সম্পাদকীয়
সাপ্তাহিক আরাফাত ৬২ বর্ষে উপনীত...
অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মাদ রঈসুদ্দীন
আল-হামদুলিল্লাহি রাব্বিল ‘আলামীন। ওয়াল ‘আক্বিবাতু লিল মুত্তাকীন। ওয়াস্ সালাতু ওয়াস্ সালামু আলা রাসূলিহিল কারীম। ওয়া বা‘দ :
আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীনের অশেষ মহিমায় অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা ও চড়াই-উৎড়াই পেরিয়ে সাপ্তাহিক আরাফাত একষট্টিটি বছর অতিক্রম করে বাষট্টি বর্ষে উপনীত হয়েছে -আল-হামদুলিল্লাহ। বাংলাদেশে এমন পত্রিকার সংখ্যা বিরল। নির্ভেজাল তাওহীদের ঝাণ্ডাবাহী সংগঠন বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের গবেষণামূলক মুখপত্র সাপ্তাহিক আরাফাত। এ সংগঠনের ‘আক্বীদাহ্ ও বিশ্বাসের বিশেষ প্রকাশ মাধ্যম হলো সাপ্তাহিক আরাফাত। যে পত্রিকাটির পরিচিতি শুধু বাংলাদেশেই নয়; বরং ইসলামী বিশ্বেও পরিচিতি রয়েছে। আশাকরি এর ব্যাপকতা দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাবে -ইন্শা-আল্লাহ। পত্রিকাটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো দারসে কুরআন ও দারসে হাদীস দিয়ে শুরু করা। কেননা এ দু’টি বিষয় এমনই গুরুত্বপূর্ণ যা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ মর্মে মহানাবী (সাঃ) ঘোষণা করেছেন : “নিঃসন্দেহে সর্বোত্তম কথা মহান আল্লাহর কিতাব এবং সর্বোত্তম রীতি মুহাম্মদ (সাঃ)-এর রীতি। আর নিকৃষ্টতম কাজ দ্বীনে নবাবিষ্কৃত কর্মসমূহ এবং প্রত্যেক বিদআত বা নবউদ্ভাবিত কর্মসমূহ ভ্রষ্টতা”[1]। কাজেই এ দু’টি বিধানকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করতে হবে, আর উপেক্ষা করলে দুনিয়া ও আখিরাতে কোন অবস্থাতেই কল্যাণ পাওয়া যাবে না। সুতরাং দারসে কুরআন ও দারসে হাদীসের গুরুত্ব কত বেশি তা উপর্যুক্ত হাদীসের মাধ্যমে সহজেই অনুমেয়।
অতঃপর বিজ্ঞ জ্ঞানী-গুণীদের সময়োপযোগী প্রবন্ধ এবং বায়তুল্লাহ ও মাসজিদে নববীর খতীবগণের খুৎবার বঙ্গানুবাদ করে সাজানো হয় সাপ্তাহিক আরাফাতকে, যা পাঠক মহলে প্রশংসিত। এছাড়া বিজ্ঞ সমালোচক ও পাঠক মহলের পরামর্শে বহুমুখী গবেষণাধর্মী ও সৃজনশীল বিষয় সংযোজন করে এ সাময়িকীটিকে সমৃদ্ধ করে গণমানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
এতদ্ব্যতীত পত্রিকাটি সর্বমহলে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য তাওহীদবাদী জনতাসহ আম জনতার চাহিদা অনুযায়ী যুগ জিজ্ঞাসার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নাবলীর দলীল ভিত্তিক জবাব প্রদান করা হচ্ছে। সবশেষে থাকছে সারা বিশ্বের উল্লেখযোগ্য মাসজিদ ও দর্শনীয় স্থানের পরিচিতি, যা পত্রিকার কভার পৃষ্ঠায় এক এক করে দৃশ্যমান হচ্ছে। ফলে পত্রিকাটি সবার নিকট গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে এর প্রচার-প্রসার ও গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা আশা করছি এ ধারা অব্যাহত থাকবে -ইন্শা-আল্লাহ।
আজ আমাদের মনে পড়ছে জমঈয়তের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ভারত উপমহাদেশের প্রখ্যাত ‘আলিমে দ্বীন আল্লামা মুহাম্মদ আবদুল্লাহিল কাফী আল কোরায়শী (রহঃ)-কে, যিনি কঠোর পরিশ্রম ও নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে গ্রামে-গঞ্জে ও শহরে-বন্দরে জমঈয়তে আহলে হাদীসের শাখা, ইলাকা ও জেলা সংগঠন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সাপ্তাহিক আরাফাত ও মাসিক তর্জুমানুল হাদীস প্রকাশ করে গিয়েছেন। আরো মনে পড়ছে জমঈয়তের অন্যতম সভাপতি প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার ও শিক্ষাবিদ এবং রাজশাহী ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সফল উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় মনজুরি কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রফেসর আল্লামা ড. মুহাম্মদ আব্দুল বারী (রহঃ)-কে। যিনি অক্লান্ত পরিশ্রম ও কঠোর সাধনার মাধ্যমে বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসকে দেশ বিদেশে পরিচিত করে তুলেছেন, পাশাপাশি সাপ্তাহিক আরাফাতকে বহুগুণে সমৃদ্ধ করেছেন। অতঃপর পরবর্তী সভাপতিগণ যথাক্রমে প্রফেসর এ. কে এম. শামসুল আলম (হাফিযাহুল্লা-হ) ও প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইলিয়াস আলী (রহঃ) এবং অধ্যাপক শাইখ মুহাম্মদ মোবারক আলী (রহঃ) সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন। এছাড়া আরো যারা জমঈয়ত ও সাপ্তাহিক আরাফাতের কল্যাণ সাধন করে মৃত্যুবরণ করেছেন, মহান আল্লাহ তাদের সবাইকে ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসে উচ্চ আসন দান করুন -আমীন।
আরাফাতের বাষট্টি বর্ষের সূচনালগ্নে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি বিজ্ঞ লেখক, পাঠক, শুভাকাঙ্খি ও শুভানুধ্যায়ীসহ আরাফাত সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দকে, যারা আরাফাতকে বিভিন্নভাবে সমৃদ্ধ করেছেন। অতঃপর সকলের নিকট- দু‘আ চাচ্ছি- মহান আল্লাহ যেন সাপ্তাহিক আরাফাতের সমৃদ্ধি দান করেন।
বর্তমান সমাজের অবক্ষয়ের মাঝে সাপ্তাহিক আরাফাত পাঠ করা এবং পাঠক বৃদ্ধি করা খুবই প্রয়োজন। কেননা দেশের বড় বড় শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে যেভাবে ধর্ষণ, গণধর্ষণ, নারী নির্যাতন ও নারী অপহরণ বেড়ে চলেছে, তার প্রতিকার হওয়া প্রয়োজন। সেজন্যই দেশের যুব সমাজসহ সকলকে কুরআন-হাদীসের শিক্ষার দিকে দ্রুত ফিরে আসা একান্ত উচিত। সর্বদা মহান আল্লাহর শাস্তিকে ভয় করা দরকার।
সর্বোপরি ‘বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের নেতৃবৃন্দ, আরাফাতের অভিজ্ঞ লেখক ও পাঠক এবং তাওহীদবাদী জনতাসহ সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান- আসুন! আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে মহান আল্লাহর রজ্জু তথা কুরআন ও সুন্নাহকে ধারণ করি এবং পরস্পর যেন বিভক্ত ও বিচ্ছিন্ন না হই। কেননা বিভক্তি ও বিচ্ছিন্নতার মধ্যে কোন প্রকার কল্যাণ নেই। আর জমঈয়তের দা‘ওয়াত ও তাবলীগী কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করি। সহীহ ‘আক্বীদাহ্ ও বিশ্বাসের প্রতি সর্বসাধারণকে আহ্বান জানাই। সকল প্রকার কুফ্র, শিরক, বিদ‘আত, প্রতারণা, ধোঁকাবাজী, নেফাকী ও কুসংস্কার থেকে বিরত থাকি। ইসলামী বিধি-বিধান মেনে চলি এবং অনৈসলামিক কার্যক্রম ও অপসংস্কৃতি থেকে বেঁচে থাকি। পাশাপাশি জমঈয়তের মুখপত্র সাপ্তাহিক আরাফাত নিয়মিত পাঠ করি এবং অপরকে পাঠে উদ্বুদ্ধ করি। জীবনকে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে গড়ে তুলি। জান্নাতের পানে অগ্রসর হওয়ার জন্য আল্লাহ তা‘আলার নিকট তাওফীক্ব কামনা করি। আরাফাতের বকেয়া সমুদয় বিল পরিশোধ করি। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সহায় হোন -আল্লাহুম্মা আমীন।
আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীনের অশেষ মহিমায় অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা ও চড়াই-উৎড়াই পেরিয়ে সাপ্তাহিক আরাফাত একষট্টিটি বছর অতিক্রম করে বাষট্টি বর্ষে উপনীত হয়েছে -আল-হামদুলিল্লাহ। বাংলাদেশে এমন পত্রিকার সংখ্যা বিরল। নির্ভেজাল তাওহীদের ঝাণ্ডাবাহী সংগঠন বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের গবেষণামূলক মুখপত্র সাপ্তাহিক আরাফাত। এ সংগঠনের ‘আক্বীদাহ্ ও বিশ্বাসের বিশেষ প্রকাশ মাধ্যম হলো সাপ্তাহিক আরাফাত। যে পত্রিকাটির পরিচিতি শুধু বাংলাদেশেই নয়; বরং ইসলামী বিশ্বেও পরিচিতি রয়েছে। আশাকরি এর ব্যাপকতা দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাবে -ইন্শা-আল্লাহ। পত্রিকাটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো দারসে কুরআন ও দারসে হাদীস দিয়ে শুরু করা। কেননা এ দু’টি বিষয় এমনই গুরুত্বপূর্ণ যা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ মর্মে মহানাবী (সাঃ) ঘোষণা করেছেন : “নিঃসন্দেহে সর্বোত্তম কথা মহান আল্লাহর কিতাব এবং সর্বোত্তম রীতি মুহাম্মদ (সাঃ)-এর রীতি। আর নিকৃষ্টতম কাজ দ্বীনে নবাবিষ্কৃত কর্মসমূহ এবং প্রত্যেক বিদআত বা নবউদ্ভাবিত কর্মসমূহ ভ্রষ্টতা”[1]। কাজেই এ দু’টি বিধানকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করতে হবে, আর উপেক্ষা করলে দুনিয়া ও আখিরাতে কোন অবস্থাতেই কল্যাণ পাওয়া যাবে না। সুতরাং দারসে কুরআন ও দারসে হাদীসের গুরুত্ব কত বেশি তা উপর্যুক্ত হাদীসের মাধ্যমে সহজেই অনুমেয়।
অতঃপর বিজ্ঞ জ্ঞানী-গুণীদের সময়োপযোগী প্রবন্ধ এবং বায়তুল্লাহ ও মাসজিদে নববীর খতীবগণের খুৎবার বঙ্গানুবাদ করে সাজানো হয় সাপ্তাহিক আরাফাতকে, যা পাঠক মহলে প্রশংসিত। এছাড়া বিজ্ঞ সমালোচক ও পাঠক মহলের পরামর্শে বহুমুখী গবেষণাধর্মী ও সৃজনশীল বিষয় সংযোজন করে এ সাময়িকীটিকে সমৃদ্ধ করে গণমানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
এতদ্ব্যতীত পত্রিকাটি সর্বমহলে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য তাওহীদবাদী জনতাসহ আম জনতার চাহিদা অনুযায়ী যুগ জিজ্ঞাসার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নাবলীর দলীল ভিত্তিক জবাব প্রদান করা হচ্ছে। সবশেষে থাকছে সারা বিশ্বের উল্লেখযোগ্য মাসজিদ ও দর্শনীয় স্থানের পরিচিতি, যা পত্রিকার কভার পৃষ্ঠায় এক এক করে দৃশ্যমান হচ্ছে। ফলে পত্রিকাটি সবার নিকট গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে এর প্রচার-প্রসার ও গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা আশা করছি এ ধারা অব্যাহত থাকবে -ইন্শা-আল্লাহ।
আজ আমাদের মনে পড়ছে জমঈয়তের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ভারত উপমহাদেশের প্রখ্যাত ‘আলিমে দ্বীন আল্লামা মুহাম্মদ আবদুল্লাহিল কাফী আল কোরায়শী (রহঃ)-কে, যিনি কঠোর পরিশ্রম ও নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে গ্রামে-গঞ্জে ও শহরে-বন্দরে জমঈয়তে আহলে হাদীসের শাখা, ইলাকা ও জেলা সংগঠন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সাপ্তাহিক আরাফাত ও মাসিক তর্জুমানুল হাদীস প্রকাশ করে গিয়েছেন। আরো মনে পড়ছে জমঈয়তের অন্যতম সভাপতি প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার ও শিক্ষাবিদ এবং রাজশাহী ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সফল উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় মনজুরি কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রফেসর আল্লামা ড. মুহাম্মদ আব্দুল বারী (রহঃ)-কে। যিনি অক্লান্ত পরিশ্রম ও কঠোর সাধনার মাধ্যমে বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসকে দেশ বিদেশে পরিচিত করে তুলেছেন, পাশাপাশি সাপ্তাহিক আরাফাতকে বহুগুণে সমৃদ্ধ করেছেন। অতঃপর পরবর্তী সভাপতিগণ যথাক্রমে প্রফেসর এ. কে এম. শামসুল আলম (হাফিযাহুল্লা-হ) ও প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইলিয়াস আলী (রহঃ) এবং অধ্যাপক শাইখ মুহাম্মদ মোবারক আলী (রহঃ) সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন। এছাড়া আরো যারা জমঈয়ত ও সাপ্তাহিক আরাফাতের কল্যাণ সাধন করে মৃত্যুবরণ করেছেন, মহান আল্লাহ তাদের সবাইকে ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসে উচ্চ আসন দান করুন -আমীন।
আরাফাতের বাষট্টি বর্ষের সূচনালগ্নে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি বিজ্ঞ লেখক, পাঠক, শুভাকাঙ্খি ও শুভানুধ্যায়ীসহ আরাফাত সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দকে, যারা আরাফাতকে বিভিন্নভাবে সমৃদ্ধ করেছেন। অতঃপর সকলের নিকট- দু‘আ চাচ্ছি- মহান আল্লাহ যেন সাপ্তাহিক আরাফাতের সমৃদ্ধি দান করেন।
বর্তমান সমাজের অবক্ষয়ের মাঝে সাপ্তাহিক আরাফাত পাঠ করা এবং পাঠক বৃদ্ধি করা খুবই প্রয়োজন। কেননা দেশের বড় বড় শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে যেভাবে ধর্ষণ, গণধর্ষণ, নারী নির্যাতন ও নারী অপহরণ বেড়ে চলেছে, তার প্রতিকার হওয়া প্রয়োজন। সেজন্যই দেশের যুব সমাজসহ সকলকে কুরআন-হাদীসের শিক্ষার দিকে দ্রুত ফিরে আসা একান্ত উচিত। সর্বদা মহান আল্লাহর শাস্তিকে ভয় করা দরকার।
সর্বোপরি ‘বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের নেতৃবৃন্দ, আরাফাতের অভিজ্ঞ লেখক ও পাঠক এবং তাওহীদবাদী জনতাসহ সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান- আসুন! আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে মহান আল্লাহর রজ্জু তথা কুরআন ও সুন্নাহকে ধারণ করি এবং পরস্পর যেন বিভক্ত ও বিচ্ছিন্ন না হই। কেননা বিভক্তি ও বিচ্ছিন্নতার মধ্যে কোন প্রকার কল্যাণ নেই। আর জমঈয়তের দা‘ওয়াত ও তাবলীগী কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করি। সহীহ ‘আক্বীদাহ্ ও বিশ্বাসের প্রতি সর্বসাধারণকে আহ্বান জানাই। সকল প্রকার কুফ্র, শিরক, বিদ‘আত, প্রতারণা, ধোঁকাবাজী, নেফাকী ও কুসংস্কার থেকে বিরত থাকি। ইসলামী বিধি-বিধান মেনে চলি এবং অনৈসলামিক কার্যক্রম ও অপসংস্কৃতি থেকে বেঁচে থাকি। পাশাপাশি জমঈয়তের মুখপত্র সাপ্তাহিক আরাফাত নিয়মিত পাঠ করি এবং অপরকে পাঠে উদ্বুদ্ধ করি। জীবনকে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে গড়ে তুলি। জান্নাতের পানে অগ্রসর হওয়ার জন্য আল্লাহ তা‘আলার নিকট তাওফীক্ব কামনা করি। আরাফাতের বকেয়া সমুদয় বিল পরিশোধ করি। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সহায় হোন -আল্লাহুম্মা আমীন।
[1] মুসলিম- ৮৬৭, আন্ নাসায়ী- ১৫৭৮।
ঢাকায় সূর্যোদয় : 6:17:45
সূর্যাস্ত : 5:11:51
আপনার মন্তব্য1