সাময়িক প্রসঙ্গ
পরকালের সঞ্চিত সম্পদ...
আবূ সা‘আদ আব্দুল মোমেন বিন আব্দুস্ সামাদ

আল্লাহ তা‘আলার বাণী

یۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوْا اتَّقُوْا اللّٰهَ وَلۡتَنۡظُرۡ نَفۡسٌ مَّا قَدَّمَتۡ لِغَدٍ ۚ وَاتَّقُوْا اللّٰهَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ خَبِیۡرٌۢ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ ۝ وَلَا تَکُوۡنُوۡا کَالَّذِیۡنَ نَسُوْا اللّٰهَ فَاَنۡسٰهُمۡ اَنۡفُسَهُمۡ ؕ اُوْلٰٓئِکَ هُمُ الۡفٰسِقُوۡنَ ۝ لَا یَسۡتَوِیۡۤ اَصۡحٰبُ النَّارِ وَاَصۡحٰبُ الۡجَنَّۃِ ؕ اَصۡحٰبُ الۡجَنَّۃِ هُمُ الۡفَآئِزُوۡنَ

সরল বাংলায় আনুবাদ

“হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। আর সকলেই ভেবে দেখো, আগামীকালের (পরকালের) জন্য কে কি পাঠিয়েছ? তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয় তোমরা যা করো আল্লাহ সে সম্পর্কে পুরোপুরি খবর রাখেন। তোমরা তাদের মতো হয়ো না, যারা আল্লাহকে ভুলে গিয়েছিল, ফলে আল্লাহও তাদেরকে আত্মভোলা করে দিয়েছেন। আর তারাই হলো পাপাচারী (ফাসিক)। জাহান্নামের অধিবাসী ও জান্নাতের অধিবাসী সমান নয়। জান্নাতের অধিবাসীরাই সফলকাম।” ১

শাব্দিক বিশ্লেষণ

يَا -শব্দটি, حرف النداء অর্থাৎ-আহ্বান সূচক অব্যয়। الَّذِیۡنَ -এটি, اسم موصول অর্থ- যারা। শব্দটি দু’দিক থেকে, معرفة (অর্থাৎ- مندى ও الاسماء موصولة) হওয়ার কারণে এবং مندى -এর শুরুতে ال যুক্ত হওয়া فاصلة হিসেবে اَیُّهَا যুক্ত হয়েছে। আর اٰمَنُوْا অর্থ- তারা ঈমান এনেছে। اتَّقُوْا اللّٰهَ অর্থ- তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। وَلۡتَنۡظُرۡ অর্থ— আর আপনি দেখুন। نَفۡسٌ অর্থ- নিজেই مَّا قَدَّمَتۡ لِغَدٍ অর্থ-কালকের জন্য কি পাঠিয়েছেন। اِنَّ اللّٰهَ অর্থ- নিশ্চয়ই আল্লাহ। خَبِیۡرٌۢ অর্থ- অবগত বা খবর রাখেন। بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ অর্থ- তোমরা যে ‘আমল করো সে সম্পর্কে। وَلَا تَکُوۡنُوۡا অর্থ- আর তোমরা হয়ো না। کَالَّذِیۡنَ অর্থ-তাদের মতো যারা। نَسُوْا اللّٰهَ অর্থ- আল্লাহকে ভুলে গেছে। فَاَنۡسٰهُمۡ অর্থ- অতঃপর তারা ভুলে গেছে। اَنۡفُسَهُمۡ অর্থ- তাদের নিজেদেরকে। اُوْلٰٓئِکَ অর্থ-ওরা। هُمُ অর্থ- তারা (তারাই)। الۡفٰسِقُوۡنَ অর্থ-পাপাচারী। لَا یَسۡتَوِیۡۤ অর্থ- সমান হয় না। اَصۡحٰبُ النَّارِ অর্থ- জাহান্নামের অধিবাসীরা। وَ অর্থ- এবং। اَصۡحٰبُ الۡجَنَّۃِ অর্থ-জান্নাতের অধিবাসীগণ। هُمُ অর্থ- তারাই। الۡفَآئِزُوۡنَ অর্থ-বিজয়ীগণ।

বিষয়বস্তু ও প্রেক্ষাপট

জারীর (রা.) বলেন একদা সূর্য কিছু উপরে উঠার সময়ে আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট ছিলাম। এমন সময়ে অর্ধ উলঙ্গ ও নগ্নপদ বিশিষ্ট কতগুলো লোক আগমন করলো। তারা শুধু ই‘বা (আরব দেশীয় পোশাক) দ্বারা নিজেদের দেহ আবৃত করেছিল। তাদের কাধে তরবারি লটকানো ছিল। তাদের সকলেই ছিল মুযার গোত্রীয় লোক। তাদের দারিদ্র্য ও দুরবস্থা দেখে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল। তিনি নিজ গৃহে প্রবেশ করলেন এবং বেরিয়ে এলেন। এরপর তিনি বিলাল (রা.)কে আযান দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। আযান হলোÑ ইকামত হলো এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামায পড়ালেন। তারপর তিনি খুতবাহ্ শুরু করলেন। তিনি বললেন, হে মানবমণ্ডলী! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি হতেই সৃষ্টি করেছেন। এরপর তিনি সূরায়ে হাশরের (وَلۡتَنۡظُرۡ نَفۡسٌ مَّا قَدَّمَتۡ لِغَدٍ) এই আয়াতটি তিলাওয়াত করেন। এরদ্বারা তিনি মানুষকে দান-খয়রাতের প্রতি উৎসাহিত করেন। তখন জনগণ দান-খয়রাত করতে শুরু করলো। বহু দীনার, দিরহাম, কাপড়-চোপড়, খেজুর-গম ইত্যাদি আসতে থাকে। রাসূল (ﷺ) ভাষণ দিতেই থাকেন। এমনকি শেষ পর্যন্ত তিনি বলেন, তোমরা একটি খেজুরের অর্ধেক থাকলেও তা নিয়ে এসো। একজন আনসারী দীনার-দিরহাম বোঝাই ভারী একটি থলে নিয়ে আসলেন। তারপর তা লোকদের মাঝে দান করে দিলেন। এভাবে দান আসতেই থাকলো। শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক জিনিসের এক একটি স্তূপ হয়ে গেলো। এর ফলে রাসূল (ﷺ)-এর বিবর্ণ চেহারা উজ্জ্বল হয়ে সোনার মতো ঝলমল করতে থাকে। ২

আয়াতের সংক্ষিপ্ত তাফসীর

یۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوْا اتَّقُوْا اللّٰهَ

অর্থাৎ- “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো।”

এখানে ঈমানদারদেরকে সম্বোধন করে তাদেরকে নসীহত করা হচ্ছে। তাক্বওয়ার পথ অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। আর তাক্বওয়ার পথ হলো তিনি যে সকল কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন সে সকল কাজ সুচারুরূপে সম্পন্ন করা এবং যে সকল কাজ করতে নিষেধ করেছেন সেগুলো থেকে নিজেকে ফিরিয়ে রাখা বা দূরে রাখা। আর এই তাক্বওয়া বা আল্লাহভীতিই মানুষকে সৎকর্ম করতে এবং অসৎতকর্ম থেকে বাঁচতে উৎসাহ প্রদান করে।

وَلۡتَنۡظُرۡ نَفۡسٌ مَّا قَدَّمَتۡ لِغَدٍ ۚ وَاتَّقُوْا اللّٰهَ

অর্থাৎ- “আগামীকালের জন্য কি পাঠিয়েছ তা ভেবে দেখা উচিৎ।”

এ আয়াতে কিয়ামত বুঝাতে لِغَدٍ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে যার অর্থ- আগামীকাল৩।  কিয়ামতকে لِغَدٍ (আগামীকাল) শব্দদ্বারা ব্যক্ত করার উদ্দেশ্য হলো আগামীকালের মতো কিয়ামতও খুব নিকটবর্তী এটা বুঝানো। তারপর আবার তাকীদস্বরূপ وَاتَّقُوْا اللّٰه (তাক্বওয়ার পথ অবলম্বন করো) উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ এই তাক্বওয়াই মানুষকে হিদায়াতের পথে পরিচালনা করে৪।  পাপকাজ থেকে বাঁচিয়ে রাখে৫।  পারলৌকিক জীবনে মুক্তির পথ দেখায়। আর তাক্বওয়ার অধিকারীর (মুত্তাকীদের) জন্যই আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলা জান্নাত তৈরি করে রেখেছেন৬।  যে জান্নাতের নিয়ামত অফুরন্ত।

اِنَّ اللّٰهَ خَبِیۡرٌۢ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ

অর্থাৎ- “নিশ্চয়ই তোমরা যা করো আল্লাহ সে সম্পর্কে অবহিত।”

প্রত্যেকটি মানুষের প্রতিটি কর্ম, সে যেখানে যতই সংগোপনে করুক না কেন, তিনি সে সম্পর্কে সম্যক অবগত। সুতরাং পুণ্যবানদের পুণ্যকাজের প্রতিদান ও পাপীদেরকে পাপাচারের উপযুক্ত বদলা দেওয়া তার পক্ষে অত্যন্ত সহজ। তাই সেদিন তিনি তাদের প্রতিটি কৃতকর্মের উপযুক্ত প্রতিদান প্রদান করবেন।

وَلَا تَکُوۡنُوۡا کَالَّذِیۡنَ نَسُوْا اللّٰهَ فَاَنۡسٰهُمۡ اَنۡفُسَهُمۡ

অর্থাৎ- “তোমরা তাদের মতো হয়ো না, যারা আল্লাহকে ভুলে গিয়েছিল, ফলে আল্লাহও তাদেরকে আত্মভোলা করে দিয়েছেন।”

এখানে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, তোমরা মহান আল্লাহর যিকিরে মশগুল থাকো কখনও তা ভুলে বসো না, অন্যথায় তিনি তোমাদেরকে ঐসকল কার্যাবলী ভুলিয়ে দিবেন, যেগুলো পরকালে তোমাদের কাজে লাগবে। অর্থাৎ- শাস্তিস্বরূপ আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলা তাদের অবস্থা এমন করে দিবেন যে, তারা এমন সব কাজ করা থেকে উদাসীন হয়ে গেল যাতে ছিল তাদের উপকার এবং যার দ্বারা তারা নিজেদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে বাঁচাতে পারত। মানুষ মহান আল্লাহকে ভুলে গেলে আসলে নিজেকেই ভুলে যায়, তখন তার জ্ঞান-বুদ্ধি তাকে সঠিক দিক-নির্দেশনা দেয় না। ফলে তার দ্বারা এমন এমন কাজ সংঘঠিত হয়, যাতে থাকে তার ধ্বংস ও বিনাশ।

اُوْلٰٓئِکَ هُمُ الۡفٰسِقُوۡنَ

অর্থাৎ- “ওরা তারাই যারা পাপাচারী (ফাসিক)।”

পূর্বেও এমন ফাসিক ও উদ্ধত লোক ছিল যারা জাঁকজমকপূর্ণ শহর বসিয়েছিল। শহরের মযবুত দূর্গসমূহ নির্মাণ করেছিল। আজ তারা কোথায়? আজ তারা কবরের গর্তে পাথরের নীচে চাপা পড়ে আছে। মহান আল্লাহর শাস্তি আজ তাদের নিকৃষ্ট সঙ্গী হয়ে আছে। জাহান্নাম তাদের চিরস্থায়ী ঠিকানা। এই তো তাদের পরিণতি।

لَا یَسۡتَوِیۡۤ اَصۡحٰبُ النَّارِ وَاَصۡحٰبُ الۡجَنَّۃِ ؕ اَصۡحٰبُ الۡجَنَّۃِ هُمُ الۡفَآئِزُوۡنَ

অর্থাৎ- “কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট জাহান্নামের অধিবাসী ও জান্নাতের অধিবাসী সমান হবে না।”

দুনিয়াতেও তো তারা সমান নয়। জাহান্নামের অধিবাসীরা দুনিয়াতে যাবতীয় পাপকার্যে লিপ্ত রয়েছে। আর পুণ্যবানগণ নিজের সর্বস্ব ত্যাগ করে হলেও পুণ্যের কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা পরকালে তাদেরকে সম্মানিত করবেন। তাই তো তিনি বলেন,

اَصۡحٰبُ الۡجَنَّۃِ هُمُ الۡفَآئِزُوۡنْ

অর্থাৎ- “জান্নাতের অধিবাসীগণ সফলকাম।”

তারাই মহান আল্লাহর আযাব থেকে পরিত্রাণ লাভকারী। অন্যদিকে সেদিন তিনি পাপীদেরকে করবেন লাঞ্ছিত।

পরকালের সঞ্চিত সম্পদ

পরকালের জন্য যে সম্পদ সঞ্চয় করা জরুরি তা নিম্নে উল্লেখ করা হলোÑ

এক. তাক্বওয়া : এটি এমন একটি সম্পদ যা মানুষকে তাদের পাপ মোচন করে পরকালে জান্নাতের নিশ্চয়তা দেয়।

দুই. দান-খয়রাত : দানকে আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলা তাকে দেওয়া উত্তম ঋণ হিসেবে গ্রহণ করেন এবং এর দ্বিগুণ প্রতিদান প্রদান করেন। আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলা বলেন-

إِنْ تُقْرِضُوْا اللهَ قَرْضًا حَسَنًا يُضَاعِفْهُ لَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ وَاللهُ شَكُوْرٌ حَلِيْمٌ

“যদি তোমরা আল্লাহকে উত্তম ঋণ দান করো, তিনি তা তোমাদের জন্য দ্বিগুণ করে দিবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন। আল্লাহ হলেন গুণগ্রাহী, পরম ধৈর্যশীল।” ৭

আবূ হুরাইরাহ্ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা ফরমান, হে আদম সন্তান! তুমি দান করতে থাকো,৮ আমিও তোমাকে দান করতে থাকব।  রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,

وَالصَّدَقَةُ تُطْفِئُ الخَطِيْئَةَ كَمَا يُطْفِئُ المَاءُ النَّارَ.

অর্থাৎ- সাদাক্বাহ্ পাপকে মিটিয়ে দেয়, যেমন পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয়। ৯

অন্য বর্ণনায় এসেছে নবীজি (ﷺ) বলেন,

إِنَّ الصَّدَقَةَ لَتُطْفِئُ عَنْ أَهْلِهَا حَرَّ الْقُبُوْرِ.

অর্থাৎ- নিশ্চয় দান-সাদাক্বাহ্ ক্ববরের উত্তাপ নিভিয়ে দেয়। ১০

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আসমাহ্ (রা.)-কে বলেন,

أَنْفِقِىْ وَلَا تُحْصِى فَيُحْصِىَ اللهُ عَلَيْكِ.

অর্থাৎ- মহান আল্লাহর পথে ব্যয় করো, হিসাব করো না। তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তোমার উপর তার রহমতকে হিসাব করবেন না। আর হাত গুটিয়ে রেখ না, তাহলে মহান আল্লাহও তোমার থেকে হাত গুটিয়ে নিবেন। ১১

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আর যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর চেহারা কামনায় সাদাক্বাহ্ করল এবং এই সাদাক্বাই যদি তার শেষ ‘আমল হয়, তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।১২  এখানে মহান আল্লাহর চেহারা কামনা অর্থ হলো দিদারে এলাহী অর্থাৎ- জান্নাতে মহান আল্লাহর চেহারা দর্শন।

তিন. সকল পুণ্যকর্ম : হাদীসে এসেছে যে কেউ ইসলামের কোনো ভালো কাজ শুরু করবে তাকে তার নিজের কাজের প্রতিদান তো দেওয়া হবেই, এমনকি তার পরে যে কেউই ঐ কাজটি করবে, প্রত্যেকের সমপরিমাণ প্রতিদান তাকে দেয়া হবে এবং তাদের প্রতিদানের কিছুই কম করা হবে না। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি শরিয়ত বিরোধী কোনো কাজ শুরু করবে, তার নিজের এ কাজের গুনাহ তো হবেই, এমনকি তার পরে যে কেউই ঐ কাজ করবে প্রত্যেকেরই গুনাহ তার উপর পড়বে এবং তাদের গুনাহের কিছুই কম করা হবে না। ১৩


*প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, জা’মেআ দারুল ক্বোরআন, ঢাকা, বাংলাদেশ।

 ১.সূরা আল হাশর: ১৮-২০।

২. এই হাদীসটি ইমাম আহমদ বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম মুসলিম এটি তাখরীজ করেছেন।

 ৩.কুরতুবী।

৪.সূরা আল বাক্বারাহ্ : ২।

৫.সূরা আল আনফাল : ২৯।

 ৬.সূরা আর্ রা’দ : ৩৫।

 ৭.সূরা আত্ তাগা-বুন : ১৭।

 ৮.সহীহুল বুখারী; হাদীসে কুদসী- ৭/৫৩৫২।

 ৯.মুসনাদে আহমদ- হা. ১৫৩১৯।

 ১০.সহীহাহ্- হা. ৩৪৮৪।

১১. সহীহুল বুখারী; সহীহ মুসলিম; মিশকা-তুল মাসা-বীহ- হা. ১৮৬১।

 ১২.সহীহ আত্ তারগীব- হা. ৯৮৫।

 ১৩.এই হাদীসটি ইমাম আহমদ বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম মুসলিম এটি তাখরীজ করেছেন।



আপনার মন্তব্য1

ঢাকায় সূর্যোদয় : 6:31:55 সূর্যাস্ত : 5:13:27

সাপ্তাহিক আরাফাতকে অনুসরণ করুন

@সাপ্তাহিক আরাফাত