প্রবন্ধ
দীন প্রচারে মাতৃভাষার প্রয়োজনীয়তা
শাইখ কামাল উদ্দিন মোল্লা
প্রচার ও দা‘ওয়াতের ক্ষেত্রে ভাষার ভূমিকা অনবদ্য ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী। আপনি যে ভাষায় কাক্সিক্ষত বিষয় প্রচার করছেন, যে পদ্ধতিতে প্রচার করছেন, যার নিকট করছেন, সে কি আপনার ভাষা, অনুসৃত পদ্ধতি বুঝবে? গ্রহণ করবে? আপনাকে এসব ভাবতে হবে সব কিছুর আগে। আপনার অনুসৃত নিয়মে আপনি নিজে কতটুকু স্বাচ্ছন্দ ও সাবলীলতাবোধ করছেন তাও বিবেচনায় রাখতে হবে। মূল্যবান বস্তুও সঠিকভাবে প্রচার করতে বা তুলে ধরতে না পারলে থেকে যায় অপরিচিত, মূল্যহীন। মূল্যবান হয়েও বাংলা ভাষাভাষী অনেকের কাছে অনাদৃত ও অচর্চিত এমন একটি মহামূল্যবান বিষয় হলো পবিত্র ধর্ম ইসলাম। দীন প্রচারে কাক্সিক্ষত সফলতা পুরো মাত্রায় না পাওয়ার অনেকগুলো কারণের মধ্যে অন্যতম এই মাতৃভাষাকে যথোচিত মর্যাদায় আত্মস্থ না করা।
ধর্ম প্রচারে ভাষার গুরুত্ব ধর্মের সূচনাকাল থেকেই লক্ষ্য করা যায়। সহিফায়ে ইব্রা-হীম এবং সহিফায়ে মুসাসহ যেসব আসমানি কিতাব আল্লাহ তা‘আলা বিশ্বকল্যাণে আল্লাহ তা‘আলা অবতীর্ণ করেছেন।
তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- তাওরাত, যাবুর, ইন্জিল এবং কুরআন। এসব কিতাব প্রত্যেক জাতির জন্য নিজ নিজ ভাষায় স্বগোত্রীয়দের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির নিকট অবতীর্ণ করেছেন। মাতৃভাষা ভিন্ন অন্য কোনো ভাষায় কোনো নাবী-রাসূলও তিনি প্রেরণ করেননি।
এর কারণ উল্লেখ করা হয়েছে-
‘যেনো তারা রাসূল প্রেরণের উদ্দেশ্য এবং কী নিয়ে প্রেরিত হয়েছেন তা বুঝতে পারে।’[২]
স্পষ্ট বুঝা গেল, নিজে বুঝা এবং বুঝানোর জন্য ভাষা অভিন্ন হওয়া চাই। এ রীতি আল্লাহ কর্তৃক প্রবর্তিত।
ইসলাম ধর্মের প্রতি আহ্বানকারী হলো সবার শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি।[৩]
আর যুক্তির দাবি, শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হবেন আদর্শবান ও অনুসরণযোগ্য। চরিত্র-মাধুর্য, ভাষা-সাহিত্যে এবং সার্বিক লেন-দেনে তিনি হবেন অনুকরণীয়। তাই দেখা যায় সব ভাষাবিদ, সাহিত্যিক ও সুপ-িত নত শিরে স্বীকার করেছেন নাবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর শ্রেষ্ঠত্ব। কোমল চরিত্র ও অন্যান্য বিষয়ের মতো তাঁর ভাষাগত শ্রেষ্ঠত্ব এবং সাহিত্যালঙ্কারগত অলৌকিকত্বের স্বীকৃতিও দিয়েছেন তারা সর্বযুগে সর্বকালে।
মুজাহিদ (রাহিমাহুল্লা-হ) আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, আরব-অনারব সকলের জন্য। তারপরও আমরা দেখি আল্লাহ তা‘আলা আরব জাতির ভাষার প্রতি লক্ষ্য রেখে কুরআন নাজিল করেছেন আরবি ভাষায়। যাতে বুঝতে এবং বুঝাতে সহজ হয়।[৫]
নাবী (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরব গোত্রে জন্ম নিয়েছেন। তাঁর ভাষা আরবি। পার্শ্ববর্তী অনারবীয় অঞ্চলে যখন তিনি দূত পাঠাতেন, তাদেরকে তাদের নিজ নিজ ভাষায় অনুবাদ করে কুরআন বুঝানো হত।[৬]
এখানে বুঝতে হবে, কুরআন নির্দিষ্ট একটি ভাষায় অবতীর্ণ হওয়া আর অন্য ভাষায় অনূদিত হয়ে উপস্থাপিত হওয়াটাই সঙ্গত। এতে বিকৃতি-বিবর্তন ও ঝগড়া-বিতর্কের কোনো অবকাশ থাকে না। পক্ষান্তরে যদি সব ভাষায় আলাদা আলাদাভাবে অবতীর্ণ করা হত তাহলে আঞ্চলিক ভাষাবিদগণ এর বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিতেন। তখন তা আর অবিকৃত থাকত না।[৭]
এ থেকে প্রতীয়মান হয় প্রচারের সুবিধার্থে বহুবিধ ভাষার ব্যবহার, অনুবাদ সাহিত্য বা ইসলামের মূল আরবি ভাষাকে ভিন্ন ভাষায় উপস্থাপন নাবী (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর দা‘ওয়াত রীতির অংশ।
১৪ কোটি জনতা আপনার সামনে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে আপনার ভাষণ শুনার জন্য। ইংরেজি ভাষা তারা বুঝে না। আপনি ইংরেজিতে বা অন্য কোনো ভাষায় তাদের উদ্দেশে বক্তৃতা দিচ্ছেন। তাহলে এ হবে পণ্ডশ্রম। কারণ তারা সংখ্যায় বেশি। আপনি যদি তাদের বুঝানোর ইচ্ছে করে থাকেন তাহলে যে কোনো মূল্যে তাদের মায়ের ভাষা, রক্তস্নাত বাংলা ভাষা আপনাকে আয়ত্ত করতে হবে। যে অঞ্চলে ইসলামের দা‘ওয়াত দিচ্ছেন ওই অঞ্চলের ভাষা আপনাকে আয়ত্ত করতে হবে। এটিই বাস্তবানুগ কথা। জোর করে অন্য ভাষা গিলতে তাদের বাধ্য করবেন; তা হবে না। এ উপলব্ধি থেকে পৃথিবীর বহু দেশের ইসলাম প্রচারকগণ স্বদেশীয় ভাষা-সাহিত্যে যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখলেও আমরা বাংলা ভাষাভাষী মাতৃভাষায় এখনো অনগ্রসর। ১৪ কোটি মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক হওয়ার পরও ভাষা জ্ঞানের দৈন্যতার দরুণ আমরা ইসলাম প্রচারকগণ তথা ‘আলেম সমাজ তাদের হৃদয়ে স্থান পাচ্ছি না। আমাদের অনগ্রসরতার এটাই বড় প্রমাণ।
ইসলাম গ্রহণের প্রবণতা মানুষের স্বভাবজাত। জীবনের শেষ মুহূর্তে এসেও মানুষ তাই ইসলামকে জানতে, এর অনুশীলন ও চর্চা করতে চায়। ‘আলেম সমাজ ইসলামের মৌলিক গ্রন্থসমূহ যত গভীরভাবে বুঝেন, তা যদি আকর্ষণীয় ও হৃদয়গ্রাহী মাতৃভাষায় উপস্থাপন করতে পারেন তাহলে খুব অল্প সময়ে সাহিত্যের নামে বেহায়াপনা, অশ্লীলতা ও নোংরামী বিদায় নেবে। যেমন নিয়েছিল আরবি সাহিত্য থেকে। আর শেষ মুহূর্তে হলেও ফিরে আসবে মানুষ তাদের স্বভাবজাত ইসলামি জীবনে।
দা‘ওয়াতি ময়দানে আমরা অহরহ এ অভিযোগের মুখোমুখি হই যে, ইসলাম যারা প্রচার করছেন তাদের ভাষা অনুন্নত। তাদের অনুবাদ-রচনায় সাহিত্যরস বা ভাষাগত সৌন্দর্য অনুপস্থিত। তারা আধুনিক প্রচার-মাধ্যম ও তথ্য-প্রযুক্তি থেকে অনেক দূরে। এ কারণে শিক্ষিত, সাহিত্যজ্ঞ ও সুশীল সমাজ ইসলামি বই-পুস্তক পড়েন না। বসেন না তাদের আলোচনার আসরে। বিশুদ্ধ, সাবলীল, সময়োপযোগী গ্রহণযোগ্য ভাষায় ইসলাম প্রচারে সক্ষম হলে আমাদের নির্ণয় করতে সহজ হবে কে বিদ্বেষপ্রসূত আর কে ভাষা না বুঝার কারণে আগ্রহ থাকার পরও ইসলাম কবুল করছেন না, ইসলাম মানছেন না। এতে দা‘ওয়াতি তৎপরতা চালানো অনেক সহজ ও ফলপ্রসূ হবে।
আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সকলকে যথাযথভাবে দা‘ওয়াত ও তাবলিগের কাজ করার তাওফীক্ব দান করুন, মাতৃভাষায় দক্ষতা অর্জন করে দাঈ‘দের পৌঁছে যাবার তাওফীক্ব দিন প্রতিটি মানুষের দুয়ারে দুয়ারে -আমীন।
ধর্ম প্রচারে ভাষার গুরুত্ব ধর্মের সূচনাকাল থেকেই লক্ষ্য করা যায়। সহিফায়ে ইব্রা-হীম এবং সহিফায়ে মুসাসহ যেসব আসমানি কিতাব আল্লাহ তা‘আলা বিশ্বকল্যাণে আল্লাহ তা‘আলা অবতীর্ণ করেছেন।
তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- তাওরাত, যাবুর, ইন্জিল এবং কুরআন। এসব কিতাব প্রত্যেক জাতির জন্য নিজ নিজ ভাষায় স্বগোত্রীয়দের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির নিকট অবতীর্ণ করেছেন। মাতৃভাষা ভিন্ন অন্য কোনো ভাষায় কোনো নাবী-রাসূলও তিনি প্রেরণ করেননি।
﴿وَمَا أَرْسَلْنَا مِنْ رَسُوْلٍ إِلَّا بِلِسَانِ قَوْمِهِ لِيُبَيِّنَ لَهُمْ فَيُضِلُّ اللهُ مَنْ يَشَاءُ وَيَهْدِيْ مَنْ يَشَاءُ وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ﴾
“আর আমি প্রত্যেক রাসূলকে তার ক্বাওমের ভাষাতেই পাঠিয়েছি, যাতে সে তাদের কাছে বর্ণনা দেয়।”[১]এর কারণ উল্লেখ করা হয়েছে-
‘যেনো তারা রাসূল প্রেরণের উদ্দেশ্য এবং কী নিয়ে প্রেরিত হয়েছেন তা বুঝতে পারে।’[২]
স্পষ্ট বুঝা গেল, নিজে বুঝা এবং বুঝানোর জন্য ভাষা অভিন্ন হওয়া চাই। এ রীতি আল্লাহ কর্তৃক প্রবর্তিত।
ইসলাম ধর্মের প্রতি আহ্বানকারী হলো সবার শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি।[৩]
আর যুক্তির দাবি, শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হবেন আদর্শবান ও অনুসরণযোগ্য। চরিত্র-মাধুর্য, ভাষা-সাহিত্যে এবং সার্বিক লেন-দেনে তিনি হবেন অনুকরণীয়। তাই দেখা যায় সব ভাষাবিদ, সাহিত্যিক ও সুপ-িত নত শিরে স্বীকার করেছেন নাবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর শ্রেষ্ঠত্ব। কোমল চরিত্র ও অন্যান্য বিষয়ের মতো তাঁর ভাষাগত শ্রেষ্ঠত্ব এবং সাহিত্যালঙ্কারগত অলৌকিকত্বের স্বীকৃতিও দিয়েছেন তারা সর্বযুগে সর্বকালে।
﴿قُلْ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّيْ رَسُوْلُ اللهِ إِلَيْكُمْ جَمِيْعًا الَّذِيْ لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ يُحْيِيْ وَيُمِيْتُ فَآمِنُوْا بِاللهِ وَرَسُوْلِهِ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ الَّذِيْ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَكَلِمَاتِهِ وَاتَّبِعُوْهُ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُوْنَ﴾
“হে মানুষ! আমি তোমাদের সবার প্রতি আল্লাহর রাসূল হিসেবে প্রেরিত হয়েছি।”[৪]মুজাহিদ (রাহিমাহুল্লা-হ) আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, আরব-অনারব সকলের জন্য। তারপরও আমরা দেখি আল্লাহ তা‘আলা আরব জাতির ভাষার প্রতি লক্ষ্য রেখে কুরআন নাজিল করেছেন আরবি ভাষায়। যাতে বুঝতে এবং বুঝাতে সহজ হয়।[৫]
নাবী (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরব গোত্রে জন্ম নিয়েছেন। তাঁর ভাষা আরবি। পার্শ্ববর্তী অনারবীয় অঞ্চলে যখন তিনি দূত পাঠাতেন, তাদেরকে তাদের নিজ নিজ ভাষায় অনুবাদ করে কুরআন বুঝানো হত।[৬]
এখানে বুঝতে হবে, কুরআন নির্দিষ্ট একটি ভাষায় অবতীর্ণ হওয়া আর অন্য ভাষায় অনূদিত হয়ে উপস্থাপিত হওয়াটাই সঙ্গত। এতে বিকৃতি-বিবর্তন ও ঝগড়া-বিতর্কের কোনো অবকাশ থাকে না। পক্ষান্তরে যদি সব ভাষায় আলাদা আলাদাভাবে অবতীর্ণ করা হত তাহলে আঞ্চলিক ভাষাবিদগণ এর বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিতেন। তখন তা আর অবিকৃত থাকত না।[৭]
এ থেকে প্রতীয়মান হয় প্রচারের সুবিধার্থে বহুবিধ ভাষার ব্যবহার, অনুবাদ সাহিত্য বা ইসলামের মূল আরবি ভাষাকে ভিন্ন ভাষায় উপস্থাপন নাবী (সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর দা‘ওয়াত রীতির অংশ।
১৪ কোটি জনতা আপনার সামনে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে আপনার ভাষণ শুনার জন্য। ইংরেজি ভাষা তারা বুঝে না। আপনি ইংরেজিতে বা অন্য কোনো ভাষায় তাদের উদ্দেশে বক্তৃতা দিচ্ছেন। তাহলে এ হবে পণ্ডশ্রম। কারণ তারা সংখ্যায় বেশি। আপনি যদি তাদের বুঝানোর ইচ্ছে করে থাকেন তাহলে যে কোনো মূল্যে তাদের মায়ের ভাষা, রক্তস্নাত বাংলা ভাষা আপনাকে আয়ত্ত করতে হবে। যে অঞ্চলে ইসলামের দা‘ওয়াত দিচ্ছেন ওই অঞ্চলের ভাষা আপনাকে আয়ত্ত করতে হবে। এটিই বাস্তবানুগ কথা। জোর করে অন্য ভাষা গিলতে তাদের বাধ্য করবেন; তা হবে না। এ উপলব্ধি থেকে পৃথিবীর বহু দেশের ইসলাম প্রচারকগণ স্বদেশীয় ভাষা-সাহিত্যে যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখলেও আমরা বাংলা ভাষাভাষী মাতৃভাষায় এখনো অনগ্রসর। ১৪ কোটি মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক হওয়ার পরও ভাষা জ্ঞানের দৈন্যতার দরুণ আমরা ইসলাম প্রচারকগণ তথা ‘আলেম সমাজ তাদের হৃদয়ে স্থান পাচ্ছি না। আমাদের অনগ্রসরতার এটাই বড় প্রমাণ।
ইসলাম গ্রহণের প্রবণতা মানুষের স্বভাবজাত। জীবনের শেষ মুহূর্তে এসেও মানুষ তাই ইসলামকে জানতে, এর অনুশীলন ও চর্চা করতে চায়। ‘আলেম সমাজ ইসলামের মৌলিক গ্রন্থসমূহ যত গভীরভাবে বুঝেন, তা যদি আকর্ষণীয় ও হৃদয়গ্রাহী মাতৃভাষায় উপস্থাপন করতে পারেন তাহলে খুব অল্প সময়ে সাহিত্যের নামে বেহায়াপনা, অশ্লীলতা ও নোংরামী বিদায় নেবে। যেমন নিয়েছিল আরবি সাহিত্য থেকে। আর শেষ মুহূর্তে হলেও ফিরে আসবে মানুষ তাদের স্বভাবজাত ইসলামি জীবনে।
দা‘ওয়াতি ময়দানে আমরা অহরহ এ অভিযোগের মুখোমুখি হই যে, ইসলাম যারা প্রচার করছেন তাদের ভাষা অনুন্নত। তাদের অনুবাদ-রচনায় সাহিত্যরস বা ভাষাগত সৌন্দর্য অনুপস্থিত। তারা আধুনিক প্রচার-মাধ্যম ও তথ্য-প্রযুক্তি থেকে অনেক দূরে। এ কারণে শিক্ষিত, সাহিত্যজ্ঞ ও সুশীল সমাজ ইসলামি বই-পুস্তক পড়েন না। বসেন না তাদের আলোচনার আসরে। বিশুদ্ধ, সাবলীল, সময়োপযোগী গ্রহণযোগ্য ভাষায় ইসলাম প্রচারে সক্ষম হলে আমাদের নির্ণয় করতে সহজ হবে কে বিদ্বেষপ্রসূত আর কে ভাষা না বুঝার কারণে আগ্রহ থাকার পরও ইসলাম কবুল করছেন না, ইসলাম মানছেন না। এতে দা‘ওয়াতি তৎপরতা চালানো অনেক সহজ ও ফলপ্রসূ হবে।
আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সকলকে যথাযথভাবে দা‘ওয়াত ও তাবলিগের কাজ করার তাওফীক্ব দান করুন, মাতৃভাষায় দক্ষতা অর্জন করে দাঈ‘দের পৌঁছে যাবার তাওফীক্ব দিন প্রতিটি মানুষের দুয়ারে দুয়ারে -আমীন।
[১] সূরা ইব্রা-হীম : ৪।
[২] ইবনু কাসির- ৪/৪৭৭ ও মুসনাদে আহমাদ- ৫/৫৮৫।
[৩] তাফসীর ইবনু কাসীর- ১/৬৭।
[৪] সূরা আল আ‘রাফ : ১৫৮।
[৫] ইবনু কাসির- ৬/৫১৮।
[৬] মায়ালিমুত তানযিল- ৪/৩৩৫।
[৭] ফাতহুল কাদির- ৪/১২৭।
ঢাকায় সূর্যোদয় : 6:17:45
সূর্যাস্ত : 5:11:51
আপনার মন্তব্য