর রহমতে এটাকে প্রতিহত করা কঠিন কিছু নয়।
এই বিশাল স্বস্থিই আমাদের সামনে আগত ঈদকে অন্যতম সেরা ও আনন্দদায়ক ঈদে পরিণত করবে; কেননা এই ঈদে নতুন জামা হবে তাক্বওয়া ও সুস্থতার জামা, আর আরামদায়ক গাড়ী হবে নিরাপত্তা, আর বিনোদন ও খোলা ময়দানের আনন্দ হবে মহামারীমুক্ত মুক্ত বাতাস গ্রহণ। আর পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের নিয়ে ঈদ আনন্দ বলতে ‘তারা নিরাপদে আছে এবং সুস্থতার নি‘আমতে রয়েছে মর্মে শুনতে পাওয়া’ হবে। এমন নি‘আমতের চেয়ে উত্তম কিছু চাওয়া পাওয়ার থাকতে পারে কি?
বর্তমান অবস্থার সৌন্দর্য, নি‘আমতের বিশালতা ও অনুগ্রহের গুরুত্ব অনুধাবন করতে আপনারা দুনিয়ায় ভ্রমণ করুন, দেখুন অন্যদের কেমন অবস্থা! মা‘বূদ আল্লাহ তা‘আলা কতই না মহান! সৃষ্টা হিসেবে তিনি কতই না দয়াবান! মৌখিক শুকরিয়া ও আন্তরিক প্রশংসার মাধ্যমে নি‘আমতের স্মরণ করাতে আরো বেশি দয়া ও করুণা অবতীর্ণ হয়।
দ্বিতীয় খুৎবাহ্
একজন মুসলিম পূর্ণ রামাযান মাস পেয়ে তা মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় ও আনন্দে সমাপ্ত করে। রোযা ভঙ্গের সময় মহান আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহে পরিবেষ্টিত হয়। সে সমাজের সকলের সাথে আনন্দ শেয়ার করে; ফলে সে “যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা” আদায় করে; যা রোযাদারের ভুল-ভ্রান্তি মোচন করে ও গরীবদের আনন্দ দেয়। এই ফিতরা প্রত্যেক মুসলিমের ওপর আবশ্যক এবং সে যাদের ভরণ-পোষণ করে তাদের ওপরও। তার পরিমান হচ্ছে- দেশের সর্বসাধারণের মূল খাদ্যবস্তু হতে এক সা’ (প্রায় তিন কিলোগ্রাম) পরিমাণ।
ইবনু ‘উমার (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্হু) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, “রাসূল (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রত্যেক গোলাম ও স্বাধীন, পুরুষ ও নারী, ছোট ও বড় মুসলিমের উপর যাকাতুল ফিতর হিসেবে এক সা’ খেজুর বা যব আদায় করা র্ফয করেছেন। আর লোকজনের ঈদের সলাতের জন্য বের হওয়ার আগেই তা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।”
ঈদের এক বা দুই দিন আগেও তা আদায় করা জায়িয। এ মর্মে ইবনু ‘উমার (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্হু) থেকে আরেকটি বর্ণনায় এসেছে-
“তারা ঈদুল ফিতরের এক বা দুই দিন আগে তা আদায় করতেন।”
দুর্যোগের কারণে মাসজিদে ও ঈদগাহে নামায আদায় করা নিষেধ হওয়ার কারণে মুসলমানদের নিজ নিজ বাড়িতে একাকী বা জামা‘আতবদ্ধভাবে ঈদের নামায আদায় করা শরী‘আতসম্মত।
ঈদের তাকবীর পাঠের সময় শুরু হবে ঈদের রাতের সূর্যাস্তের পর হতে (শাওয়ালের চাঁদ দেখার পর হতে)। ঈদের সলাত শুরু করলে তাকবীর পাঠ বন্ধ করতে হবে।
খুৎবাহ্ ছাড়াই ঈদের সলাত স্বাভাবিক নিয়মে আদায় করতে হবে। প্রথম রাকাতে শুরুতে তাকবীরে তাহরীমার পর অতিরিক্ত তাকবীর দিবে। আর দ্বিতীয় রাকাতে দাঁড়ানোর পর অতিরিক্ত পাঁচটি তাকবীর দিবে।
ঈদের সলাতের সময় শুরু হয় সূর্য উদয় হওয়ার প্রায় বিশ মিনিট পর থেকে এবং তার শেষ সময় সালাতুয যোহর তথা যোহরের সলাতের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার প্রায় বিশ মিনিট পূর্বে। সূর্য উদয় হওয়ার মুহূর্তে সলাত আদায় করতে নিষেধ মর্মে হাদীসে এসেছে।
আল্লাহ তা‘আলা আমাদের ও আপনাদের উত্তম ‘আমলগুলো কবুল করুন -আমীন।[১]

[১] খতীব : শাইখ ড. আব্দুল বারী সুবাইতী। ২২ মে- ২০২০ শুক্রবার প্রদত্ত খুতবার বঙ্গানুবাদ।


আপনার মন্তব্য1

ঢাকায় সূর্যোদয় : 6:26:03 সূর্যাস্ত : 5:11:29

সাপ্তাহিক আরাফাতকে অনুসরণ করুন

@সাপ্তাহিক আরাফাত