আল্লাহ তা‘আলার বাণী
﴿يَا بَنِىْ
إِسْرَائِيْلَ اذْكُرُوْا نِعْمَتِيَ الَّتِىْ أَنْعَمْتُ عَلَيْكُمْ وَأَوْفُوْا
بِعَهْدِىْ أُوْفِ بِعَهْدِكُمْ وَإِيَّايَ فَارْهَبُوْنِ ۞ وَآمِنُوْا بِمَا
أَنْزَلْتُ مُصَدِّقًا لِمَا مَعَكُمْ وَلَا تَكُوْنُوْا أَوَّلَ كَافِرٍ بِهِ
وَلَا تَشْتَرُوْا بِآيَاتِىْ ثَمَنًا قَلِيْلًا وَإِيَّايَ فَاتَّقُوْنِ ۞ وَلَا
تَلْبِسُوْا الْحَقَّ بِالْبَاطِلِ وَتَكْتُمُوْا الْحَقَّ وَأَنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ﴾
সরল অর্থানুবাদ
“হে বানী ইস্রাঈল! তোমরা স্মরণ করো আমার সে নিয়ামতের কথা যা আমি তোমাদেরকে দিয়েছি। আর তোমরা আমার সাথে কৃত ওয়াদা পূরণ করো, তাহলে আমি তোমাদের জন্য যে ওয়াদা করেছি, তা পূরণ করব এবং তোমরা কেবল আমাকেই ভয় করো। আর তোমরা ঈমান গ্রহণ করো সে কিতাবের প্রতি, যা আমি তোমাদের কাছে সত্য সহ নাযিল করেছি। বস্তুতঃ তোমরা তার প্রাথমিক অস্বীকারকারী (কাফির) হয়ো না এবং আমার আয়াতসমূহ স্বল্পমূল্যে বিক্রি করো না। আর আমাকেই তোমরা ভয় করো। তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না এবং জেনে-বুঝে সত্যকে গোপন করো না।”[১]
দারস-এর প্রেক্ষাপট
বানী ইস্রাঈলকে আল্লাহ তা‘আলা তার প্রদত্ত্ব নিয়ামতসমূহের ও কৃত ওয়াদার কথা স্মরণ করিয়ে তাদেরকে ইসলাম গ্রহণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামতের বলে তারা জগতে যশ-খ্যাতি অর্জন করেছিল। আবার তার নিয়ামতের কুফ্রীর ফলে যে বিপর্যয় নেমে এসেছি- তা স্মরণ করলে সহজেই তারা অনুসূচনা করতে পারবে। আর মহান আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদা অনুযায়ী দ্রুত তার নির্দেশ মানবে- এ লক্ষ্যে তাদেরকে এসব নিয়ামতের কথা স্মরণ করানো। এটি দা‘ওয়াতে অন্যতম একটি কৌশল। আল্লাহ তা‘আলা সে কৌশল অবলম্বন করে এ জাতিকে মুহাম্মদ (ﷺ)-এর অনুসরণ করার এবং ওয়াদা অনুযায়ী আল্লাহ তা‘আলা বন্দেগীর আহ্বান জানান।
বানী ইস্রাঈল কারা?
ইস্রাঈল হিব্রু ভাষার শব্দ। অর্থ-মহান আল্লাহর বান্দা বা দাস। এটি মহান আল্লাহর নবী ইয়াকুব (আ.)-এর উপাধি। সাহাবী ইবনু ‘আব্বাস (রা.) বলেন, ইয়াহূদীদের একটি দল নবী মুহাম্মাদ (রা.)-এর নিকট উপস্থিত হলো। তিনি (ﷺ) তাদেরকে বললেন : তোমরা কি জানো, ইস্রাঈল হলেন ইয়াকুব। তারা বলল : হে আল্লাহ! সত্যিই তো। অতঃপর নবী (ﷺ) বললেন : হে আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থাকো।[২]
মহান আল্লাহর বাণী :
﴿اذْكُرُوْا
نِعْمَتِيَ الَّتِىْ أَنْعَمْتُ عَلَيْكُمْ﴾
“তোমরা স্মরণ করো, আমার সে নিয়ামতের কথা, যা আমি তোমাদেরকে দিয়েছি।”
এ আয়াতাংশে বানী ইস্রাঈল-এর প্রতি আল্লাহ প্রদত্ত সকল নিয়ামতই উদ্দেশ্য। কিছু নিয়ামতের কথা বিভিন্ন দলিল-প্রমাণ দ্বারা আমরা জানতে পারি। আবার এমন কত নিয়ামত রয়েছে, যার বিবরণ আমরা জানি না। প্রদত্ত নিয়ামতের মধ্যে পাথর থেকে পানির ঝরণা নির্গত হওয়া, মান্না ও সালওয়া নামক আসমানী খাবার নাযিল করা এবং ফিরআউনের দাসত্ব হতে মুক্তিদান সবিশেষ উল্লেখযোগ্য।[৩]
আসমানী কিতাব নাযিল ও নবী প্রেরণ অন্যতম। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
﴿يَا قَوْمِ اذْكُرُوْا
نِعْمَةَ اللهِ عَلَيْكُمْ إِذْ جَعَلَ فِيْكُمْ أَنْبِيَاءَ وَجَعَلَكُمْ مُلُوْكًا
وَآتَاكُمْ مَا لَمْ يُؤْتِ أَحَدًا مِنَ الْعَالَمِيْنَ﴾
অর্থাৎ-“হে জাতি! তোমরা স্মরণ করো তোমাদের প্রতি আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামতের কথা- যখন তিনি তোমাদের মাঝে নবীগণ পাঠালেন এবং এমন রাজত্ব দিলেন, যা জগতের কাউকে দেয়া হয়নি।”[৪]
ইবনু ‘আব্বাস (রা.)’র বাচনিক উক্ত নিয়ামতের মধ্যে স্মরণীয় হলো ফিরআউন ও তার জাতি কর্তৃক লোমহর্ষক নির্যাতন থেকে নাজাত দান করা।[৫]
মহান আল্লাহর বাণী :
﴿وَأَوْفُوْا بِعَهْدِىْ أُوْفِ بِعَهْدِكُمْ﴾
“আর তোমরা পুরা করো আমার সাথে কৃত ওয়াদা, তবে আমি তোমাদের ওয়াদা পূরণ করব।”
আয়াতাংশে মহান আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদা বলতে- তাঁর প্রতি ও তাঁর রাসূল (ﷺ)-এর ঈমান আনা এবং তাঁর শরীয়াত বাস্তবায়ন করাকে বুঝায়।[৬] এই ওয়াদা আরো স্পষ্ট হয়েছে মহান আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণীতে। ইরশাদ হচ্ছে-
﴿وَلَقَدْ
أَخَذَ اللهُ مِيْثَاقَ بَنِىْ إِسْرَائِيْلَ وَبَعَثْنَا مِنْهُمُ اثْنَىْ عَشَرَ
نَقِيْبًا وَقَالَ اللهُ إِنِّىْ مَعَكُمْ لَئِنْ أَقَمْتُمُ الصَّلَاةَ وَآتَيْتُمُ
الزَّكَاةَ وَآمَنْتُمْ بِرُسُلِىْ وَعَزَّرْتُمُوْهُمْ وَأَقْرَضْتُمُ اللهَ قَرْضًا
حَسَنًا لَأُكَفِّرَنَّ عَنْكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَلَأُدْخِلَنَّكُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِىْ
مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ فَمَنْ كَفَرَ بَعْدَ ذٰلِكَ مِنْكُمْ فَقَدْ ضَلَّ سَوَاءَ
السَّبِيْلِ﴾
অর্থ : “আর আল্লাহ বানী ইস্রাঈল এর কাছ থেকে ওয়াদা নিয়েছিলেন এবং আমি (আল্লাহ) তাদের মধ্য থেকে ১২জন দলপতি নিযুক্ত করেছিলেন। আর আল্লাহ বলেছিলেন- আমি তোমাদের সাথে আছি। যদি তোমরা সালাত ক্বায়েম করো, যাকাত দাও, অতঃপর, রাসূলগণের প্রতি ঈমান আনো, তাদের সাহায্য করো এবং আল্লাহকে উত্তম উপায়ে ঋণ দাও, তাহলে অবশ্যই আমি (আল্লাহ) তোমাদের গুনাহসমূহ মাফ করে দিব এবং তোমাদেরকে এমন জান্নাতে প্রবেশ করাব-যার তলদেশ দিয়ে নহর প্রবাহিত হয়। অতঃপর, সেটার পর তোমাদের মধ্যে যে কাফির হয়, সে নিশ্চয়ই সরলপথ বিচ্যূত।”[৭]
উক্ত আয়াতে কারীমা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, বানী ইস্রাঈল-এর কাছ থেকে আল্লাহ তা‘আলা কয়েকটি মৌলিক বিষয়ে ওয়াদা নিয়েছেন। আর তা হলো- ১. সালাত ক্বায়িম করা, ২. যাকাত প্রদান করা, ৩. নবী-রাসূলদের উপর ঈমান আনা, ৪. নবী ও রাসূলদের সাহায্য করা, ৫. মহান আল্লাহকে উত্তম ঋণ দেয়া।
অন্যান্য ভাষ্যকার বলেন, আল্লাহ তা‘আলা তাওরাতে এ মর্মে ওয়াদা করেছিলেন যে, তিনি ইব্রা-হীম (অফড়নব ঝুংঃবসং) পুত্র ইসমা‘ঈল (আ.)-এর বংশে এক মহান নবী পাঠাবেন। আর এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো মুহাম্মাদ (ﷺ)। অতএব, যে ব্যক্তি মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর প্রতি ঈমান এনে তার আনুগত্য করবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন এবং জান্নাত দান করবেন।[৮]
যাহ্হাক ইবনু ‘আব্বাস (রা.)-এর বাচনিক বর্ণনা এভাবে উল্লেখ করেন যে, বানী ইস্রাঈল যদি তাদের ওয়াদা পূরণ করে, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ওয়াদা পূরণ করবেন। এর অর্থ হচ্ছে- আমি (আল্লাহ) তোমাদের উপর সন্তুষ্ট হয়ে যাব এবং তোমাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।[৯]
মহান আল্লাহর বাণী :
﴿وَلَا تَلْبِسُوْا الْحَقَّ
بِالْبَاطِلِ...﴾
“আর তোমরা হক্বকে বাতিলের সাথে মিশ্রণ করো না...।”
আয়াতাংশের তাফসীর প্রসঙ্গে ইমাম ইবনু কাসীর (*) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা বানী ইস্রাঈল তথা ইয়াহূদীদেরকে তাদের সচরাচর রীতি অনুযায়ী হক্বকে বাতিলের সাথে মিশানোর ন্যায় গর্হিত কাজ হতে নিষেধ করেছেন। তাদের আরও একটি বদভ্যাস ছিল, তারা জেনে-বুঝে হক্ব গোপন করত এবং বাতিল ও অহেতুক বিষয় প্রকাশ করত। আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে এ দু’টি অপরাধ থেকে বারণ করলেন। সাথে সাথে হক্ব প্রচার ও প্রসার করতে নির্দেশ দিলেন।[১০]
যাহ্হাক ইবনু ‘আব্বাস (অফড়নব ঝুংঃবসং) হতে বর্ণনা করেন- মহান আল্লাহর বাণী : “আর তোমরা হক্বকে বাতিলের সাথে মিশ্রণ করো না।” অর্থ-তোমরা হক্ব বাতিলের মিশ্রণ ঘটাবে না এবং সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশাবে না।[১১]
ক্বাতাদাহ্ বলেন, তোমরা ইয়াহূদী-খ্রিষ্টবাদকে ইসলামের সাথে মিশাবে না। অথচ তোমরা জানো যে, মহান আল্লাহর দীন হচ্ছে ইসলাম। আর ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টবাদ বিকৃত, মহান আল্লাহর আবিমিশ্রিত দ্বীন নয়।[১২]
হক্ব গোপনের পরিণাম
ইতোপূর্বে আমরা অবগত হয়েছি যে, হক্ব গোপন করা ইয়াহূদীদের বৈশিষ্ট্য ও জঘন্য অপরাধ। আল কুরআন এর পরিণতি সম্পর্কে বলেছে-
﴿إِنَّ الَّذِيْنَ يَكْتُمُوْنَ مَا أَنْزَلْنَا مِنَ الْبَيِّنَاتِ
وَالْهُدَى مِنْ بَعْدِ مَا بَيَّنَّاهُ لِلنَّاسِ فِىْ الْكِتَابِ أُوْلَئِكَ يَلْعَنُهُمُ
اللهُ وَيَلْعَنُهُمُ اللَّاعِنُوْنَ﴾
“নিশ্চয়ই যারা গোপন করে আমি যেসব সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও হিদায়ত নাযিল করেছি মানুষের জন্য কিতাবে বিস্তারিত বর্ণনার পরও, সে সমস্ত লোকের প্রতিই আল্লাহর অভিশাপ এবং অন্যান্য অভিশাপকারীদেরও অভিশাপ।”[১৩]
প্রখ্যাত সাহাবী আবূ হুরাইরাহ্ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ ফরমান :
«مَنْ
سُئِلَ عَنْ عِلْمٍ فَكَتَمَهُ أَلْجَمَهُ اللهُ بِلِجَامٍ مِنْ نَارٍ يَوْمَ الْقِيَامَةِ».
অর্থাৎ-যে ব্যক্তি কোন ‘ইল্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতঃপর, তা গোপন করল। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা তার মুখে জাহান্নামের আগুনের লাগাম লাগিয়ে দিবেন।[১৪]
বর্তমান সমাজে যে সকল ‘আলেম দল পরস্তি বা ইমাম ভক্তির অযুহাতে কুরআন ও সহীহ হাদীসকে গোপন করেছেন কিংবা অনুসরণীয় ইমাম-এর উক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে মানুষকে হক্ব থেকে দূরে রাখছেন। তাদের পরিণতি নিয়ে একটু ভাবা উচিৎ। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সুবুদ্ধির উদয় দিন -আমিন।
দারসের শিক্ষাসমূহ
০১. নিয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে মহান আল্লাহর পথে আহ্বান করা কুরআনিক কৌশলের অন্যতম। এটা মানুষের মনে দ্রুত প্রভাব ফেলে।
০২. যারা মহান আল্লাহর সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মাদ (ﷺ)এর যুগ পাওয়ার পরও তার প্রতি ঈমান আনবে না, তারা মহান আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদা ভঙ্গকারী হিসাবে গণ্য হবে।
০৩. ইয়াকুব (আ.) ও তার পরবর্তী নবী রাসূল (ﷺ)-দের অনুসৃত পথের উপর বর্তমান ইস্রাঈল স¤প্রদায় নেই। তাই তাদেরকে ইস্রাঈল না বলে ইয়াহূদী বলাই ভালো।
০৪. যে ব্যক্তি প্রথম কুফ্রী করবে বা কোনো গোমরাহীর পথ দেখাবে, তার দেখাদেখি যত লোক এই অপরাধ করবে ততলোকের সমপরিমাণ পাপ ঐ ব্যক্তির উপর বর্তাবে।
০৫. সত্য গোপনকারী ব্যক্তি মহান আল্লাহর অভিশাপের পাত্র। শুধু তাই নয়; আল্লাহ তা‘আলা যত সৃষ্টিকে অভিশাপ করার ক্ষমতা দিয়েছেন, তাদের সকলের লানত বা অভিশাপ পাবে।
অতএব, আসুন! আমরা সত্যের সেবক হই। তা প্রচার ও প্রসারের কাজে যথাসাধ্য সময়, অর্থ ও শ্রম ব্যয় করি। দুষ্টমতি ইয়াহূদীদের খপ্পরে পা না দেই; বরং মহান আল্লাহকে বেশি বেশি ভয় করি এবং তাঁর রাসূলের (ﷺ) অনুসরণ করে জান্নাতের পথে চলি।
«والله هو الموقف والهادى إلى سواء السبيل».
সম্পাদক, সাপ্তাহিক আরাফাত। সিনিয়র যুগ্ম সেক্রেটারি জেনারেল, বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস।
[১] সূরা আল বাক্বারাহ্ ২: ৪০-৪২।
[২] সুনান আবূ দাঊদ-হাদীস নং-৩৫৬।
[৩] ইমাম ইবনু জারীর-তাফসীর আত্ ত্বাবারী, ১/৫৫৬।
[৪] সূরা আল মায়িদাহ্ ৫: ২০।
[৫] আল-মিসবাহুল মুনির ফী তাহযীব, তাফসীর ইবনু কাসীর-দারুস সালাম, রিয়াদ/৫৫।
[৬] শাইখ ‘আবদুর রহমান আস্ সা‘আদী, তাইসীরুল কারীমির রহমান, মুয়াস্সামাতুর রিসালাহ-বাইরুত/৫০।
[৭] সূরা আল মায়িদাহ্ ৫: ১২।
[৮] মিসবাহুল মুনীর-দারুস সালাম, রিয়াদ/৫৫।
[৯] ইবনু আবী হাতেম-১/১৪৩।
[১০] হাফিয ইমাদুদ্দিন ইবনু কাসীর- তাফসীরুল কুরআনিল আজীম।
[১১] ইমাম ইবনু জারীর আত্ তাবারী-তাফসীর আত্ তাবারী-১/৫৬৯।
[১২] ইবনু আবী হাতিম-১/১৪৭।
[১৩] সূরা আল বাক্বারাহ্ ২: ১৫৯।
[১৪] সুনান আবূ দাঊদ-মাকতাবাতুশ্ শামেলা, হা: ৩৬৫৮, হাসান সহীহ।
আপনার মন্তব্য1