الحمد لله والصلاة والسلام على رَسُوْلَ الله، وَعَلٰى آله وصحبه ومن والاه، أما بعد :
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা মানুষের জীবনকে সৃষ্টি করেছেন। তিনিই তাদের জীবনে সুস্থতা ও অসুস্থতা, আনন্দ ও চিন্তা, সুখ ও কষ্ট ইত্যাদি দিয়ে থাকেন; মূলতঃ এগুলোর দ্বারা তিনি তাঁর বান্দাদের পরীক্ষা করে থাকেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
“বরকতময় তিনিই যার হাতে সর্বময় কর্তৃত্ব; আর তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য; কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।”
মানব জীবনে অসুস্থ হওয়া মহান আল্লাহর নিয়মের অন্তর্ভুক্ত এবং অবধারিত নিয়তি; নিজ ইচ্ছায় তাঁর বান্দাদের কাউকে রোগাক্রান্ত করেন, আবার কাউকে রোগমুক্তি দেন। তিনিই সকল রোগ, রোগের উপসর্গ, প্রকৃতি ও উৎপত্তি সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
“নিশ্চয়ই আমি প্রত্যেক বস্তু সৃষ্টি করেছি নির্ধারিত পরিমাপে।”
আর রাসূল (সাল্লাল্লা-হু ‘আলায়হি ওয়াসাল্লাম) বলেন : “জেনে রেখ, যা তোমার থেকে এড়িয়ে গেছে তা কখনো তোমার বেলায় ঘটবার ছিল না। আর যা তোমার উপর ঘটেছে তা ভুলেও এড়িয়ে যাওয়ার ছিল না।”১
মহান আল্লাহই উপকার ও অপকারকারী, তিনিই দাতা ও বঞ্চিতকারী, এককভাবে তাঁর হাতেই রোগ দেয়া বা না দেয়ার ক্ষমতা, আর তিনিই আরোগ্যদাতা। ইব্রা-হীম (‘আলাইহিস্ সালাম)-এর উক্তি আল্লাহ তা‘আলা এভাবে উল্লেখ করেছেন :
“আর আমি অসুস্থ হলে তিনিই (আল্লাহ) তো আমাকে সুস্থতা দেন।”
আর এ সবই মহান আল্লাহর হিকমতের অন্তর্ভুক্ত, যাতে বিভিন্ন নি‘আমত নিহিত রয়েছে। রাত এলে দিনের প্রয়োজনীয়তা বুঝা যায়, আর রোগ হলে সুস্থতার মুল্য অনুধাবন করা যায়।
মানুষ যতই অগ্রগতি সাধন করুক, জ্ঞান-বিজ্ঞানের শীর্ষে আরোহণ করুক আর যতই চিকিৎসা শাস্ত্রে খ্যাতি অর্জন করুক না কেন; তারা রোগে আক্রান্ত হবেই। সৃষ্টির সেরা মানুষ, নাবী-রাসূলগণও রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, এমনকি চিকিৎসকরাও এ থেকে রেহায় পায় না।
‘আয়িশাহ্ (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্ হা) বলেন : “আমি রাসূল (সাল্লাল্লা-হু ‘আলায়হি ওয়াসাল্লাম)-এর চেয়ে বেশি রোগ যন্ত্রণা ভোগকারী অন্য কাউকে দেখিনি।”২
ইবনু মাস‘ঊদ (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্ হু) বলেন : “একদা আমি রাসূল (সাল্লাল্লা-হু ‘আলায়হি ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে গেলাম, তখন তিনি জ্বরে ভুগছিলেন।”৩
মহান আল্লাহর রহমত ও বিশাল করুণা যে, তিনি সকল রোগের ঔষধ ও প্রতিষেধকেরও ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। প্রত্যেক রোগ নিরাময়ের জন্য উপাদান দিয়েছেন। তা হয়ত কেউ জানে, আবার কেউ জানে না।
রাসূল (সাল্লাল্লা-হু ‘আলায়হি ওয়াসাল্লাম) বলেন : “আল্লাহ তা‘আলা এমন কোনো রোগ পাঠাননি, যার ঔষধ বা নিরাময়ের ব্যবস্থা রাখেননি।”৪
এই হাদীসের মাধ্যমে মূলতঃ “দৈহিক চিকিৎসা শাস্ত্রের” জ্ঞানার্জনের প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে।
আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়াতে তাঁর বান্দাদের জন্য চিকিৎসাকে তাদের অনুগত করে দিয়েছেন। কোনো কোনো ঔষধের রহস্য রেখেছেন পানিতে, কোনটা বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের নির্যাসে, কোনটা আবার গাছ-গাছালী ও লতাপাতায়, আবার কোনটা বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বস্তুর বিষে; বরং প্রত্যেক স্থান এমনকি বিভিন্ন রোগেও তার প্রতিষেধক রয়েছে। এসবই আল্লাহ তা‘আলা করুণা করে তাঁর বান্দাদের জন্য সহজলভ্য করে দিয়েছেন। তাদের দুর্বলতা, প্রয়োজন ও তাঁর প্রতি মুখাপেক্ষিতা সম্পর্কে তিনিই অবহিত।
চিকিৎসা শাস্ত্রে পড়াশুনা ও গবেষণার প্রতি ইসলাম উৎসাহ প্রদান করেছে। এমনকি ইসলামের দৃষ্টিতে ধর্মীয় জ্ঞানের পর চিকিৎসা বিদ্যা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যা। কেননা এর মাধ্যমে মানুষের জীবন রক্ষা পায়, তারা আরোগ্য লাভ করে।
ইমাম শাফে‘য়ী (রাহিমাহুল্লা-হ) বলেন : “বিদ্যা দু-রকমের : ধর্মীয় বিদ্যা ও পার্থিব বিদ্যা। ধর্মীয় বিদ্যা বলতে ফিকহী জ্ঞান উদ্দেশ্য, আর পার্থিব জ্ঞান বলতে চিকিৎসা শাস্ত্রই মূখ্য।”
তিনি আরো বলেন : “হালাল হারাম সম্পর্কে জ্ঞানার্জনের পরে ডাক্তারি বিদ্যার চেয়ে সম্মানিত কোনো বিদ্যা আছে কিনা আমার জানা নেই।”
চিকিৎসা শাস্ত্র ও তার অগ্রগতির জন্য মানুষ সর্বস্ব ত্যাগ করা সত্বেও অনেক ক্ষেত্রেই তারা অপারগ। বিশেষতঃ যখন তাদের জীবনে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বস্তু ও অনুকণা অনুপ্রবেশ করে দেহের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে এবং সংক্রমণ করে মহামারী আকার ধারণ করে ও বিপদজনক ভাইরাসে পরিণত হয়; তখন তাদের অপারগতা আরো বেশি প্রকাশ পায়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
“...এবং মাছি যদি কিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায় তাদের কাছ থেকে, এটাও তারা তার কাছ থেকে উদ্ধার করতে পারবে না। অন্বেষণকারী ও অন্বেষণকৃত কতই না দূর্বল।”
হঠাৎ মহামারী রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে স্বল্প সময়ে তার দ্বারা সংক্রমিত হয়ে অনেক প্রাণহানি ঘটেছে; যা মানুষের অপারগতা, জ্ঞানের স্বল্পতা ও ক্ষমতার সীমাবদ্ধতাকেই জোড় দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছে। এ ক্ষেত্রে তারা যতই শক্তিধর ও ক্ষমতাবান হোক না কেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
“আর মানুষ দূর্বলরূপে সৃষ্ট হয়েছে।”
আর এটা মূলতঃ মানুষকে শান্ত হতে এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে তাওবাহ্ করে তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করতে আহ্বান জানায়।
মহামারী ও ভাইরাস সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া এমন এক ভয়াবহ বিষয়; যা থেকে পরিত্রাণের জন্য অতি জরুরি হলো- মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা করা, তা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য প্রতিপালকের কাছে প্রার্থনা করা এবং যথাসাধ্য উপাদান গ্রহণ করে সতর্কতা অবলম্বন করা।
রাসূল (ﷺ) বলেন : “তোমরা যখন কোনো এলাকায় মহামারী ছড়িয়ে পড়েছে শুনতে পাবে, তখন তোমরা সেখানে যেয়ো না। আর যখন মহামারী এমন কোনো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে তোমরা অবস্থান করছো; তখন সেখান থেকে পালিয়ে বের হয়ে এসো না।”৫
মহামারী ছড়িয়ে পড়লে একজন মুসলিম মহান আল্লাহর ফয়সালা ও তাকদিরের প্রতি বিশ্বাস রাখে, তার রবের প্রতি ভাল ধারণা পোষণ করে ও তার সৃষ্টিকর্তার সাথে শিষ্টাচার বজায় রাখে; ফলে সে বিরক্তি ও ক্রোধ প্রকাশ করে না। বরং সে ধৈর্য ধারণ করে তা সুন্দরভাবে মোকাবেলা করে, তাতে সে রবের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উপহার ও বিশাল অনুগ্রহ দেখতে পায়।
সহীহ মুসলিমে আছে- জাবির (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্হু) হতে বর্ণিত যে, একদা রাসূল (সাল্লাল্লা-হু ‘আলায়হি ওয়াসাল্লাম) উম্মু সায়েব (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্ হা)-এর কাছে গিয়ে তাকে বললেন : “তোমার কী হয়েছে যে থরথর করে কাঁপছ?” সে বলল : জ্বর হয়েছে, আল্লাহ তা‘আলা একে আর বর্ধিত না করুন। তখন তিনি বললেন : “তুমি জ্বরকে গালমন্দ করো না। কেননা জ্বর আদম সন্তানের পাপসমূহ মোচন করে দেয়, যেমনভাবে হাঁপর লোহার মরিচীকা দূরীভূত করে।”৬
আল্লাহ তা‘আলা বলেন : “যারা তাদের উপর বিপদ আসলে বলে, আমরা তো আল্লাহরই। আর নিশ্চয় আমরা তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী। এরাই তারা, যাদের প্রতি তাদের রবের পক্ষ থেকে বিশেষ অনুগ্রহ এবং রহমত বর্ষিত হয়, আর তারাই সৎপথে পরিচালিত।”
আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিয়াল্লা-হু ‘আন্ হা) হতে বর্ণিত। নাবী (সাল্লাল্লা-হু ‘আলায়হি ওয়াসাল্লাম) বলেন : “কোনো মুসলিম ক্লান্তি, অসুখ, চিন্তা, শোক, এমনকি কোনো কাঁটায় বিদ্ধ হলেও; আল্লাহ তা‘আলার মাধ্যমে তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন।”৭
রাসূল (সাল্লাল্লা-হু ‘আলায়হি ওয়াসাল্লাম) আরো বলেন : “মুমীন বান্দার পরিবার, ধন-সম্পদ ও সন্তানাদির ওপর অনবরত বিপদাপদ লেগেই থাকে। সবশেষে মহান আল্লাহর সাথে সে গুনাহমুক্ত অবস্থায় মিলিত হয়।”৮
অসুস্থতা হলো রবের দিকে ফিরে এসে তাঁর কাছে বান্দার আশ্রয় গ্রহণের মাধ্যম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
“অতঃপর তাদেরকে অর্থসংকট ও দুঃখ-কষ্ট দিয়ে পাকড়াও করেছি, যাতে তারা অনুনয় বিনয় করে।”
এমন অনেক রোগ রয়েছে যা আক্রান্ত ব্যক্তির অন্তরে বহু কল্যাণ বয়ে দিয়েছে, মহান আল্লাহর যিক্র, প্রশংসা ও তাসবীহ্-তাহলীলে তার জিহ্বাকে ব্যস্ত রেখেছে!
রোগ-বালা মুসিবত ব্যক্তিকে অহংকার ও দাম্ভিকতা হতে বের করে আনে, তার অন্তরে বিনয়ভাব তৈরি করে; ফলে সে সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিনয়ী ও অবনত হয়। যদি পার্থিব সংকট ও বিপদাপদ না হত, তবে মানুষ অহংকার, আত্মতৃপ্তি ও বর্বর হৃদয়ের ব্যাধিতে আক্রান্ত হত; যা তার ধ্বংসের কারণ।
যে নি‘আমত আপনাকে মহান আল্লাহর যিক্র থেকে বিমুখ রাখে, তার চেয়ে সেই বিপদাপদই আপনার জন্য কল্যাণকর যা আপনাকে মহান আল্লাহর পথে নিয়ে যায়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
“হে মানব সকল! তোমরা সকলেই আল্লাহর প্রতি মুখাপেক্ষী। আর আল্লাহই অমুখাপেক্ষী, প্রশংসারযোগ্য।”
বিপদাপদ ও মহামারী রোগে ব্যক্তি ও সমাজকে আক্রান্ত হতে দেখে একজন মুসলিম মহান আল্লাহর কাছে তা থেকে মুক্তি ও নিরাপত্তার দোয়া করে এবং সুস্থতার জন্য তাঁর প্রশংসা করে। হাদীসে এসেছে- “যে ব্যক্তি কোনো রোগাক্রান্ত বা বিপদগ্রস্থকে দেখে বলবে-
الحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ عَافَانِيْ مِمَّا ابْتَلَاكَ بِهِ، وَفَضَّلَنِيْ عَلٰى كَثِيْرٍ مِمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيْلًا.
উচ্চারণ : আল-হামদুলিল্লাহিল লাযী ‘আফানী মিম্মাব তালাকা বিহী ওয়া ফায্যালানী ‘আলা কাসিরীম মিম্মান খলাক্বা তাফযীলা।
অর্থাৎ- “সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার, যিনি তোমাকে যে ব্যাধিতে আক্রান্ত করেছেন, তা থেকে আমাকে নিরাপদে রেখেছেন এবং তাঁর অসংখ্য সৃষ্টির উপর আমাকে সম্মান দান করেছেন।” তবে সে ওই ব্যাধিতে কখনো আক্রান্ত হবে না।৯
নাবী কারীম (সাল্লাল্লা-হু ‘আলায়হি ওয়াসাল্লাম) আরো বলেন : “তোমরা মহান আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষমা, নিরাপত্তা ও পূর্ণ ঈমান কামনা করো।”১০
দ্বিতীয় খুৎবাহ্ : মানুষের অবস্থার পরিবর্তন ও দুনিয়াবী বিভিন্ন সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে গভীর চিন্তা করলে, একজন মুসলিম চিরস্থায়ী সুখ শান্তির কথা স্মরণ করে; তা হচ্ছে জান্নাত, যেখানে কোনো রোগ নেই, নেই কোনো চিন্তা ও কষ্ট-ক্লেশ।
রাসূল (সাল্লাল্লা-হু ‘আলায়হি ওয়াসাল্লাম) বলেন : “জনৈক ঘোষণাকারী (জান্নাতের মধ্যে) ঘোষণা দিয়ে বলবে- “এখন হতে তোমরা সুস্থ থাকবে, আর কখনো অসুস্থ হবে না। তোমরা জীবিত থাকবে, আর কখনো মরবে না। তোমরা যুবক থাকবে, কখনো বৃদ্ধ হবে না। তোমরা অফুরন্ত ভোগবিলাসিতায় নিমজ্জিত থাকবে, অভাব-অনটন কখনো তোমাদের স্পর্শ করবে না।”
এ সম্পর্কেই আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
“আর তাদেরকে ডেকে বলা হবে- তোমরা পার্থিব জীবনে যেসব কাজ করেছ তার বিনিময়েই এ জান্নাতের উত্তরাধিকারী হলে।”১১
[খতীব : শাইখ আব্দুল বারী আস্ সুবাইতী, পরিমার্জন : আব্দুল মতিন (শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক, জমঈয়ত শুব্বানে আহলে আহলে হাদীস বাংলাদেশ ও যুগ্ম-পরিচালক, শুব্বান রিসার্চ সেন্টার), ১৪ ফেব্রুয়ারি- ২০২০ জুমাবার প্রদত্ত খুতবার অনুবাদ]
১. সুনান আবূ দাঊদ।
২. সহীহ মুসলিম।
৩. সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিম।
৪. সহীহুল বুখারী।
৫. সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিম।
৬. সহীহ মুসলিম।
৭. সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিম।
৮. সুনান আত্ তিরমিযী।
৯. আত্ তিরমিযী- হাঃ ৩৪৩১, হাসান, হাঃ ৩৪৩২, সহীহ।
১০. মুসনাদে আহমাদ।
১১. সুনান আত্ তিরমিযী।
আপনার মন্তব্য