সাময়িক প্রসঙ্গ
ধর্মীয় বিশ্বাস ও হৃদয় মনে তার প্রভাব
শাইখ মুহাম্মাদ হারুন হুসাইন

আল্লাহ তা‘আলার বাণী

صِبْغَةَ اللهِ ۖ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ اللهِ صِبْغَةً ۖ وَنَحْنُ لَهُ عَابِدُوْنَ ۝ قُلْ أَتُحَاجُّوْنَنَا فِيْ اللهِ وَهُوَ رَبُّنَا وَرَبُّكُمْ وَلَنَا أَعْمَالُنَا وَلَكُمْ أَعْمَالُكُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُخْلِصُوْنَ ۝ أَمْ تَقُوْلُوْنَ إِنَّ إِبْرَاهِيْمَ وَإِسْمَاعِيْلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوْبَ وَالْأَسْبَاطَ كَانُوْا هُوْدًا أَوْ نَصَارَىٰ ۗ قُلْ أَأَنتُمْ أَعْلَمُ أَمِ اللهُ ۗ وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ كَتَمَ شَهَادَةً عِنْدَهُ مِنَ اللهِ ۗ وَمَا اللهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ ۝ تِلْكَ أُمَّةٌ قَدْ خَلَتْ ۖ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَلَكُمْ مَّا كَسَبْتُمْ ۖ وَلَا تُسْأَلُوْنَ عَمَّا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ

সরল অর্থানুবাদ

আমরা আল্লাহরই রংয়ে রঞ্জিত, আল্লাহ অপেক্ষা কে শ্রেষ্ঠতম রঞ্জিতকারী? এবং আমরা তাঁরই বান্দা। তুমি বলো : তোমরা কি আল্লাহ সম্বন্ধে আমাদের সঙ্গে বিরোধ করছ? অথচ তিনিই আমাদের রব্ব ও তোমাদের রব্ব এবং আমাদের জন্য আমাদের কার্যসমূহ এবং তোমাদের জন্য তোমাদের কার্যসমূহ এবং আমরা তাঁরই প্রতি বিশ্বস্ত। তোমরা কি বলছ ইব্রাহীম, ইসমা‘ঈল, ইসহাক, ইয়াকূব ও তদীয় বংশধরগণ ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টান ছিল? তুমি বলো : তোমরাই সঠিক জ্ঞানী, না আল্লাহ এবং আল্লাহর নিকট হতে প্রাপ্ত সাক্ষ্য যে ব্যক্তি গোপন করছে সে অপেক্ষা কে বেশি অত্যাচারী? আর তোমরা যা করছ তা হতে আল্লাহ অমনোযোগী নন। ওটা একটি জামা‘আত ছিল যা বিগত হয়েছে; তারা যা অর্জন করেছে তা তাদের জন্য এবং তোমরা যা অর্জন করেছ তা তোমাদের জন্য এবং তারা যা করে গেছে তদ্বিষয়ে তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে না। [১]

দারসের বিষয়বস্তু

আল্লাহ তা‘আলা আমাদের খালেক্ব ও মালেক। তিনি সবকিছুর নিয়ন্ত্রক ও নিয়ামক। তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন অনিবার্য। তাই তাঁর প্রতি নিখাঁদ বিশ্বাস ও একনিষ্ঠ কর্ম আমাদের প্রশান্তি ও মুক্তির একমাত্র অবলম্বন। মনের মণিকোঠায় স্বচ্ছ ও সরলতার প্রদীপ জ্বালাতে ঈমানের কোনো বিকল্প নেই। সঠিক ঈমান মানুষকে সভ্য হতে শেখায় এবং কর্মে নিষ্ঠাবোধ জাগ্রত করে। মহান আল্লাহর উলুহিয়্যাত ঐক্য ও সংহতির অনন্য মাধ্যম। তাঁর দাসত্বের অধীনে সব মানুষ সমান। কেবল শ্রেষ্ঠত্ব তাঁরাই পাবে, যাঁরা তাক্বওয়ার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। আলোচ্য দারসে সে সত্য কথাই তুলে ধরা হয়েছে।

বিশেষ পরিভাষা

صِبْغَةَ আভিধানিক অর্থে বিশেষ এক রং কে বুঝায়। এখানে ঈমান অথবা মহান আল্লাহর দীন উদ্দেশ্য। কাপড়ের উপর রং-এর প্রভাব যেমন দৃশ্যমান হয়, ঠিক তেমনি ঈমানের প্রভাব আমলকারীর উপর পরিলক্ষিত হয়।

أَتُحَاجُّوْنَنَا فِيْ اللهِ এখানে অস্বীকৃতি তিরষ্কার অর্থে প্রশ্নবোধক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থ দাঁড়ায় তোমরা কি আমাদের সাথে আল্লাহ তা‘আলা সম্পর্কে তর্ক করছ, যা বড়োই নিকৃষ্ট ও কোনোভাবেই সমীচীন নয়।

مُخْلِصُوْنَ দীন ও ন্যায়ইনসাফ মেনে আমরা নিষ্ঠাবান।

قُلْ أَأَنْتُمْ أَعْلَمُ أَمِ اللهُ তোমরা কি বেশি জানো না আল্লাহ বেশি জানেন (?) এখানে আল্লাহ-ই বেশি জানে এবং তিনি এ মর্মে অবহিত করেছেন যে, ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক্ব ও ইয়াকুবগণ (আ.) ইয়াহুদী বা খ্রিষ্টান ছিলেন না।

শানে নুযূল: দারসে উল্লেখিত প্রথম আয়াতের শানে নুযূল সম্পর্কে সাহাবী ‘আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (আ.) বলেন : খ্রিষ্টানদের কোনো সন্তান হলে ৭দিন এক বিশেষ রং এর পানি দ্বারা সাজিয়ে রাখতো এবং খাতনার বদলে এটিকেই তারা পবিত্রকরণ মনে করতো। আর তারা দাবি করতো যে, সন্তানটি সম্পূর্ণরূপে খ্রিষ্টান হলো। তখনই আল্লাহ তা‘আলা ওদের এ অবান্তর ও অযৌক্তিক দাবির খণ্ডন করে এ আয়াতে কারীমা নযিল করেন। [২]

সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা

মহান আল্লাহর বাণী :(صِبْغَةَ اللهِ) আমরা আল্লাহর রং গ্রহণ করেছি এ আয়াতে মহান আল্লাহর রং মহান আল্লাহর দীন উদ্দেশ্য। মুজাহিদ, আবুল ‘আলিয়া, ইকরামা ও ক্বাতাদাহ্ প্রমুখ ইবনু ‘আব্বাস (অফড়নব ঝুংঃবসং)’র সূত্র উদ্ধৃত করে অভিন্ন মত প্রকাশ করেন। আর ইবনু কাসীর ও সুদ্দী আর-রাবি‘য় ইবনু আনাসের সূত্র উল্লেখ করে বলেন : এখানে মহান আল্লাহর রং দ্বারা ‘ফিতরাতুল্লাহ’ বা মহান আল্লাহর ফিতরাত উদ্দেশ্য।[৩] আর ফিতরাত বলতে মহান আল্লাহর তাওহীদ ‘লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’র ভিত্তিমূলে প্রতিষ্ঠিত হওয়া বুঝায়। অর্থাৎ-তোমরা একনিষ্ঠভাবে মহান আল্লাহর দীনকে আঁকড়ে ধরো এটাই তোমাদের করণীয়।

মহন আল্লাহর বাণী : (قُلْ أَتُحَاجُّوْنَنَا فِيْ اللهِ) “বলুন! তোমরা কি আমাদের সাথে আল্লাহ সম্পর্কে তর্ক করছ” Ñএ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবী (সা.)-কে বলেন : মুশরিকদের অবান্তর দাবির প্রতিউত্তরে আপনি বলুন! তোমরা কি আমাদের সাথে মহান আল্লাহর তাওহীদ, তাঁর জন্য বিনীত হওয়া, তাঁর আদেশসমূহ পালন করা ও নিষেধ হতে বিরত থাকার ব্যাপারে বিতর্ক করছ? অথচ তিনিই হলেন একক ও অদ্বিতীয় সত্তা, ইলাহ বা উপাস্য হিসেবে একান্তই হক্বদার এবং তোমাদের মাঝে ও আমাদের মাঝে এ বিষয়ে চূড়ান্ত ফায়সালাকারী। [৪] আর আমরা তোমাদের থেকে এবং তোমরা যাদের ‘ইবাদত করো তাদের থেকে মুক্ত। এ মর্মে আল্লাহ তা‘আলা অন্য আয়াতে বলেন :

(وَإِن كَذَّبُوْكَ فَقُل لِّيْ عَمَلِيْ وَلَكُمْ عَمَلُكُمْ ۖ أَنْتُمْ بَرِيْئُوْنَ مِمَّا أَعْمَلُ وَأَنَا بَرِيْءٌ مِّمَّا تَعْمَلُوْنَ)

“যদি তারা তোমাকে মিথ্যা জেনে অমান্য করে, তাহলে বলো, ‘আমার কাজের জন্য আমি দায়ী। আর তোমাদের কাজের জন্য তোমরা দায়ী। আমি যা করি তার দায়-দায়িত্ব থেকে তোমরা মুক্ত এবং তোমরা যা করো তার দায়-দায়িত্ব থেকে আমি মুক্ত।” [৫]

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন :

(فَإِنْ حَاجُّوْكَ فَقُلْ أَسْلَمْتُ وَجْهِيَ لِلّٰهِ وَمَنِ اتَّبَعَنِ)

“অতঃপর যদি (আহলে কিতাব) তোমার সাথে তর্ক করে তবে বলে দাও! ‘আমি আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করেছি আর আমার অনুসারীরাও আত্মসমর্পণ করেছে।” [৬]

মহান আল্লাহর বাণী :  ۗ(كَانُوْا هُوْدًا أَوْ نَصَارَىٰ ) “তারা ইয়াহুদী অথবা খ্রিষ্টান ছিল” এ দাবি তোমরা কেমন করে করলে(?) অর্থাৎ-ইব্রাহীম, ইসমা‘ঈল, ইসহাক্ব, ইয়াকুব ও তাঁদের সন্তানগণতো তাওহীদের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। তাঁদের সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা স্পষ্ট করে বলেন :

(مَا كَانَ إِبْرَاهِيْمُ يَهُوْدِيًّا وَلَا نَصْرَانِيًّا وَلَٰكِن كَانَ حَنِيْفًا مُّسْلِمًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ)

“ইব্রাহীম ইয়াহূদী ছিলেন না এবং নাসারাও ছিলেন না কিন্তু তিনি ছিলেন ‘হানীফ’ অর্থাৎ-সব মিথ্যা ধর্মের প্রতি বিমুখ এবং আত্নসমর্পণকারী, আর তিনি মুশরিক ছিলেন না।” [৭]

এ কথা স্পষ্ট হওয়ার পরও মিথ্যাবাদী আহলে কিতাব তথা ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানরা বলে বেড়ায় যে,

(وَقَالُوْا لَنْ يَدْخُلَ الْجَنَّةَ إِلَّا مَنْ كَانَ هُوْدًا أَوْ نَصَارَىٰ ۗ تِلْكَ أَمَانِيُّهُمْ ۗ قُلْ هَاتُوْا بُرْهَانَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِيْنَ)

“আর তারা বলে, ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টান ছাড়া কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। ওটা তাদের আকাঙ্খা মাত্র। বলুন! ঐদিন যদি তোমরা সত্যবাদী হও, তবে নিজেদের দলিল পেশ করো।”[৮]

বরং তারা এ কথাও বলে থাকে যে,

(وَقَالُوْا كُوْنُوا هُوْدًا أَوْ نَصَارَىٰ تَهْتَدُوْا ۗ قُلْ بَلْ مِلَّةَ إِبْرَاهِيْمَ حَنِيْفًا ۖ وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ)

“ওরা বলে, ‘তোমরা ইয়াহূদী বা খ্রিষ্টান হয়ে যাও, তাহলে হিদায়াত পাবে। বলুন! একনিষ্ঠ হয়ে ইব্রাহীম (আ.)-এর ধর্মাদর্শ অনুসরণ করো। আর তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না।” [৯]

আল্লাহ তা‘আলা স্পষ্ট করে বলার পর ইয়াহূদী বা খ্রিষ্টবাদের দিকে আহ্বান করা অজ্ঞতাপ্রসূত বক্তব্য বৈ কি? এজন্যতো আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন : বলুন! তোমরা বেশি জানো না আল্লাহ তা‘আলা বেশি জানেন? মহান আল্লাহতে জানিয়ে দিয়েছেন যে, ইব্রাহীম, ইসমা‘ঈল, ইসহাক্ব, ইয়াকুব ও তাঁদের সন্তানগণ ইয়াহূদী বা খ্রিষ্টান ছিলেন না; বরং একনিষ্ঠ মুসলিম ছিলেন। [১০]

মহান আল্লাহর বাণী : (وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّن كَتَمَ شَهَادَةً عِنْدَهُ مِنَ اللهِ) “ঐ ব্যক্তির চেয়ে বড়ো জালিম আর কে হবে, যে আল্লাহর পক্ষ হতে আগত সাক্ষ্যকে গোপন করে” এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম হাসান আল-বসরী (*) বলেন: তাদের নিকট আগত মহান আল্লাহর কিতাব তারা পাঠ করতো, যাতে আছে ইসলামই একমাত্র দীন এবং মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর রাসূল। আর ইব্রাহীম, ইসমা‘ঈল, ইসহাক্ব, ইয়কুব ও তাদের অনুগত সন্তানগণ ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টান ছিলেন না। একথার সাক্ষ্য তারা মহান আল্লাহর নামে প্রদান করেছে এবং নিজেদের মনে মনে তা স্বীকার করেছে। তারপরও তারা মহান আল্লাহর এ সাক্ষ্যকে গোপন করেছে। [১১] তাদের এ মিথ্যা দাবি ও সত্য গোপন করার জন্য কঠিন ধমক দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “তোমরা যা কিছু করছ, আল্লাহ সে বিষয়ে গাফিল নন।” তোমাদের জ্ঞানের পরিধি তাঁর কাছে আয়ত্ব এবং তিনি তোমাদের মিথ্যাচারিতার যথাযথ শাস্তি প্রদান করবেন।

মহান আল্লাহর বাণী :(تلْكَ أُمَّةٌ قَدْ خَلَتْ ۖ) “এসব লোক যারা ছিল তারা গত হয়ে গেয়েছে” এখানে خَلَتْ অর্থ গত হয়ে গেছে। তাদের আমলের প্রতিফল তারা পাবে এবং তোমাদের কৃতকর্মের ফল তোমরা ভোগ করবে। নিখাঁদ তাওহীদের অনুসরণ না করে তাঁদের প্রতি নিজেদেরকে সম্বোদিত করে কোনো লাভ নেই। মহান আল্লাহর আদেশ-নিষেধ পালন এবং তাঁর রাসূলগণের পথ অনুসরণের মাঝেই কল্যাণ নিহিত রয়েছে। কাজেই অযথা হুজ্জত তোমাদের কোনো কাজে আসবে না। মনে রেখো, যে ব্যক্তি একজন নবীকে অস্বীকার করবে, সে সব নবীকে অস্বীকারকারী বলে বিবেচিত হবে। বিশেষতঃ নবী সম্রট, সর্বশেষ ও চূড়ান্ত নবী, যাকে আল্লাহ তা‘আলা জগতবাসীর জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছেন, তাঁকে অস্বীকার করলে মুক্তির কোনো পথ খোলা থাকবে না। [১২]

দারসের শিক্ষাসমূহ

০১. ঈমানের রং-ই প্রকৃত রং, যা মানব মনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে। আর তার আলামত বান্দার কর্মে ফুটে ওঠে।

০২. মহান আল্লাহর দ্বীন মানা এবং সে আলোকে জীবন পরিচালনা করা প্রকৃতির দাবি। এ দাবি পূরণ ছাড়া কোনো ব্যক্তি ঊভয় জগতের সফলতা লাভ করতে পারবে না।

০৩. ইব্রাহীম (আ.) একনিষ্ঠ মুসলিম ছিলেন; তিনি ও তাঁর সন্তানগণ কখনো ইয়াহূদী বা খ্রিষ্টান ছিলেন না। তাঁদেরকে ইয়াহূদী বা খ্রিষ্টান বলে দাবি করা মহান আল্লাহর নামে মিথ্যাচারিতা ছাড়া আর কিছু না।

০৪. মহান আল্লাহর কিতাব পড়ে সত্য জানার পর তা গোপন করা বড়োই গর্হিত কাজ। এ অন্যায় কাজের শাস্তি অবশ্যই তাদেরকে পেতে হবে।

০৫. ঈমান না এনে এবং মহান আল্লাহর বিধানের যথাযথ অনুসরণ না করে পূর্ববর্তীদের দোহাই দিয়ে কক্ষনো মুক্তি পাওয়া যাবে না।

উপসংহার

ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টান বড়ো ধূর্ত ও দুর্বুদ্ধির লোক। তার মধ্যে ধৃষ্টতার চরম শিখরে ইয়াহূদী সম্প্রদায়। সত্য জেনেও তা প্রত্যাখ্যান করা তাদের স্বভাবজাত ধর্ম। মহান আল্লাহর নবী ইব্রাহীম, ইসমা‘ঈল, ইসহাক্ব, ইয়াকূব ও তাঁদের সন্তানগণ তাওহীদের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। মুশরিকরা তাঁদেরকে ইয়াহুদী বা খ্রিষ্টান বলে মিথ্যা দাবি করে এবং মানুষকে ইব্রাহিমী মিল্লাতের অজুহাত দিয়ে মুহাম্মাদ (সা.)-এর অনুসরণ থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা চালায়। বক্ষমান দারসের মাধ্যমে ইয়াহূদী চক্রের মিথ্যা দাবির অসারতা প্রমাণ হলো। সত্য আসলে মিথ্যা অপসারিত হতে বাধ্য। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে তাঁর খাঁটি বান্দা হওয়ার তাওফীক্ব দিন আমীন।


সম্পাদক, সাপ্তাহিক আরাফাত। সিনিয়র যুগ্ম সেক্রেটারি জেনারেল, বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস

[১] সূরা আল বাক্বারাহ্ : ১৩৮-১৪১

[২] তাফসীর আল-কুরতুবী-২/১৪৪, গৃহীত : ড. ওয়াহবাহ আয-যোহায়লী ‘আত-তাফসীর আল-মুনীর’ দারুল ফিকহ-দামেশ্ক, ১/৩৫৬-৩৫৭

[৩] ইবনু আবি হাতেম-১/১০৪, গৃহীত : আল-মিসবাহুল মুনীর ‘দারুস সালাম’ রিয়াদ/১১০

[৪] মুহাম্মাদ নাসীব আর রেফ‘ঈ ‘তাইসীরুল ‘আলিইল ক্বাদীর’ মাকতাবাতুল মা‘আরিফ-রিয়াদ ১/১১৫

[৫] সূরা ইউনুস : ৪১

[৬] সূরাহ্ আলি ‘ইমরান : ২০

[৭] সূরাহ্ আলি ‘ইমরান : ৬৭

[৮] সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ : ১১১

[৯] সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ : ১৩৫

[১০] মুহাম্মাদ নাসীব আর-রেফ‘ঈ ‘তাইসীরুল ‘আলিইল ক্বাদীর’ মাকতাবাতুল মা‘আরিফ-রিয়াদ ১/১১৫।

[১১] আল-মিসবাহুল মুনীর ‘দারুস সালাম’ রিয়াদ/১১১।

[১২] মুহাম্মাদ নাসীব আর-রেফ‘ঈ ‘তাইসীরুল ‘আলিইল ক্বাদীর’ মাকতাবাতুল মা‘আরিফ-রিয়াদ ১/১১৬।

[১৩] সূরা বানী ইসরাঈল/ইস্রা : ২৪

[১৪] সূরা ইব্রাহীম : ৪১

[১৫] সূরা আন্ নাজম : ৩৯

[১৬] মির‘আত-৫/৪৫৩


আপনার মন্তব্য1

ঢাকায় সূর্যোদয় : 6:31:55 সূর্যাস্ত : 5:13:27

সাপ্তাহিক আরাফাতকে অনুসরণ করুন

@সাপ্তাহিক আরাফাত