সাময়িক প্রসঙ্গ
আল-কুরআনে নেতা ও নেতৃত্ব
শাইখ ড. আব্দুল্লাহ ফারুক

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা ইরশাদ করেন :
﴿اِنَّ اللّٰهَ يَاۡمُرُكُمۡ اَنۡ تُؤَدُّوۡا الۡاَمٰنٰتِ اِلٰٓى اَهۡلِهَاۙ وَاِذَا حَكَمۡتُمۡ بَيۡنَ النَّاسِ اَنۡ تَحۡكُمُوۡا بِالۡعَدۡلِ‌ؕ اِنَّ اللّٰهَ نِعِمَّا يَعِظُكُمۡ بِهٖ‌ؕ اِنَّ اللّٰهَ كَانَ سَمِيۡعَۢا بَصِيۡرًا ۝ يٰۤاَيُّهَا الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَطِيۡعُوۡا اللّٰهَ وَاَطِيۡعُوۡا الرَّسُوۡلَ وَاُولِىۡ الۡاَمۡرِ مِنۡكُمۡ‌ۚ فَاِنۡ تَنَازَعۡتُمۡ فِىۡ شَىۡءٍ فَرُدُّوۡهُ اِلَى اللّٰهِ وَالرَّسُوۡلِ اِنۡ كُنۡتُمۡ تُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰهِ وَالۡيَوۡمِ الۡاٰخِرِ‌ؕ ذٰلِكَ خَيۡرٌ وَّاَحۡسَنُ تَاۡوِيۡلًا﴾
আয়াতে কারীমাদ্বয়ের অনুবাদ : (হে ঈমানদারগণ!) আল্লাহ‌ তোমাদের যাবতীয় আমানত তার হক্বদারদের হাতে ফেরত দেবার নির্দেশ প্রদান করছেন। আর লোকদের মধ্যে ফায়সালা করার সময় “আদল” ও ন্যায়নীতি সহকারে ফায়সালা করো। আল্লাহ তোমাদের বড়ই উৎকৃষ্ট উপদেশ দান করেন। আর অবশ্যই আল্লাহ‌ সবকিছু শুনেন ও দেখেন ॥ হে ঈমানদারগণ! আনুগত্য করো আল্লাহর এবং আনুগত্য করো রাসূলের আর সেই সব লোকের যারা তোমাদের মধ্যে দায়িত্ব ও ক্ষমতার অধিকারী। এরপর যদি তোমাদের মধ্যে কোনো ব্যাপারে বিরোধ দেখা দেয় তাহলে তাকে আল্লাহ‌ ও রাসূলের দিকে ফিরিয়ে দাও। যদি তোমরা যথার্থই আল্লাহ‌ ও পরকালের ওপর ঈমান এনে থাকো। এটিই একটি সঠিক কর্মপদ্ধতি এবং পরিণতির দিক দিয়েও এটিই উৎকৃষ্ট।
আয়াতে কারীমাদ্বয়ের সংক্ষিপ্ত তাফসীর : উল্লেখিত আয়াতে কারীমা দু’টি আল-কুরআনুল কারীমের চার নং সূরা, সূরা আন্ নিসার ৫৮ ও ৫৯ নং আয়াতে কারীমাদ্বয়। আল্লাহ তা‘আলা আয়াতে কারীমা দু’টিতে ইসলামী রাজনীতি, সংগঠন, নেতা নির্বাচন ও নেতার গুণাবলী ও নেতার প্রতি আনুগত্যের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। আয়াতে কারিমা দু’টিতে সাধারণ ব্যক্তিবর্গ ও শাসকশ্রেণী উভয়কেই সম্বোধন করা হয়েছে। উভয়কে তাকীদ করা হয়েছে যে, আমানতসমূহ তাদের প্রাপকদের নিকট পৌঁছে দাও। এতে প্রথমতঃ এমন আমানতও শামিল যা কারো কাছে হিফাযতের জন্য রাখা হয়। এতে খিয়ানত না করে চাওয়ার সময় হিফাযতের সাথে যেন তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। দ্বিতীয়তঃ পদ ও দায়িত্ব যোগ্য লোকদেরকেই যেনো দেওয়া হয়। কেবল রাজনৈতিক ভিত্তিতে অথবা বংশ, দেশ ও জাতিগত ভিত্তিতে কিংবা আত্মীয়তা ও কোটা ভিত্তিক নিয়মে পদ ও দায়িত্ব দেওয়া এই আয়াতের পরিপন্থী।
এতে বিশেষ করে শাসকদেরকে ন্যায়পরায়ণতা বজায় রাখার এবং সুবিচার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একটি হাদীসে এসেছে যে, “বিচারক যতক্ষণ পর্যন্ত যুল্ম করে না, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলা তার সাথে থাকেন। অতঃপর সে যখন যুল্ম শুরু করে দেয়, তখন আল্লাহ তা‘আলা তাকে তার নিজের উপর ছেড়ে দেন।”[১]
অর্থাৎ- আমানতসমূহ তাদের প্রাপকদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া এবং ন্যায়পরায়ণতা ও সুবিচার বজায় রাখার উপর নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
প্রথম আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা নেতা ও নেতার গুণাবলী উল্লেখ করলেও দ্বিতীয় আয়াতে সেই নেতার প্রতি আনুগত্য করার কথা বলেছেন।
আয়াতে কারীমা দু’টিতে আল্লাহ নেতা ও জনগণের  দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।  এখানে তিন ধরণের ওয়াজিব বা নির্দেশ রয়েছে। এক.  ইমাম বা নেতার প্রতি ‘আমল করা বাধ্যতামূলক। দুই. জনগণের উপর ‘আমল করা ওয়াজিব। তিন. উভয়ের প্রতি ‘আমল করা ওয়াজিব।
আমানত ও আদল এর কথা বলা হয়েছে এটি উভয়ের প্রতি ওয়াজিব হলেও ন্যায় ভিত্তিক শাসনকার্য পরিচালনা করা আমীর তথা নেতার উপর ওয়াজিব। নেতার প্রতি আনুগত্য এটা জনসাধারণের উপর ওয়াজিব। আর কিতাব ও সুন্নাহ ভিত্তিক বিচারকার্য ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ এটা উভয়ের প্রতি ওয়াজিব।
আয়াতের সারমর্ম হচ্ছে এই যে, যার দায়িত্বে কোনো আমানত থাকবে, সে আমানত প্রাপককে পৌঁছে দেয়া তার একান্ত কর্তব্য। রাসূল (সাঃ) আমানত প্রত্যার্পণ ব্যাপারে বিশেষ তাকীদ প্রদান করেছেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, এমন খুব কম হয়েছে যে, রাসূল (সাঃ) কোনো ভাষণ দিয়েছেন অথচ তাতে এ কথা বলেননি- ‘যার মধ্যে আমানতদারী নেই তার মধ্যে ঈমান নেই। আর যার মধ্যে প্রতিশ্রুতি রক্ষার নিয়মানুবর্তিতা নেই, তার দ্বীন নেই’।[২]
তাছাড়া আমানতদারী না থাকা মুনাফেক্বীর একটি আলামত। রাসূল (সাঃ) একদিন মুনাফেক্বীর লক্ষণসমূহ বর্ণনা প্রসঙ্গে একটি লক্ষণ এটাও বলেছিলেন যে, যখন তার কাছে কোনো আমানত রাখা হয় তখন সে তাতে খিয়ানত করে।[৩]
আসমানী গ্রন্থই সকল যুগে মানবজাতির সংবিধান : আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক যুগে যুগে নাযিলকৃত কিতাবগুলোই মানবজাতির সংবিধান হিসেবে বিবেচিত ছিল এবং এ সব মহান গ্রন্থের আলোকেই আম্বিয়ায়ে কিরাম তাদের সম্প্রদায় কিংবা রাষ্ট্র পরিচালনা করতেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
﴿وَلْيَحْكُمْ أَهْلُ الْإِنْجِيْلِ بِمَا أَنْزَلَ اللهُ فِيْهِ وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللهُ فَأُوْلَئِكَ هُم الْفَاسِقُوْنَ﴾
“আর ইনজীলের অনুসারীগণ তাতে আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তার মাধ্যমে যেনো ফয়সালা করে আর আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তার মাধ্যমে যারা ফয়সালা করে না, তারাই ফাসিক।”[৪]
আল-কুরআনের ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
﴿وَأَنْزَلْنَا إِلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ الْكِتَابِ وَمُهَيْمِنًا عَلَيْهِ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللهُ وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَهُمْ عَمَّا جَاءَكَ مِنَ الْحَقِّ لِكُلٍّ جَعَلْنَا مِنْكُمْ شِرْعَةً وَمِنْهَاجًا وَلَوْ شَاءَ اللهُ لَجَعَلَكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَلَكِنْ لِيَبْلُوَكُمْ فِيْ مَا آتَاكُمْ فَاسْتَبِقُوْا الْخَيْرَاتِ إِلَى اللهِ مَرْجِعُكُمْ جَمِيْعًا فَيُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ فِيْهِ تَخْتَلِفُوْنَ﴾
“আর আমি অবতীর্ণ করেছি তোমার উপর এক সত্যগ্রন্থ যেটি পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের সত্যায়নকারী ও সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণকারী। সুতরাং আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তার মাধ্যমে ফয়সালা করো এবং তোমার নিকট যে সত্য এসেছে, তা ত্যাগ করে তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না। তোমাদের প্রত্যেকের জন্য আমি নির্ধারণ করেছি শরী‘আত ও স্পষ্ট পন্থা।
নেতৃত্বের গুরুত্ব : আল্লাহ তা‘আলা আল-কুরআনের অসংখ্য স্থানে নেতৃত্বের কথা বলেছেন। নেতৃত্ব ছাড়া মানবসভ্যতার কল্যাণও করা যায় না। দুনিয়ার সৃষ্টি লগ্ন হতে অদ্যাবধি নেতৃত্ব ছাড়া কোনো সমাজ, দেশ ও জাতি নেতৃত্ব ছাড়া ছিল না। শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ্ (রহঃ) বলেন :
فأوجب ﷺ تأمير الواحد في الاجتماع القليل العارض في السفر تنبيها بذلك على سائر أنواع الاجتماع.
অর্থাৎ- নাবী (সাঃ) সফরকালীন সময়েও আমীর নিযুক্তির নির্দেশ প্রদান করে সতর্ক করে দিয়েছেন যে সকল ধরনের সমাবেশ তথা ইজতিমায় আমীর তথা নেতা নিযুক্ত করতে হবে।[৫]
সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত দলবদ্ধ ভাবে, জামা‘আতবদ্ধভাবে ও সংগঠনের আওতাধীন জীবন-যাপন করবে। কেননা সংগঠনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যই হচ্ছে বিক্ষিপ্ত ও বিচ্ছিন্ন মানুষগুলোকে এক পতাকাতলে সমবেত করা। পবিত্র আল কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿يَوْمَ نَدْعُوْ كُلَّ أُنَاسٍ بِإِمَامِهِمْ﴾
অর্থাৎ- “ক্বিয়ামতের দিবসে প্রত্যেক জনগোষ্ঠিকে তাদের ইমামদের সাথে ডাকা হবে।”[৬]
মানব জীবনে নেতা বা পরিচালকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্ববহ। একজন ডাইনামিক নেতা পতনোম্মুখ একটি জাতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত হতে উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যেতে পারে। তাদের স্বপ্ন দেখাতে পারে। মানুষ প্রতিনিয়ত তার বৈষয়ীক উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য কোনো না কোনো অবলম্বন ধারণ করে থাকে। মানব জীবনে নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান কোনোক্রমেই অস্বীকার করা যায় না। আর এ গুরুত্ব অনুধাবন করেই মহানবী মুহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ) নির্দেশ দিয়েছেন,
“তোমাদের মধ্যে তিনজন ব্যক্তি একত্রে অবস্থান করলে একজনকে আমীর বা নেতা বানিয়ে নাও।”
মুসাফিরদের জন্যে তাদের ভ্রমণ কাজ সুষ্ঠ পরিচালনার জন্যে মহানাবীর এ শাশ্বত নির্দেশ এটাই প্রমাণ করে যে, মুসলমানদের সামাজিক ও রাষ্ট্রিয় কর্মকা- সঠিক খাতে প্রবাহিত এবং সুষ্ঠ পরিচালনার লক্ষ্যে একজন আমীর বা নেতার প্রয়োজনীয়তা ভ্রমনকালের নেতৃত্বের চেয়েও অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এ কথা ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ্ (রহঃ), ইমাম শাওকানীসহ প্রমুখ ইমামগণ উল্লেখ করেছেন।
একজন নেতাই উন্নয়নের পরিচায়ক। নেতা হতেই নেতৃত্বের সৃষ্টি। একজন আদর্শ নেতা এবং তার প্রজ্ঞাধারী নেতৃত্ব জাতির জন্য বিশাল পাথেয়স্বরূপ।
নেতার গুণাবলী : ১- পথপ্রদর্শক হবে। ২- ধৈর্যশীল হবে। ৩- মহান আল্লাহর প্রতি পূর্ণমাত্রায় বিশ্বাসী হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
﴿وَجَعَلْنَا مِنْهُمْ أَئِمَّةً يَهْدُوْنَ بِأَمْرِنَا لَمَّا صَبَرُوْا وَكَانُوْا بِآيَاتِنَا يُوْقِنُوْنَ﴾
“আর আমি তাদের মধ্য থেকে বহু নেতা করেছিলাম, তারা আমার আদেশানুযায়ী সৎপথ প্রদর্শন করত, যখন তারা ধৈর্যধারণ করেছিল। আর তারা আমার আয়াতসমূহের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রাখত।”[৭]
৪- কোমল হৃদয়ের অধিকারী ও সদালাপী হবে। মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
﴿فَبِمَا رَحْمَةٍ مِنَ اللهِ لِنْتَ لَهُمْ وَلَوْ كُنْتَ فَظًّا غَلِيْظَ الْقَلْبِ لَانْفَضُّوْا مِنْ حَوْلِكَ فَاعْفُ عَنْهُمْ وَاسْتَغْفِرْ لَهُمْ وَشَاوِرْهُمْ فِيْ الْأَمْرِ فَإِذَا عَزَمْتَ فَتَوَكَّلْ عَلٰى اللهِ إِنَّ اللهَ يُحِبُّ الْمُتَوَكِّلِيْن﴾
“হে রাসূল (সাঃ)! এটা আল্লাহর মেহেরবাণী যে, আপনি নরম স্বভাবের হয়েছেন, কর্কশ হননি এবং কঠোর হৃদয়ের হননি। যদি তাই হতেন তাহলে আপনার আশপাশ থেকে সব লোক চলে যেত। সুতরাং আপনি তাদের ক্ষমা করে দিন (যদি কোনো ভুল করে), তাদের জন্য ক্ষমার দু‘আ করুন এবং তাদের সাথে পরামর্শ করুন। তারপর যখন সিদ্ধান্ত নেবেন, তখন আল্লাহর ওপর ভরসা করুন। আল্লাহ তাদের পছন্দ করেন যারা আল্লাহর ওপর ভরসা করে।”[৮]
অনুরুপ আল কুরআনের আলোকে নেতার অন্যান্য বৈশিষ্ট্যসমূহ- হাসিমুখ ও সদালাপী থাকা, কর্মমুখরতা, সাহসিকতা, ভালো বক্তা হওয়া, বহির্মুখী ব্যক্তিত্ব, স্বপ্ন দেখাতে শেখানো, উদার মনোভাব, অল্পতে রেগে না যাওয়া, বিশ্লেষণী বুদ্ধি, সঠিক সিদ্ধান্তের ক্ষমতা, দূরদর্শীত হওয়া, জ্ঞানী হওয়া, একাধিক ভাষা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকা, ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন হওয়া, সচ্চরিত্রবান হওয়া।
আল্লাহ তা‘আলা আল-কুরআনুল কারীমের নির্দেশনা মুতাবেক যোগ্যতম ও ডাইনামিক নেতা ও নেতৃত্ব আমাদের মুসলিম সমাজে দান করুন -আমীন।


[১] সুনান ইবনু মাজাহ্।
[২] মুসনাদে আহমাদ- ৩/১৩৫।
[৩] সহীহুল বুখারী- হাঃ ৩৩; সহীহ মুসলিম- হাঃ ৫৯।
[৪] সূরা আল মায়িদাহ্ : ৪৭।
[৫] আস্ সিয়াসাতুশ্ শারঈয়াহ- ১২৯।
[৬] সূরা বানী ইসরা-ঈল : ৭১।
[৭] সূরা আস্ সাজদাহ্ : ২৪।
[৮] সূরা আ-লি ইমরান : ১৫৯।


আপনার মন্তব্য1

ঢাকায় সূর্যোদয় : 6:31:55 সূর্যাস্ত : 5:13:27

সাপ্তাহিক আরাফাতকে অনুসরণ করুন

@সাপ্তাহিক আরাফাত